স্মিথ-আমলার সেঞ্চুরিতে দ. আফ্রিকার সহজ জয়
পাগল করা দ্বিতীয় দিনের শেষেও আশাবাদী ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। জোর গলায় বলেছিলেন, এখনো আমরা জিততে পারি। সেই জয়ের জন্য ছিল আরেকটি নাটকীয় দিন। কিন্তু না, কাল তৃতীয় দিনে হয়নি তেমন কোনো নাটকীয়তা। তাই পূরণ হয়নি ক্লার্কের স্বপ্ন, গ্রায়েম স্মিথ আর হাশিম আমলার সেঞ্চুরিতে সেটা পরিণত হয়েছে দুঃস্বপ্নে। কাল তৃতীয় দিনেই ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ৪৭ রানে অল আউট হওয়ার ক্ষতে লবণ যোগ করেছে স্বাগতিকরা।
পরশু দিনের শেষ বলে একটা সুযোগ দিয়েছিলেন আমলা, কাল দিনের তৃতীয় ওভারেও দিয়েছিলেন আরেকটি। রায়ান হ্যারিসের বল তাঁর ব্যাটে চুমু খেয়ে স্লিপে উড়ে গেলেও শেন ওয়াটসন কাজে লাগাতে পারেননি সেটা। নাটকীয়তার সব সম্ভাবনাও শেষ হয়ে গেছে সেখানেই, কারণ এরপর আর কোনো সুযোগই দেননি আমলা আর স্মিথ। ১৯৫ রানের জুটি গড়ে শেষ করে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সব সম্ভাবনা।
দুটি জীবন পাওয়া আমলা দারুণভাবেই কাজে লাগিয়েছেন সুযোগটা, দুর্দান্ত সব কভার ড্রাইভ, স্ট্রেট ড্রাইভ আর ফ্লিক দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ঘাম ঝরিয়ে পূর্ণ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ১১২ রান করে। মিচেল জনসনের বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে তাঁর ১৩৪ বলে ২১টি বাউন্ডারিতে সাজানো ইনিংসটা যখন শেষ হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা তখন জয় থেকে মাত্র ১৪ রান দূরে। সেই জয়টা সুসম্পন্ন হয়েছে যখন পিটার সিডলকে মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারি মেরে স্মিথ পূর্ণ করেছেন নিজের সেঞ্চুরিও। সকালে শুরুটা অবশ্য নড়বড়েই ছিল তাঁর, কয়েকবারই তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে উঠে যাওয়া ক্যাচ পড়েছে মাঠের ফাঁকা জায়গায়। তবে নিজেকে ফিরে পেতে বেশি সময় নেননি তিনি, প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া শেন ওয়াটসনের এক ওভার থেকে ১৩ রান নিয়ে শুরু করেছেন পাল্টা আক্রমণের পালা। ১৪০ বলে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংসটি ১৫টি বাউন্ডারিতে সাজিয়েছেন এ বাঁহাতি।
গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথম ইনিংসে ১০০ রানের নিচে অল আউট হওয়া কোনো দলের ঘুরে দাঁড়িয়ে টেস্ট জয়ের এটা মাত্র দ্বিতীয় ঘটনা। সর্বশেষ ২০০২ সালে এমন কীর্তি গড়েছিল নিউজিল্যান্ড, ভারতকে হারিয়ে। আর প্রথম ইনিংসে প্রায় দুশো রানের লিড নেওয়ার পরও এমন হার নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়ার জন্য হতাশার। কিন্তু হারের চেয়েও বড় হয়ে গেছে ৪৭-কাণ্ড! টেস্ট হয়তো অস্ট্রেলিয়া কিছুদিনের মধ্যেই জিতবে, সেটা এমন কঠিন কোনো ব্যাপার না, কিন্তু ৪৭ স্থায়ী লজ্জা হয়ে ঢুকে গেল তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : দক্ষিণ আফ্রিকা ২৩৬/২ (আমলা ১১২, স্মিথ ১০১*) ও ৯৬ (ওয়াটসন ৫-১৭, হ্যারিস ৪-৩৩)। অস্ট্রেলিয়া ২৮৪ (ক্লার্ক ১৫১, স্টেইন ৪-৫৫) ও ৪৭ (ফিল্যান্ডার ৫-১৫, মরকেল ৩-৯)। ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে জয়ী। ক্রিকইনফো
দুটি জীবন পাওয়া আমলা দারুণভাবেই কাজে লাগিয়েছেন সুযোগটা, দুর্দান্ত সব কভার ড্রাইভ, স্ট্রেট ড্রাইভ আর ফ্লিক দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ঘাম ঝরিয়ে পূর্ণ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ১১২ রান করে। মিচেল জনসনের বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে তাঁর ১৩৪ বলে ২১টি বাউন্ডারিতে সাজানো ইনিংসটা যখন শেষ হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা তখন জয় থেকে মাত্র ১৪ রান দূরে। সেই জয়টা সুসম্পন্ন হয়েছে যখন পিটার সিডলকে মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারি মেরে স্মিথ পূর্ণ করেছেন নিজের সেঞ্চুরিও। সকালে শুরুটা অবশ্য নড়বড়েই ছিল তাঁর, কয়েকবারই তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে উঠে যাওয়া ক্যাচ পড়েছে মাঠের ফাঁকা জায়গায়। তবে নিজেকে ফিরে পেতে বেশি সময় নেননি তিনি, প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া শেন ওয়াটসনের এক ওভার থেকে ১৩ রান নিয়ে শুরু করেছেন পাল্টা আক্রমণের পালা। ১৪০ বলে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংসটি ১৫টি বাউন্ডারিতে সাজিয়েছেন এ বাঁহাতি।
গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথম ইনিংসে ১০০ রানের নিচে অল আউট হওয়া কোনো দলের ঘুরে দাঁড়িয়ে টেস্ট জয়ের এটা মাত্র দ্বিতীয় ঘটনা। সর্বশেষ ২০০২ সালে এমন কীর্তি গড়েছিল নিউজিল্যান্ড, ভারতকে হারিয়ে। আর প্রথম ইনিংসে প্রায় দুশো রানের লিড নেওয়ার পরও এমন হার নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়ার জন্য হতাশার। কিন্তু হারের চেয়েও বড় হয়ে গেছে ৪৭-কাণ্ড! টেস্ট হয়তো অস্ট্রেলিয়া কিছুদিনের মধ্যেই জিতবে, সেটা এমন কঠিন কোনো ব্যাপার না, কিন্তু ৪৭ স্থায়ী লজ্জা হয়ে ঢুকে গেল তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : দক্ষিণ আফ্রিকা ২৩৬/২ (আমলা ১১২, স্মিথ ১০১*) ও ৯৬ (ওয়াটসন ৫-১৭, হ্যারিস ৪-৩৩)। অস্ট্রেলিয়া ২৮৪ (ক্লার্ক ১৫১, স্টেইন ৪-৫৫) ও ৪৭ (ফিল্যান্ডার ৫-১৫, মরকেল ৩-৯)। ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে জয়ী। ক্রিকইনফো
No comments