ফিরতি ফ্লাইট শুরু-ভোগান্তি মাথায় নিয়ে ফিরছেন হাজিরা
পবিত্র হজব্রত পালন শেষে হাজিরা দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। ফিরতিপথেও ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না তাঁদের। গতকাল শুক্রবার হাজিদের নিয়ে বিমানের প্রথম ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছেছে নির্ধারিত সময়ের সাড়ে তিন ঘণ্টা পর। এ জন্য হাজিরা ফিরতিপথে চরম দুর্ভোগে পড়েন। ঢাকায় ফিরে এবং জেদ্দা বিমানবন্দরে ফিরতি ফ্লাইটে নানা ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন দেশে ফেরা হাজিরা।বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইটটি গতকাল দুপুর ১২টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি অবতরণের কথা ছিল সকাল ৮টায়।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের সাড়ে তিন ঘণ্টা পর বিমানটি ঢাকায় পেঁৗছায়। এ সময় বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী জি এম কাদের হাজিদের অভ্যর্থনা জানান।
বাংলাদেশ বিমানের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহনেওয়াজ ফ্লাইট দেরিতে পেঁৗছানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এটা বিমানের কোনো ত্রুটি নয়। সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরে জটিলতার কারণেই বিলম্ব হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি হাজিদের আনতে বৃহস্পতিবার যথাসময়েই ঢাকা ছেড়ে যায়। কিন্তু জেদ্দা ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ লাইনের কারণে ফ্লাইটটি যথাসময়ে জেদ্দা ছাড়তে পারেনি। গতকাল দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ বিমানের আরো দুটি হজ ফ্লাইট ঢাকায় পেঁৗছেছে। ওই দুটিসহ বিমানের তিনটি ফ্লাইটে মোট এক হাজার ৩২ জন হাজি গতকাল দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটগুলো ঢাকায় এসে পেঁৗছায় গতকাল দুপুর ১২টা, দেড়টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমান ছাড়াও সৌদি মালিকানাধীন নাস এয়ারলাইনস, কাতার এয়ারওয়েজসহ আরো কয়েকটি বিমান সংস্থার হজ ফ্লাইটও গতকাল ঢাকায় পেঁৗছেছে। এ দিন নাস এয়ারলাইনসের দুটি ফিরতি হজ ফ্লাইট ঢাকায় পেঁৗছায়। ওই দুটি ফ্লাইটে এক হাজার চারজন হাজি দেশে ফিরেছেন।
জেদ্দাফেরত হাজিরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তাঁদের ফিরতিপথের নানা দুর্ভোগের কথা জানান। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের হাজি হাসিবুল ইসলাম জানান, তিনি সহধর্মিণীকে সঙ্গে নিয়ে হজ শেষে শুক্রবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। পবিত্র হজ পালন করতে পেরে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন। মহান আল্লাহর কাছে এ জন্য তিনি শুকরিয়া আদায় করেন। এর পাশাপাশি জানান ফিরতিপথে ভোগান্তির কথা। এমনকি বিমানবন্দরে নামার পর সঙ্গে আনা পবিত্র জমজমের পানিসহ অন্য কোনো জিনিসই তিনি খুঁজে পাননি। পরনের কাপড় ছাড়া তাঁর সঙ্গে আর কিছুই নেই।
শুধু লাগেজ আর জমজমের পানিই নয়, জেদ্দা বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, কোনো রকমে পানি, সামান্য রুটি খেয়ে-না খেয়ে হাসিবুল ইসলামের মতো দুর্ভোগ আর ভোগান্তি সঙ্গী করে দেশে ফিরেছেন অন্য হাজিরাও।
বেশ কয়েকজন হাজির সঙ্গে বিমানবন্দরে কথা বলে জানা গেছে, নাস এয়ারে আসা বেশির ভাগ হাজিকে জেদ্দা বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। নরসিংদীর হাজি মাসুদুল হক বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় জেদ্দা বিমানবন্দরে আসেন। এরপর সকাল, দুপুর, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। অবশেষে রাত সোয়া ৯টায় ঢাকার উদ্দেশে জেদ্দা ছাড়ে নাস এয়ারের ফ্লাইটটি। ৬৫ বছরের বৃদ্ধ পাবনার হাজি হাবিবুর রহমানও একই ফ্লাইটে এসেছেন জেদ্দা থেকে। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই বৃদ্ধ বিমানবন্দরে নেমে যেন আর দাঁড়াতে পারছিলেন না। আরেক হাজি হাবিবুর বলেন, 'জেদ্দা বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার ভোর থাইক্যা রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। সাথে কোনো খাবার আছিল না। বিমানবন্দরে খাবারের অনেক দাম। কিন্যা খাওনের টাকাও আছিল না। এজেন্সির লোকরা একটু রুটি ও পানি দিছিল। তাই খাইয়্যা রাত পর্যন্ত আছিলাম।' একই এলাকার হাজি কেরামত আলী ও আবদুস সোবহানও জানালেন একই রকম কষ্টের কথা। এই তিনজনের কেউই তাঁদের লাগেজ ও জমজমের পানি পাননি। এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ
জানিয়ে দিয়েছে, রবিবার বিমানবন্দরে এলে তাঁরা লাগেজ ও পানি নিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এ কথায় আশ্বস্ত হতে পারছেন না তাঁরা।
বাংলাদেশ বিমানের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহনেওয়াজ ফ্লাইট দেরিতে পেঁৗছানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এটা বিমানের কোনো ত্রুটি নয়। সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরে জটিলতার কারণেই বিলম্ব হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি হাজিদের আনতে বৃহস্পতিবার যথাসময়েই ঢাকা ছেড়ে যায়। কিন্তু জেদ্দা ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ লাইনের কারণে ফ্লাইটটি যথাসময়ে জেদ্দা ছাড়তে পারেনি। গতকাল দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ বিমানের আরো দুটি হজ ফ্লাইট ঢাকায় পেঁৗছেছে। ওই দুটিসহ বিমানের তিনটি ফ্লাইটে মোট এক হাজার ৩২ জন হাজি গতকাল দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটগুলো ঢাকায় এসে পেঁৗছায় গতকাল দুপুর ১২টা, দেড়টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমান ছাড়াও সৌদি মালিকানাধীন নাস এয়ারলাইনস, কাতার এয়ারওয়েজসহ আরো কয়েকটি বিমান সংস্থার হজ ফ্লাইটও গতকাল ঢাকায় পেঁৗছেছে। এ দিন নাস এয়ারলাইনসের দুটি ফিরতি হজ ফ্লাইট ঢাকায় পেঁৗছায়। ওই দুটি ফ্লাইটে এক হাজার চারজন হাজি দেশে ফিরেছেন।
জেদ্দাফেরত হাজিরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তাঁদের ফিরতিপথের নানা দুর্ভোগের কথা জানান। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের হাজি হাসিবুল ইসলাম জানান, তিনি সহধর্মিণীকে সঙ্গে নিয়ে হজ শেষে শুক্রবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। পবিত্র হজ পালন করতে পেরে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন। মহান আল্লাহর কাছে এ জন্য তিনি শুকরিয়া আদায় করেন। এর পাশাপাশি জানান ফিরতিপথে ভোগান্তির কথা। এমনকি বিমানবন্দরে নামার পর সঙ্গে আনা পবিত্র জমজমের পানিসহ অন্য কোনো জিনিসই তিনি খুঁজে পাননি। পরনের কাপড় ছাড়া তাঁর সঙ্গে আর কিছুই নেই।
শুধু লাগেজ আর জমজমের পানিই নয়, জেদ্দা বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, কোনো রকমে পানি, সামান্য রুটি খেয়ে-না খেয়ে হাসিবুল ইসলামের মতো দুর্ভোগ আর ভোগান্তি সঙ্গী করে দেশে ফিরেছেন অন্য হাজিরাও।
বেশ কয়েকজন হাজির সঙ্গে বিমানবন্দরে কথা বলে জানা গেছে, নাস এয়ারে আসা বেশির ভাগ হাজিকে জেদ্দা বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। নরসিংদীর হাজি মাসুদুল হক বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় জেদ্দা বিমানবন্দরে আসেন। এরপর সকাল, দুপুর, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। অবশেষে রাত সোয়া ৯টায় ঢাকার উদ্দেশে জেদ্দা ছাড়ে নাস এয়ারের ফ্লাইটটি। ৬৫ বছরের বৃদ্ধ পাবনার হাজি হাবিবুর রহমানও একই ফ্লাইটে এসেছেন জেদ্দা থেকে। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই বৃদ্ধ বিমানবন্দরে নেমে যেন আর দাঁড়াতে পারছিলেন না। আরেক হাজি হাবিবুর বলেন, 'জেদ্দা বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার ভোর থাইক্যা রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। সাথে কোনো খাবার আছিল না। বিমানবন্দরে খাবারের অনেক দাম। কিন্যা খাওনের টাকাও আছিল না। এজেন্সির লোকরা একটু রুটি ও পানি দিছিল। তাই খাইয়্যা রাত পর্যন্ত আছিলাম।' একই এলাকার হাজি কেরামত আলী ও আবদুস সোবহানও জানালেন একই রকম কষ্টের কথা। এই তিনজনের কেউই তাঁদের লাগেজ ও জমজমের পানি পাননি। এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ
জানিয়ে দিয়েছে, রবিবার বিমানবন্দরে এলে তাঁরা লাগেজ ও পানি নিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এ কথায় আশ্বস্ত হতে পারছেন না তাঁরা।
No comments