সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট আক্রান্ত-রেজিস্ট্রার বললেন হ্যাকিং নয়, ভাইরাস
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ওয়েবসাইটে স্বাভাবিক তথ্য দেখা যায়নি। তার বদল ওয়েবসাইটে (www.supremecourt.gov.bd) ইংরেজিতে লেখা 'ওপস... ইউ গট হ্যাকড' লেখা দেখা যাচ্ছিল। হ্যাকাররা 'তাদের থ্রি বাংলাদেশি আন্ডারগ্রাউন্ড হ্যাকার' হিসেবে পরিচয় জানায়। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে কালো জমিনে লাল সবুজ রঙে লেখা পাতাটির শেষে ইংরেজিতে 'অল রাইট রিজার্ভ বাই থ্রি এঙ্পি আই আর থ্রি সাইবার আর্মি' লেখা দেখা যায়।
তবে রাত সাড়ে ৮টায় ওয়েবসাইট আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৬ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলাম ফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিষয়টি হ্যাকিং নয়, এক ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ।'জানা যায়, গতকাল সকাল ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্স অ্যান্ড রিসার্চ অফিসার আজিজুল হক টেলিফোন করে বিষয়টি তাঁদের আইটি ইনচার্জ পারভেজ আনোয়ারকে জানান। পারভেজ কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ছুটে আসেন এবং ওয়েবসাইটটি স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসার কাজ শুরু করেন। তবে কালের কণ্ঠ থেকে সার্চ করে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ওয়েবসাইটে একই ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা যায়।
পারভেজ আনোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আমার ধারণা এটা ভাইরাস। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট সার্চ করলে ওই ভাইরাস অন্য ওয়েবসাইটে নিয়ে যাচ্ছে।'
সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে পারভেজ আনোয়ার বলেন, 'আমি এখনো অফিসে পেঁৗছতে পারিনি। তবে আমার লোকজন কাজ করছে।'
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট সার্চ দিয়ে পাতায় দেখা যায়, গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, 'একজন সাংবাদিক, লেখক ও একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্বের প্রতি আমাদের বার্তা হচ্ছে_দেশের প্রতি তোমাদের আরো অনেক দায়িত্ব রয়েছে। জনগণ তোমাদেরকে বিশ্বাস করে, আস্থা রাখে এবং অনুসরণ করে। তোমরা যাই লেখ না কেন, যা কিছুই তোমরা উপস্থাপন করো না কেন, তাকে সত্য হিসেবে মেনে নেয়। কলম ও ক্যামেরার সাহায্যে তোমরা এমন কিছু করো, যা সাধারণ বাংলাদেশিরা করতে পারে না। সুতরাং আমরা তোমাদেরকে অনুরোধ করছি, অপশক্তি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পূর্বেই তোমরা বাংলাদেশকে রক্ষা করো। সৎ হও, জনগণকে বিপথে পরিচালিত করো না। টাকা ও খ্যাতি জীবনে ক্ষণস্থায়ী। অসৎ রাজনীতিকদের সমর্থন দেওয়া বন্ধ করো। ইতিমধ্যেই তারা অনেক ক্ষতি করেছে।'
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের ওয়েবসাইট আক্রান্ত হয়েছিল। সে সময়ও সাইটে দেওয়া বার্তায় হ্যাকাররা বাংলাদেশি বলে দাবি করে। এ ছাড়া গত বছরের ২১ মার্চ বাংলাদেশে বড় ধরনের ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। এদিন সরকারের জেলাভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল 'জেলা তথ্য বাতায়ন' হ্যাকারদের কবলে পড়ে।
হ্যাকাররা এটাকে সাইবার-যুদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করে এবং তারা জানায়, বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে ভারতে কোনো হামলার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান। হ্যাকাররা নিজেদেরকে ভারতীয় বলে পরিচয় দেয়। আক্রান্ত ওয়েব পোর্টালে লেখা ছিল, 'হ্যাকড বাই ইএমআইএল ইন্ডিয়ান হ্যাকার।' সেই সঙ্গে 'জয়হিন্দ' স্লোগানসহ একটি লোগো। এ ঘটনায় হ্যাকারদের ভারতীয় আইপি অ্যাড্রেসও শনাক্ত করা হয়।
পারভেজ আনোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আমার ধারণা এটা ভাইরাস। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট সার্চ করলে ওই ভাইরাস অন্য ওয়েবসাইটে নিয়ে যাচ্ছে।'
সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে পারভেজ আনোয়ার বলেন, 'আমি এখনো অফিসে পেঁৗছতে পারিনি। তবে আমার লোকজন কাজ করছে।'
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট সার্চ দিয়ে পাতায় দেখা যায়, গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, 'একজন সাংবাদিক, লেখক ও একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্বের প্রতি আমাদের বার্তা হচ্ছে_দেশের প্রতি তোমাদের আরো অনেক দায়িত্ব রয়েছে। জনগণ তোমাদেরকে বিশ্বাস করে, আস্থা রাখে এবং অনুসরণ করে। তোমরা যাই লেখ না কেন, যা কিছুই তোমরা উপস্থাপন করো না কেন, তাকে সত্য হিসেবে মেনে নেয়। কলম ও ক্যামেরার সাহায্যে তোমরা এমন কিছু করো, যা সাধারণ বাংলাদেশিরা করতে পারে না। সুতরাং আমরা তোমাদেরকে অনুরোধ করছি, অপশক্তি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পূর্বেই তোমরা বাংলাদেশকে রক্ষা করো। সৎ হও, জনগণকে বিপথে পরিচালিত করো না। টাকা ও খ্যাতি জীবনে ক্ষণস্থায়ী। অসৎ রাজনীতিকদের সমর্থন দেওয়া বন্ধ করো। ইতিমধ্যেই তারা অনেক ক্ষতি করেছে।'
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের ওয়েবসাইট আক্রান্ত হয়েছিল। সে সময়ও সাইটে দেওয়া বার্তায় হ্যাকাররা বাংলাদেশি বলে দাবি করে। এ ছাড়া গত বছরের ২১ মার্চ বাংলাদেশে বড় ধরনের ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। এদিন সরকারের জেলাভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল 'জেলা তথ্য বাতায়ন' হ্যাকারদের কবলে পড়ে।
হ্যাকাররা এটাকে সাইবার-যুদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করে এবং তারা জানায়, বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে ভারতে কোনো হামলার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান। হ্যাকাররা নিজেদেরকে ভারতীয় বলে পরিচয় দেয়। আক্রান্ত ওয়েব পোর্টালে লেখা ছিল, 'হ্যাকড বাই ইএমআইএল ইন্ডিয়ান হ্যাকার।' সেই সঙ্গে 'জয়হিন্দ' স্লোগানসহ একটি লোগো। এ ঘটনায় হ্যাকারদের ভারতীয় আইপি অ্যাড্রেসও শনাক্ত করা হয়।
No comments