সপ্তাশ্চর্যে নেই সুন্দরবন
রাত ১টা। লাখ লাখ বাঙালির চোখ ইন্টারনেটে। মোবাইল ফোনে কথা চালাচালি। অজস্র চোখ আটকে আছে টিভির পর্দায়। আর মাত্র ৭ মিনিট পর ঘোষিত হবে বিশ্বের সাতটি প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের নাম। তখনো আয়োজক প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে সেরা ১৪টি প্রাকৃতিক আশ্চর্যের তালিকায় সংযুক্ত আছে সুন্দরবনের নাম। কোটি প্রাণের অভিন্ন চাওয়া_সেরা সাতে থাকুক সুন্দরবন। উৎকণ্ঠা আর উত্তেজনায় পার হলো বাকি সাতটি মিনিট। উল্লাসে ফেটে পড়ার সব প্রস্তুতি নিয়ে এবার চূড়ান্ত ঘোষণায় চোখ রাখা।
কিন্তু প্রত্যাশার চোখে নিমেষে জড়ো হলো কালো মেঘ, আশার ফানুস চুপসে নেমে এলো আশাভঙ্গের বেদনা। নিউসেভেন ওয়ান্ডার্স অব নেচারের অফিসিয়াল কমিটি ঘোষিত তালিকায় আমাদের সুন্দরবন নেই। টানা চারটি বছরের প্রচারাভিযানের পর ভোটে ফেল করলে প্রার্থী ও তার সমর্থকদের মনের অবস্থা যে রকম হয়, গত রাত থেকে দেশের সবার মনের অবস্থা একেবারেই সেরকম। ভারতীয়দেরও কি নয়? সুন্দরবনটা যে এপার-ওপারকে এক সুতোয় গেঁথে রেখেছে_সীমান্ত বেড়ার বিভেদ ভুলে দুই দেশ তো এখানে অভিন্ন হৃদয়।
এরপর অবশ্য কোন সাতটি প্রাকৃতিক স্থান সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় টিকে গেল সেসবের নাম নিয়ে বাঙালির আর কোনো মাথাব্যথা নেই। তবুও জানতে হয়। নিউসেভেনওয়ান্ডার্সডটকমের অফিসিয়াল কমিটির গণনা করা ভোটে কোন স্থানটি প্রথম হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা সম্ভব হয়নি। কারণ, সেরা সাতটি স্থানের নাম আদ্যাক্ষর অনুসারে প্রকাশ করেছে তারা। তালিকা অনুসারে স্থান পাওয়া প্রাকৃতিক সেরা সাতটি সপ্তাশ্চর্য হচ্ছে_আমাজন নদী, হ্যালং বে, ইগুয়াজু ফলস, জিজু আইসল্যান্ড, কোমোডো, পুয়ের্তো প্রিন্সেসা আন্ডারগ্রাউন্ড রিভার ও টেবল মাউন্টেন।
গত রাতে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে নিউসেভেনওয়ান্ডার্সের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট বার্নার্ড ওয়েবার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি এই প্রতিযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া এবং ভোট প্রদানে উদ্বুদ্ধ করার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত চার বছর আগে বিশ্বের ২২০টি দেশের ৪৪০টি বিশেষ স্থানকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করে দেয় আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি। এরপর সারা বিশ্বের প্রকৃতিপ্রেমী ও সচেতন নাগরিকদের ভোটে ধাপে ধাপে বাছাই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। গতকাল ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় বিকেল পর্যন্ত ছিল ভোট প্রদানের শেষ সময়। এরপর প্রাপ্ত ইমেইল ভোট ও এসএমএস ভোট গণনা শেষে গতকাল রাত ১টা ৭ মিনিটে চার বছরব্যাপী প্রচারণাটির আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এরপর অবশ্য কোন সাতটি প্রাকৃতিক স্থান সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় টিকে গেল সেসবের নাম নিয়ে বাঙালির আর কোনো মাথাব্যথা নেই। তবুও জানতে হয়। নিউসেভেনওয়ান্ডার্সডটকমের অফিসিয়াল কমিটির গণনা করা ভোটে কোন স্থানটি প্রথম হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা সম্ভব হয়নি। কারণ, সেরা সাতটি স্থানের নাম আদ্যাক্ষর অনুসারে প্রকাশ করেছে তারা। তালিকা অনুসারে স্থান পাওয়া প্রাকৃতিক সেরা সাতটি সপ্তাশ্চর্য হচ্ছে_আমাজন নদী, হ্যালং বে, ইগুয়াজু ফলস, জিজু আইসল্যান্ড, কোমোডো, পুয়ের্তো প্রিন্সেসা আন্ডারগ্রাউন্ড রিভার ও টেবল মাউন্টেন।
গত রাতে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে নিউসেভেনওয়ান্ডার্সের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট বার্নার্ড ওয়েবার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি এই প্রতিযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া এবং ভোট প্রদানে উদ্বুদ্ধ করার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত চার বছর আগে বিশ্বের ২২০টি দেশের ৪৪০টি বিশেষ স্থানকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করে দেয় আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি। এরপর সারা বিশ্বের প্রকৃতিপ্রেমী ও সচেতন নাগরিকদের ভোটে ধাপে ধাপে বাছাই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। গতকাল ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় বিকেল পর্যন্ত ছিল ভোট প্রদানের শেষ সময়। এরপর প্রাপ্ত ইমেইল ভোট ও এসএমএস ভোট গণনা শেষে গতকাল রাত ১টা ৭ মিনিটে চার বছরব্যাপী প্রচারণাটির আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
No comments