লাল পপি ফুলে শফিক রেহমানের জন্মদিন by হাসান শান্তনু
গতকাল ‘১১-১১-১১’র মতো ঐতিহাসিক দিনে ছিল দেশের বরেণ্য সাংবাদিক, সম্পাদক ও কলামিস্ট শফিক রেহমানের ৭৭তম জন্মদিন। এবারের জন্মদিনকে ইতিহাসের ফ্রেমে বিশেষভাবে বন্দি করে রাখতে বিশ্বশান্তির প্রতীক পপি ফুল দিয়ে অতিথি বরণ আর তার নামে তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইটের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ব্যতিক্রমভাবে দিনটি উদযাপন করেন প্রখ্যাত এ সাংবাদিক। জন্মদিনে ভক্ত, পাঠক, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ দেশের শীর্ষ সারির রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, চিত্রশিল্পী, সংসদ সদস্য আর বিভিন্ন অঙ্গনের খ্যাতিমানরা ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন তাকে।
এগারটি মোমবাতির আলোতে গতকাল সকাল এগারটা এগার মিনিটে শফিক রেহমান জন্মদিনের কেক কাটেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। চিরতারুণ্যের প্রতীক এ ব্যক্তিত্বের জন্মদিনে পুরনো দিনের রোমান্টিক কিছু গান আর ব্যান্ডের সঙ্গে ছিল অসংখ্য তরুণের উচ্ছলতা আর আনন্দ-উল্লাস। গতকাল দিনভর ভক্ত-অনুরাগীদের ভিড় ছিল তার ঢাকার ইস্কাটনের বাসায়। তারা প্রিয় মানুষটির বাড়িতে নিজেরাই ফুল, কেক ও মিষ্টি নিয়ে হাজির হন। স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদের শাসনসহ বিভিন্ন সরকারের বিরুদ্ধে কলম ধরে রোষানলের শিকার হয়েছিলেন এ সাংবাদিক। জন্মদিনের অনুভূতি প্রকাশের মধ্যেও তার এ দৃঢ়তা ফুটে ওঠে। তিনি বলেন, ‘আমি শান্তি ও সবল গণতন্ত্রের পক্ষে। দেশে বিদ্যমান দুর্নীতি, বেকারত্ব, দারিদ্র্য, প্রতিহিংসার রাজনীতি দূর হবে, শিক্ষার প্রসার ঘটবে, বিশেষ করে নারী শিক্ষার—এটাই আমার জন্মদিনে প্রত্যাশা। দেশে সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতি দেখার ইচ্ছে আমার। আর ৭৭ বছর বয়সে এসেও কাজ করতে পারছি, আমি তো সৌভাগ্যবান।’
জন্মদিনের অনুষ্ঠান উপলক্ষে তার বাড়িটিও সাজানো হয় বর্ণাঢ্যভাবে। মূল গেট থেকে দুই ভবনের নিচতলা পর্যন্ত টানানো হয় নানা রঙের বেলুন। এদেশে ভালোবাসা দিবসের প্রবর্তক প্রথিতযশা সাংবাদিক শফিক রেহমানের জন্মদিনের পোশাকেও ছিল তারুণ্যের ছাপ। তিনি পরেন পপি ফুলের রঙের সঙ্গে মিল রেখে লাল শার্ট।
বুকে সেফটিপিন দিয়ে সাঁটিয়ে রাখেন লাল পপি ফুল। অতিথিদের বুকেও এভাবে সাঁটিয়ে দেয়া হয় পপি ফুল। সকাল থেকে তার বাড়িতে ফুলের তোড়া হাতে আসতে থাকেন অতিথিরা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও আসে ফুলের তোড়া। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্র্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া সংসদ সদস্য শাম্মী আখতার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামালউদ্দিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, চিত্রশিল্পী মাকসুদুর রহমান, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার ফরিদ আহমেদ, দৈনিক দিনকাল সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, দৈনিক ভোরের ডাক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মামুন রহমানসহ আরও অনেকে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। দৈনিক আমার দেশ, ডেমোক্র্যাসি ওয়াচ, লাল গোলাপ অনুষ্ঠান, গ্রুপ জি-৯, ফিল্ম সংগঠন এএসএস ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাও শুভেচ্ছা জানাতে আসেন।
শফিক রেহমানের এবারের জন্মদিনের বিশেষ আকর্ষণ ‘.িংযধভরশত্বযসধহ.পড়স্থ নামে চালু হওয়া ওয়েবসাইট। এতে থাকবে তার সাম্প্রতিক লেখা, পাঠকনন্দিত সাপ্তাহিক যায়যায়দিন-এর প্রচ্ছদসহ পত্রিকাটিতে ‘দিনের পর দিন’ শিরোনামে প্রকাশিত তার কলাম, প্রেমলীলা, অবাক পৃথিবী, চালুকথা শোনাকথা, গ্লোবাল ইস্যু, পাতাবাহার, ছোটগল্প, নাটক, গান, তার নির্মিত টিভি অনুষ্ঠান লাল গোলাপ, ভিডিও-অডিও, দেশ-বিদেশের আলোচিত বিভিন্ন ঘটনার ছবি, কার্টুন, অনুবাদ ও প্রবাদ। আরও থাকবে কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার, অমিতাভ বচ্চন, মিঠুন চক্রবর্তী, অনিল কাপুর, সঙ্গীতজ্ঞ ভুপেন হাজারিকা, ব্রিটেনের মার্গারেট থ্যাচার, পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইমরান খান, দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ নানা অঙ্গনে বরেণ্য ও পৃথিবীখ্যাত ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে শফিক রেহমানের তোলা ছবি।
জন্মদিনে ওয়েবসাইট চালু হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘১৪০০ সাল’ কবিতার প্রথম কয়েক লাইন আওড়ান। এরপর বলেন, ‘আমিও একজন সাধারণ লেখক। আশা করছি, আজ হতে শত বছর পরে অন্তরীক্ষে আমার লেখাগুলো থাকবে। ইন্টারনেটে ংযধভরশত্বযসধহ.পড়স ওয়েবসাইট পড়বেন কৌতূহলী পাঠকরা। তারা জানবেন ১১.১১.১১-র অসাধারণত্ব। আরও জানবেন এ অসাধারণ দিনটির সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততার কথা। তিনি বলেন, ‘আমি জন্মদিন উদযাপনের কথা খুব একটা জানাই না। ওয়েবসাইট খুলছি বলেই এবার প্রকাশ্যে জানাচ্ছি’।
তিনি আমার দেশকে বলেন, ‘দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরে বিশেষত ইউরোপে শান্তিবাদীরা সোচ্চার হয়ে ওঠেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঠেকাতে। নোবেল বিজয়ী দার্শনিক বারট্রান্ড রাসেল এ শান্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। শান্তির বাণী প্রচারের সঙ্গে ব্রিটেন ও কনটিনেন্টাল ইউরোপে প্রতি বছরের ১ থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত নারী-পুরুষরা তাদের পোশাকে বুকের ওপর লাল কাগজের পপি ফুল সেফটিপিন দিয়ে পরে থাকেন। যুদ্ধক্ষেত্রে হতাহত সৈনিকদের লাল রক্তের প্রতীক লাল পপি ফুল। প্রতিবছর ১ থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত লন্ডনের পথে এ ফুল বিক্রি হয়। ফুল বিক্রির টাকা যায় পঙ্গু যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সাহায্যের ফান্ডে। আমার জন্মদিন উদযাপনের পপি ফুলগুলো আমার স্ত্রী তালেয়া রেহমান এনেছেন লন্ডন থেকে।’
১৯৩৪ সালে বগুড়ায় জন্ম নেন শফিক রেহমান। তিনি একাধারে লেখক, সম্পাদক, টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপক ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৬ সালে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডন যান। ১৯৬৮ সালে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে দেশে ফিরে আসেন। তিনি আবার লন্ডন ফিরে যান। সেখানে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বমত তৈরি করতে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর অধীনে কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর দেশে ফিরে তিনি তার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট পেশায় মনোনিবেশ করেন। পাশাপাশি তিনি দৈনিক ইত্তেফাক, ইংরেজি সাপ্তাহিক দি এক্সপ্রেস ও বিবিসি’র বাংলা বিভাগে কাজ করতেন। এরপর আশির দশকের গোড়ার দিকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সাপ্তাহিক যায়যায়দিন পত্রিকা। স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে লেখায় এরশাদ সরকার পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল করে শফিক রেহমানকে লন্ডনে নির্বাসনে পাঠায়। পরে পত্রিকাটি আবার প্রকাশিত ও একপর্যায়ে দৈনিক হয়। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শফিক রেহমানের কাছ থেকে তার ভাষায় ‘ছিনতাই হয়ে যায় যায়যায়দিন।’ বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ‘লাল গোলাপ’ নামে জনপ্রিয় একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান উপস্থাপনার পাশাপাশি ‘মৌচাকে ঢিল’ পত্রিকা সম্পাদনা করছেন।
জন্মদিনের অনুষ্ঠান উপলক্ষে তার বাড়িটিও সাজানো হয় বর্ণাঢ্যভাবে। মূল গেট থেকে দুই ভবনের নিচতলা পর্যন্ত টানানো হয় নানা রঙের বেলুন। এদেশে ভালোবাসা দিবসের প্রবর্তক প্রথিতযশা সাংবাদিক শফিক রেহমানের জন্মদিনের পোশাকেও ছিল তারুণ্যের ছাপ। তিনি পরেন পপি ফুলের রঙের সঙ্গে মিল রেখে লাল শার্ট।
বুকে সেফটিপিন দিয়ে সাঁটিয়ে রাখেন লাল পপি ফুল। অতিথিদের বুকেও এভাবে সাঁটিয়ে দেয়া হয় পপি ফুল। সকাল থেকে তার বাড়িতে ফুলের তোড়া হাতে আসতে থাকেন অতিথিরা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও আসে ফুলের তোড়া। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্র্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া সংসদ সদস্য শাম্মী আখতার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামালউদ্দিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, চিত্রশিল্পী মাকসুদুর রহমান, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার ফরিদ আহমেদ, দৈনিক দিনকাল সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, দৈনিক ভোরের ডাক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মামুন রহমানসহ আরও অনেকে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। দৈনিক আমার দেশ, ডেমোক্র্যাসি ওয়াচ, লাল গোলাপ অনুষ্ঠান, গ্রুপ জি-৯, ফিল্ম সংগঠন এএসএস ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাও শুভেচ্ছা জানাতে আসেন।
শফিক রেহমানের এবারের জন্মদিনের বিশেষ আকর্ষণ ‘.িংযধভরশত্বযসধহ.পড়স্থ নামে চালু হওয়া ওয়েবসাইট। এতে থাকবে তার সাম্প্রতিক লেখা, পাঠকনন্দিত সাপ্তাহিক যায়যায়দিন-এর প্রচ্ছদসহ পত্রিকাটিতে ‘দিনের পর দিন’ শিরোনামে প্রকাশিত তার কলাম, প্রেমলীলা, অবাক পৃথিবী, চালুকথা শোনাকথা, গ্লোবাল ইস্যু, পাতাবাহার, ছোটগল্প, নাটক, গান, তার নির্মিত টিভি অনুষ্ঠান লাল গোলাপ, ভিডিও-অডিও, দেশ-বিদেশের আলোচিত বিভিন্ন ঘটনার ছবি, কার্টুন, অনুবাদ ও প্রবাদ। আরও থাকবে কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার, অমিতাভ বচ্চন, মিঠুন চক্রবর্তী, অনিল কাপুর, সঙ্গীতজ্ঞ ভুপেন হাজারিকা, ব্রিটেনের মার্গারেট থ্যাচার, পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইমরান খান, দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ নানা অঙ্গনে বরেণ্য ও পৃথিবীখ্যাত ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে শফিক রেহমানের তোলা ছবি।
জন্মদিনে ওয়েবসাইট চালু হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘১৪০০ সাল’ কবিতার প্রথম কয়েক লাইন আওড়ান। এরপর বলেন, ‘আমিও একজন সাধারণ লেখক। আশা করছি, আজ হতে শত বছর পরে অন্তরীক্ষে আমার লেখাগুলো থাকবে। ইন্টারনেটে ংযধভরশত্বযসধহ.পড়স ওয়েবসাইট পড়বেন কৌতূহলী পাঠকরা। তারা জানবেন ১১.১১.১১-র অসাধারণত্ব। আরও জানবেন এ অসাধারণ দিনটির সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততার কথা। তিনি বলেন, ‘আমি জন্মদিন উদযাপনের কথা খুব একটা জানাই না। ওয়েবসাইট খুলছি বলেই এবার প্রকাশ্যে জানাচ্ছি’।
তিনি আমার দেশকে বলেন, ‘দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরে বিশেষত ইউরোপে শান্তিবাদীরা সোচ্চার হয়ে ওঠেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঠেকাতে। নোবেল বিজয়ী দার্শনিক বারট্রান্ড রাসেল এ শান্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। শান্তির বাণী প্রচারের সঙ্গে ব্রিটেন ও কনটিনেন্টাল ইউরোপে প্রতি বছরের ১ থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত নারী-পুরুষরা তাদের পোশাকে বুকের ওপর লাল কাগজের পপি ফুল সেফটিপিন দিয়ে পরে থাকেন। যুদ্ধক্ষেত্রে হতাহত সৈনিকদের লাল রক্তের প্রতীক লাল পপি ফুল। প্রতিবছর ১ থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত লন্ডনের পথে এ ফুল বিক্রি হয়। ফুল বিক্রির টাকা যায় পঙ্গু যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সাহায্যের ফান্ডে। আমার জন্মদিন উদযাপনের পপি ফুলগুলো আমার স্ত্রী তালেয়া রেহমান এনেছেন লন্ডন থেকে।’
১৯৩৪ সালে বগুড়ায় জন্ম নেন শফিক রেহমান। তিনি একাধারে লেখক, সম্পাদক, টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপক ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৬ সালে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডন যান। ১৯৬৮ সালে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে দেশে ফিরে আসেন। তিনি আবার লন্ডন ফিরে যান। সেখানে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বমত তৈরি করতে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর অধীনে কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর দেশে ফিরে তিনি তার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট পেশায় মনোনিবেশ করেন। পাশাপাশি তিনি দৈনিক ইত্তেফাক, ইংরেজি সাপ্তাহিক দি এক্সপ্রেস ও বিবিসি’র বাংলা বিভাগে কাজ করতেন। এরপর আশির দশকের গোড়ার দিকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সাপ্তাহিক যায়যায়দিন পত্রিকা। স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে লেখায় এরশাদ সরকার পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল করে শফিক রেহমানকে লন্ডনে নির্বাসনে পাঠায়। পরে পত্রিকাটি আবার প্রকাশিত ও একপর্যায়ে দৈনিক হয়। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শফিক রেহমানের কাছ থেকে তার ভাষায় ‘ছিনতাই হয়ে যায় যায়যায়দিন।’ বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ‘লাল গোলাপ’ নামে জনপ্রিয় একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান উপস্থাপনার পাশাপাশি ‘মৌচাকে ঢিল’ পত্রিকা সম্পাদনা করছেন।
No comments