রঙিন শিমে রাঙা জীবন by শাহ আলম
শীতকালে আমাদের দেশে হরেক রকম সবজি মেলে। এর মধ্যে অন্যতম শিম। মোটামুটি সবার কাছেই সবজি হিসেবে শিমের বেশ কদর রয়েছে। গ্রামবাংলার অনেক বাড়িতে শিম চাষ করে মূলত পরিবারের চাহিদা মেটানো হয়। তবে অনেক এলাকায় শিমের বাণিজ্যিক চাষও হয়। বাণিজ্যিক শিম চাষের একটি গ্রাম হলো চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুকিয়া চাঁদপুর। এই গ্রামে শিমের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয় বছর পনেরো আগে আশরাফুল হকের হাত ধরে। এরপর তা পুরো গ্রাম হয়ে আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।
একসময় এই গ্রামের কৃষকদের চাষাবাদ চলত প্রকৃতির খেয়ালের ওপর নির্ভর করে। ঠিকমতো তিন বেলা খাবার জুটত না অনেকের। পরিকল্পিত পদ্ধতিতে রঙিন শিম (পারফুল কালার জাতের) চাষ করে তাঁরা এখন ভাগ্য বদলে ফেলেছেন। অভাবকে জয় করেছেন। রঙিন শিমে জীবন রাঙিয়েছেন।
যেভাবে শুরু: কুকিয়া চাঁদপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল। নিজের তিন বিঘা জমিতে ধান-পাটসহ প্রচলিত ফসল আবাদ করতেন তিনি। এসব ফসলে কখনো কিছুটা লাভ হতো, কখনো খরচের টাকাই উঠত না। ঘটনাক্রমে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, যশোরের একজন কর্মকর্তার। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরেই একদিন যশোরের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে যান আশরাফুল। সেখানে রঙিন শিম চাষের পরীক্ষামূলক এক খণ্ড জমি তাঁর দৃষ্টি কাড়ে। পরে ওই কর্মকর্তার পরামর্শে নিজের তিন বিঘা জমিতেই পরিকল্পিত পদ্ধতিতে রঙিন শিম চাষ করেন। সেই শিমগাছে ফুল আসে, কিছুদিন পর থোকায় থোকায় শিম ধরে। সেই শিম দেখে আশরাফুল বিশ্বাস করতে শুরু করেন, চাষাবাদ করে লোকসানের দিন এবার শেষ হবে।
প্রথম বছর শিম চাষে আশরাফুলের খরচ হয় মাত্র ১৫ হাজার টাকা। খরচ বাদে লাভ হয় ৭৫ হাজার টাকা। এ সাফল্য দেখে পরের বছর স্থানীয় স্কুলশিক্ষক গৌতম চন্দ্র সাহাও শিম চাষ করলেন। তিনিও সফল হলেন। ধীরে ধীরে গ্রামজুড়ে কৃষকেরা শিম চাষে ঝুঁকে পড়েন। এখন এই গ্রামের অন্তত দুই শ পরিবার সরাসরি শিম চাষের সঙ্গে জড়িত। পরোক্ষভাবে জড়িত আরও অনেকে।
শিমের গ্রামে এক দিন: উপজেলা সদর থেকে পাকা, আধা পাকা ও কাঁচা রাস্তা মিলিয়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে যেতে হয় কুকিয়া চাঁদপুর গ্রামে। গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ে সড়কের দুই পাশে রঙিন শিমের অসংখ্য মাচা। সাদা ও বেগুনি রঙের ফুল আর থোকায় থোকায় রঙিন শিম দেখে মন জুড়িয়ে যায়। সবুজ, বেগুনি ও লাল রঙের সংমিশ্রিত এই শিম স্থানীয়ভাবে ‘রঙিন রূপবান’ বলে পরিচিত। অসংখ্য ফুলে ভরা মাচায় মাঝে মাঝে বাতাস লেগে ঢেউ খেলে যায়। অসাধারণ এই দৃশ্য দেখে প্রাণোচ্ছল অনেকেই গেয়ে ওঠেন জনপ্রিয় সেই গানের কলি ‘রূপবানে নাচে কোমর দুলাইয়া’।
গ্রামে ঢুকে দেখা গেল, পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও দল বেঁধে শিমখেতে কাজ করছে। কেউ শিম তুলছে। কেউ সেই শিম ঝুড়িতে করে রাস্তার পাশে জড়ো করছে। সেখানেই এগুলো বস্তায় ভরা হচ্ছে বিক্রির জন্য। গ্রামজুড়ে প্রায় দুই মাস ধরে চলছে এই কর্মযজ্ঞ। এই গ্রাম থেকে প্রতিদিন এক ট্রাক করে শিম ঢাকায় পাঠানো হয়। গ্রামবাসী জানান, আরও প্রায় আড়াই মাস এই কর্মচাঞ্চল্য থাকবে।
কথা হলো সেই আশরাফুলের সঙ্গেও। তিনি জানালেন, চারা রোপণের সময় আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় চলতি বছরে তিনি দুই বিঘা জমিতে শিমের আবাদ করেছেন। মে মাসের প্রথম দিকে চারা রোপণ করে আগস্ট মাস থেকে শিম তোলা শুরু করেন। গত ঈদের আগে ঢাকার বাজারে তিনি প্রতি কেজি শিম ১২২ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। সর্বশেষ বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে। আশা করছেন, এ বছরও তিনি খরচ বাদে দুই লাখ টাকা লাভ করবেন।
দিন বদলিয়েছেন তাঁরা: কুকিয়া চাঁদপুর গ্রামের একসময়ের ভূমিহীন দিনমজুর শহিদুল ইসলাম। সাত বছর আগেও অন্যের জমিতে ঘর তুলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনোরকমে দিন কাটাতেন। তিন বেলা ঠিকমতো খাবারও জুটত না। সেই শহিদুলই এখন সফল শিমচাষিদের একজন।
শহিদুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আশরাফুলের কাছে পরামর্শ নিয়ে তিনি এক বিঘা জমি ইজারা নেন। সেই জমিতে শিমের আবাদ শুরু করেন। প্রথম বছরই খরচ বাদে এক লাখ টাকা লাভ ঘরে তোলেন। এরপর প্রতিবছর শিমের আবাদ করছেন। শিমের লাভ থেকেই চার কাঠা জমি কিনে সেখানে আধা পাকা বাড়ি করেছেন। করেছেন শৌখিন আসবাবও।
একই গ্রামের ইদ্রিস আলী চলতি বছর আড়াই বিঘা জমিতে শিমের চাষ করেছেন। খরচ বাদে এ পর্যন্ত এক লাখ ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। আরও অন্তত তিন লাখ টাকা লাভের আশা করছেন। শহিদুল ও ইদ্রিসের মতোই শিম চাষ করে সানোয়ার হোসেন, রমজান আলী, আনোয়ার হোসেন, হুরমত আলী, মাহাবুল হোসেনসহ অনেকেই রঙিন শিমে ভাগ্য বদলিয়েছেন।
শিমের বাজার: স্থানীয় বাজারে শিম বিক্রি করা হয়। পাঠানো হয় ঢাকার পাইকারি বাজারেও। গ্রামের শিমচাষিরা মিলে একটি সমিতি গঠন করেছেন। এই সমিতি সম্মিলিতভাবে শিম বাজারজাত করছে। প্রতিবছরের মতো এবারও শিমের মৌসুম শুরুর পর থেকেই কুকিয়া চাঁদপুর কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রতিদিনই শিমের বাজার বসে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা শিম কিনতে আসেন এখানে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে বেশির ভাগ শিমই এই বাজার থেকে ট্রাকে ভর্তি করে ঢাকার কারওয়ান বাজার ও মিরপুরের কাঁচাবাজারের আড়তে পাঠানো হয়।
তবুও দুঃখ: শিম চাষে কুকিয়া চাঁদপুরবাসী অভাবকে জয় করলেও যোগাযোগব্যবস্থা নিয়ে তাঁদের দুঃখের শেষ নেই। এই গ্রামটির চারটি সংযোগ সড়কের সব কটিই কাঁচা। সামান্য বৃষ্টি হলেই গ্রামে আর ট্রাক ঢুকতে পারে না। এমন পরিস্থিতি হলে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ গরুর গাড়ি বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থায় শিম নিয়ে পাকা সড়কে যেতে হয়। সেখান থেকে ট্রাকে করে ঢাকায় পাঠানো হয়। গ্রামবাসীর দাবি, অন্তত একটি সংযোগ সড়ক দ্রুত পাকা করা হোক।
তাঁরা যা বলেন: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক রেজাউল করিম প্রথম আলোকে জানান, কুকিয়া চাঁদপুর গ্রামের আশরাফুল হকই এ জেলায় প্রথম পারফুল কালার শিমের আবাদ শুরু করেন, যা এখন প্রায় সারা জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। চলতি বছর ৬৬০ হেক্টর জমিতে শিমের চাষ হয়েছে। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী উৎপাদিত শিমের মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, আশরাফুলের নেতৃত্বে শিম চাষের যে বিপ্লব ঘটেছে, তা নজিরবিহীন। এর সুফল পেতে শুরু করেছে আশপাশের এলাকার জনগণ।
যেভাবে শুরু: কুকিয়া চাঁদপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল। নিজের তিন বিঘা জমিতে ধান-পাটসহ প্রচলিত ফসল আবাদ করতেন তিনি। এসব ফসলে কখনো কিছুটা লাভ হতো, কখনো খরচের টাকাই উঠত না। ঘটনাক্রমে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, যশোরের একজন কর্মকর্তার। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরেই একদিন যশোরের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে যান আশরাফুল। সেখানে রঙিন শিম চাষের পরীক্ষামূলক এক খণ্ড জমি তাঁর দৃষ্টি কাড়ে। পরে ওই কর্মকর্তার পরামর্শে নিজের তিন বিঘা জমিতেই পরিকল্পিত পদ্ধতিতে রঙিন শিম চাষ করেন। সেই শিমগাছে ফুল আসে, কিছুদিন পর থোকায় থোকায় শিম ধরে। সেই শিম দেখে আশরাফুল বিশ্বাস করতে শুরু করেন, চাষাবাদ করে লোকসানের দিন এবার শেষ হবে।
প্রথম বছর শিম চাষে আশরাফুলের খরচ হয় মাত্র ১৫ হাজার টাকা। খরচ বাদে লাভ হয় ৭৫ হাজার টাকা। এ সাফল্য দেখে পরের বছর স্থানীয় স্কুলশিক্ষক গৌতম চন্দ্র সাহাও শিম চাষ করলেন। তিনিও সফল হলেন। ধীরে ধীরে গ্রামজুড়ে কৃষকেরা শিম চাষে ঝুঁকে পড়েন। এখন এই গ্রামের অন্তত দুই শ পরিবার সরাসরি শিম চাষের সঙ্গে জড়িত। পরোক্ষভাবে জড়িত আরও অনেকে।
শিমের গ্রামে এক দিন: উপজেলা সদর থেকে পাকা, আধা পাকা ও কাঁচা রাস্তা মিলিয়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে যেতে হয় কুকিয়া চাঁদপুর গ্রামে। গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ে সড়কের দুই পাশে রঙিন শিমের অসংখ্য মাচা। সাদা ও বেগুনি রঙের ফুল আর থোকায় থোকায় রঙিন শিম দেখে মন জুড়িয়ে যায়। সবুজ, বেগুনি ও লাল রঙের সংমিশ্রিত এই শিম স্থানীয়ভাবে ‘রঙিন রূপবান’ বলে পরিচিত। অসংখ্য ফুলে ভরা মাচায় মাঝে মাঝে বাতাস লেগে ঢেউ খেলে যায়। অসাধারণ এই দৃশ্য দেখে প্রাণোচ্ছল অনেকেই গেয়ে ওঠেন জনপ্রিয় সেই গানের কলি ‘রূপবানে নাচে কোমর দুলাইয়া’।
গ্রামে ঢুকে দেখা গেল, পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও দল বেঁধে শিমখেতে কাজ করছে। কেউ শিম তুলছে। কেউ সেই শিম ঝুড়িতে করে রাস্তার পাশে জড়ো করছে। সেখানেই এগুলো বস্তায় ভরা হচ্ছে বিক্রির জন্য। গ্রামজুড়ে প্রায় দুই মাস ধরে চলছে এই কর্মযজ্ঞ। এই গ্রাম থেকে প্রতিদিন এক ট্রাক করে শিম ঢাকায় পাঠানো হয়। গ্রামবাসী জানান, আরও প্রায় আড়াই মাস এই কর্মচাঞ্চল্য থাকবে।
কথা হলো সেই আশরাফুলের সঙ্গেও। তিনি জানালেন, চারা রোপণের সময় আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় চলতি বছরে তিনি দুই বিঘা জমিতে শিমের আবাদ করেছেন। মে মাসের প্রথম দিকে চারা রোপণ করে আগস্ট মাস থেকে শিম তোলা শুরু করেন। গত ঈদের আগে ঢাকার বাজারে তিনি প্রতি কেজি শিম ১২২ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। সর্বশেষ বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে। আশা করছেন, এ বছরও তিনি খরচ বাদে দুই লাখ টাকা লাভ করবেন।
দিন বদলিয়েছেন তাঁরা: কুকিয়া চাঁদপুর গ্রামের একসময়ের ভূমিহীন দিনমজুর শহিদুল ইসলাম। সাত বছর আগেও অন্যের জমিতে ঘর তুলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনোরকমে দিন কাটাতেন। তিন বেলা ঠিকমতো খাবারও জুটত না। সেই শহিদুলই এখন সফল শিমচাষিদের একজন।
শহিদুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আশরাফুলের কাছে পরামর্শ নিয়ে তিনি এক বিঘা জমি ইজারা নেন। সেই জমিতে শিমের আবাদ শুরু করেন। প্রথম বছরই খরচ বাদে এক লাখ টাকা লাভ ঘরে তোলেন। এরপর প্রতিবছর শিমের আবাদ করছেন। শিমের লাভ থেকেই চার কাঠা জমি কিনে সেখানে আধা পাকা বাড়ি করেছেন। করেছেন শৌখিন আসবাবও।
একই গ্রামের ইদ্রিস আলী চলতি বছর আড়াই বিঘা জমিতে শিমের চাষ করেছেন। খরচ বাদে এ পর্যন্ত এক লাখ ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। আরও অন্তত তিন লাখ টাকা লাভের আশা করছেন। শহিদুল ও ইদ্রিসের মতোই শিম চাষ করে সানোয়ার হোসেন, রমজান আলী, আনোয়ার হোসেন, হুরমত আলী, মাহাবুল হোসেনসহ অনেকেই রঙিন শিমে ভাগ্য বদলিয়েছেন।
শিমের বাজার: স্থানীয় বাজারে শিম বিক্রি করা হয়। পাঠানো হয় ঢাকার পাইকারি বাজারেও। গ্রামের শিমচাষিরা মিলে একটি সমিতি গঠন করেছেন। এই সমিতি সম্মিলিতভাবে শিম বাজারজাত করছে। প্রতিবছরের মতো এবারও শিমের মৌসুম শুরুর পর থেকেই কুকিয়া চাঁদপুর কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রতিদিনই শিমের বাজার বসে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা শিম কিনতে আসেন এখানে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে বেশির ভাগ শিমই এই বাজার থেকে ট্রাকে ভর্তি করে ঢাকার কারওয়ান বাজার ও মিরপুরের কাঁচাবাজারের আড়তে পাঠানো হয়।
তবুও দুঃখ: শিম চাষে কুকিয়া চাঁদপুরবাসী অভাবকে জয় করলেও যোগাযোগব্যবস্থা নিয়ে তাঁদের দুঃখের শেষ নেই। এই গ্রামটির চারটি সংযোগ সড়কের সব কটিই কাঁচা। সামান্য বৃষ্টি হলেই গ্রামে আর ট্রাক ঢুকতে পারে না। এমন পরিস্থিতি হলে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ গরুর গাড়ি বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থায় শিম নিয়ে পাকা সড়কে যেতে হয়। সেখান থেকে ট্রাকে করে ঢাকায় পাঠানো হয়। গ্রামবাসীর দাবি, অন্তত একটি সংযোগ সড়ক দ্রুত পাকা করা হোক।
তাঁরা যা বলেন: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক রেজাউল করিম প্রথম আলোকে জানান, কুকিয়া চাঁদপুর গ্রামের আশরাফুল হকই এ জেলায় প্রথম পারফুল কালার শিমের আবাদ শুরু করেন, যা এখন প্রায় সারা জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। চলতি বছর ৬৬০ হেক্টর জমিতে শিমের চাষ হয়েছে। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী উৎপাদিত শিমের মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, আশরাফুলের নেতৃত্বে শিম চাষের যে বিপ্লব ঘটেছে, তা নজিরবিহীন। এর সুফল পেতে শুরু করেছে আশপাশের এলাকার জনগণ।
No comments