ভয়াল ১২ নভেম্বর আজ-স্বজনহারা লাখো মানুষের কান্না এখনো থামেনি
আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের এই দিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় গোর্কীর আঘাত আর জলোচ্ছ্বাসে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল উপকূলীয় এলাকা ভোলা, পার্শ্ববর্তী বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, খুলনা নোয়াখালীসহ ১৮টি জেলা। ৪১ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও কান্না থামেনি উপকূলীয় এলাকার স্বজনহারা লাখো মানুষের। দিনটিকে স্মরণ করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।ভোলা প্রতিনিধি জানান, উপকূলীয় জেলা ভোলাবাসীর বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের দিন আজ। ঘূর্ণিঝড় গোর্কী ও জলোচ্ছ্বাসে ভোলার এক-তৃতীয়াংশ এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।
ভয়াল সেই স্মৃতি বর্ণনা করতে গিয়ে ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং ওই সময়ের দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার ভোলার সংবাদদাতা এম হাবিবুর রহমান (৬৭) বলেন, 'সেদিন ছিল রোজার মাস। সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। দুপুরের পর থেকে আস্তে আস্তে বাতাস বইতে শুরু করে। বিকেলের দিকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সন্ধ্যায় বাতাসের বেগ বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর বাতাস ও বৃষ্টির প্রচণ্ডতা আরো বেড়ে যায়। রাত ২টা থেকে আড়াইটার দিকে মেঘনা-তেতুঁলিয়া ও বঙ্গোপসাগরের জলোচ্ছ্বাসের পানি ১৪ ফুট উঁচু বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গোটা ভোলা তলিয়ে যায়।' তিনি বলেন, পরের দিন ১৩ নভেম্বর ভোরে পানি যখন নামতে শুরু করে, তখন প্রচণ্ড বেগে জলোচ্ছ্বাসের পানির স্রোতের সঙ্গে মাছ ধরার ট্রলার ও লঞ্চ শহরে ঢুকে পড়ে। পানিতে ভেসে যায় অগণিত মানুষের লাশ। বিভিন্ন গাছের মাথায় ঝুলতে দেখা যায় মানুষ ও পশুর মৃতদেহ। চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ। শুধুমাত্র মনপুরা উপজেলায় ২২ হাজারের মধ্যে ১৭ হাজার মানুষ পানিতে ভেসে যায়।
দিনটিকে স্মরণ করতে আজ শনিবার বিকেল ৩টায় ভোলা শহরের নতুন বাজার চত্বরে সর্বদলীয় স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি কৃষক মো. ছাদেক এ কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দোয়া ও মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশের উপকূলজুড়ে এখন চলছে নতুন ফসল কাটার মৌসুম। ১৯৭০ সালের এই দিনেও উপকূলের পরিবেশ ছিল একই রকম। নবান্নের মৌসুমে এমনি আনন্দঘন পরিবেশে আকস্মিক বয়ে যায় প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় গোর্কী ও জলোচ্ছ্বাস। এতে প্রাণ হারায় অগনিত মানুষ।
চরবাটা ইউনিয়নের বৃদ্ধ বদিউল আলম বলেন, 'সেদিন সন্ধ্যার অনেকক্ষণ আগে চারদিক থেকে বাতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল।
দিনটিকে স্মরণ করতে আজ শনিবার বিকেল ৩টায় ভোলা শহরের নতুন বাজার চত্বরে সর্বদলীয় স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি কৃষক মো. ছাদেক এ কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দোয়া ও মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশের উপকূলজুড়ে এখন চলছে নতুন ফসল কাটার মৌসুম। ১৯৭০ সালের এই দিনেও উপকূলের পরিবেশ ছিল একই রকম। নবান্নের মৌসুমে এমনি আনন্দঘন পরিবেশে আকস্মিক বয়ে যায় প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় গোর্কী ও জলোচ্ছ্বাস। এতে প্রাণ হারায় অগনিত মানুষ।
চরবাটা ইউনিয়নের বৃদ্ধ বদিউল আলম বলেন, 'সেদিন সন্ধ্যার অনেকক্ষণ আগে চারদিক থেকে বাতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল।
No comments