দিল্লিতে টু জি কেলেঙ্কারি মামলার বিচার শুরু
ভারতের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি মামলার বিচার গতকাল শুক্রবার রাজধানী নয়াদিলি্লতে শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় প্রজন্মের (টু জি) মোবাইল ফোন তরঙ্গের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, দরপত্র আহ্বান ছাড়াই 'আগে এলে আগে পাবেন' ভিত্তিতে প্রকৃত দামের চেয়ে অনেক কম দামে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী নিজের প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং ঘুষ নিয়ে সাবেক টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এ রাজা এবং এমপি কানিমোঝি এই কাজ করেছেন।
মামলায় ওই দুজন ছাড়াও আরো ১২ জনের বিরুদ্ধে এ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। প্রত্যেকেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি, ঘুষ গ্রহণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) গত মাসে এ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
দিলি্লতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে গতকাল এ মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলাটি বেশ জটিল এবং দীর্ঘ দিন ধরে চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুরুতেই আদালত কক্ষটি অত্যন্ত ছোট বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। তাঁদের মতে, এ কক্ষে আসামি ও তাদের পরিবারের সদস্য, আইনজীবী এবং সংবাদকর্মীদের জায়গা হবে না।
আদালতে গতকাল প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসেবে রিলায়েন্স গ্রুপের রিলায়েন্স ক্যাপিটালের আনন্দ সুব্রামনিয়ামকে তলব করা হয়। সিবিআইয়ের কাছে ২৮ জন সাক্ষীর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা রয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনই রিলায়েন্স গ্রুপের সঙ্গে জড়িত।
আদালতের কাছে এক আর্জিতে রাজা জানান, এখনই সাক্ষীদের জেরা করতে চান না তিনি। তদন্ত শেষে সিবিআই সাক্ষীদের বিবৃতির অনুলিপি তাঁকে দিলে সেখান থেকে তিনি প্রয়োজন অনুসারে তাদের ডেকে জেরা করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারপক্ষের কেঁৗসুলিদের আপত্তি রয়েছে।
রাজার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০০৮ সালে আগে এলে আগে পাবেন শর্তের ভিত্তিতে দরপত্র ছাড়াই একটি মোবাইল কম্পানিকে টু জি প্রযুক্তির লাইসেন্স দেন। ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। গত ফেব্রুয়ারিতে রাজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকেই তিনি দিলি্লর তিহার কারাগারে আছেন। অন্য ১৩ জনও ছয় মাস বা তার চেয়ে বেশি সময় ধরে আটক আছেন। রাজার দল দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাগামের (ডিএমকে) প্রধান করুণানিধির মেয়ে কানিমোঝি।
নিরীক্ষা বোর্ডের দাবি, টু জি দুর্নীতির কারণে সরকারের অন্তত চার হাজার কোটি ডলার লোকসান হয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এনডিটিভি, এএফপি।
দিলি্লতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে গতকাল এ মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলাটি বেশ জটিল এবং দীর্ঘ দিন ধরে চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুরুতেই আদালত কক্ষটি অত্যন্ত ছোট বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। তাঁদের মতে, এ কক্ষে আসামি ও তাদের পরিবারের সদস্য, আইনজীবী এবং সংবাদকর্মীদের জায়গা হবে না।
আদালতে গতকাল প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসেবে রিলায়েন্স গ্রুপের রিলায়েন্স ক্যাপিটালের আনন্দ সুব্রামনিয়ামকে তলব করা হয়। সিবিআইয়ের কাছে ২৮ জন সাক্ষীর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা রয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনই রিলায়েন্স গ্রুপের সঙ্গে জড়িত।
আদালতের কাছে এক আর্জিতে রাজা জানান, এখনই সাক্ষীদের জেরা করতে চান না তিনি। তদন্ত শেষে সিবিআই সাক্ষীদের বিবৃতির অনুলিপি তাঁকে দিলে সেখান থেকে তিনি প্রয়োজন অনুসারে তাদের ডেকে জেরা করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারপক্ষের কেঁৗসুলিদের আপত্তি রয়েছে।
রাজার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০০৮ সালে আগে এলে আগে পাবেন শর্তের ভিত্তিতে দরপত্র ছাড়াই একটি মোবাইল কম্পানিকে টু জি প্রযুক্তির লাইসেন্স দেন। ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। গত ফেব্রুয়ারিতে রাজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকেই তিনি দিলি্লর তিহার কারাগারে আছেন। অন্য ১৩ জনও ছয় মাস বা তার চেয়ে বেশি সময় ধরে আটক আছেন। রাজার দল দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাগামের (ডিএমকে) প্রধান করুণানিধির মেয়ে কানিমোঝি।
নিরীক্ষা বোর্ডের দাবি, টু জি দুর্নীতির কারণে সরকারের অন্তত চার হাজার কোটি ডলার লোকসান হয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এনডিটিভি, এএফপি।
No comments