জার্মানদের ধোঁকা দিতে নকল প্যারিস বানিয়েছিল ফ্রান্স by কল্লোল কর্মকার
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বিমান বাহিনীকে ধোঁকা দিতে নকল প্যারিস শহর বানিয়েছিল ফ্রান্স। বর্তমান প্যারিসের একটু উত্তরে বানানো হয়েছিল ওই শহরটি। জার্মান বিমান বাহিনীর বোমার আঘাতে যেন আসল প্যারিস ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্যই ওই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।
লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফে বলা হয়, ওই নকল শহরটি শুধু কতগুলো কার্ডবোর্ডের স্তুপ ছিল না। ইলেকট্রিক বাতি, নকল বাড়ি এমনকি নকল রেলস্টেশনও তৈরি করা হয়েছিল। গার দি নর্দ নামের ওই রেলেস্টেশন ছিল তৎকালীন প্যারিসের সবচেয়ে ব্যাস্ততম রেলস্টেশন।
কারখানার ছাদের নোংরা চেহারা আনার জন্য রংমিস্ত্রিরা রং ব্যবহার করেছিল। এছাড়া নকল ট্রেন এবং ট্রেনের রাস্তা তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়েছিল রং।
আর এমন পরিকল্পনা একমাত্র বিশ শতকেই করা সম্ভব ছিল। কারণ ১৯১৮ সালে রাডার ছিল তবে তা ছিল অনেকটাই প্রথমিক স্তরের। আর জার্মান ইম্পেরিয়াল বিমান বাহিনী গোথা নামের যে বোমারু বিমান ব্যবহার করে তা ছিল তখন রাডারের মতোই প্রাথমিক স্তরের।
টেলিগ্রাফে আরও বলা হয়, ‘বিমান চালকরা তখন বোমা বেঁধে রাখতো বিমানের পাখায়। আর প্যারিস বা লন্ডনের মতো বড় শহরগুলোকে শুধুমাত্র ওপর থেকে দেখেই তারা বোমা বর্ষণ করতো।’
সৌভাগ্যবশত ওই পরিকল্পটি আর প্রয়োগ করতে হয়নি। কারণ নকল শহরটি বানানোর আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। আসল প্যারিস এবং নকল প্যারিস দুটোই ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যায় তখন। নকল ওই শহরটি দীর্ঘদিন ধরে আর দেখা যায়নি তবে সেই শহরের কিছু স্থিরচিত্র দেখতে পাওয়া যায়।
১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর মিত্রবাহিনী এবং জার্মান বাহিনী উভয়ে যুদ্ধ বন্ধ ঘোষণা করে।
কারখানার ছাদের নোংরা চেহারা আনার জন্য রংমিস্ত্রিরা রং ব্যবহার করেছিল। এছাড়া নকল ট্রেন এবং ট্রেনের রাস্তা তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়েছিল রং।
আর এমন পরিকল্পনা একমাত্র বিশ শতকেই করা সম্ভব ছিল। কারণ ১৯১৮ সালে রাডার ছিল তবে তা ছিল অনেকটাই প্রথমিক স্তরের। আর জার্মান ইম্পেরিয়াল বিমান বাহিনী গোথা নামের যে বোমারু বিমান ব্যবহার করে তা ছিল তখন রাডারের মতোই প্রাথমিক স্তরের।
টেলিগ্রাফে আরও বলা হয়, ‘বিমান চালকরা তখন বোমা বেঁধে রাখতো বিমানের পাখায়। আর প্যারিস বা লন্ডনের মতো বড় শহরগুলোকে শুধুমাত্র ওপর থেকে দেখেই তারা বোমা বর্ষণ করতো।’
সৌভাগ্যবশত ওই পরিকল্পটি আর প্রয়োগ করতে হয়নি। কারণ নকল শহরটি বানানোর আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। আসল প্যারিস এবং নকল প্যারিস দুটোই ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যায় তখন। নকল ওই শহরটি দীর্ঘদিন ধরে আর দেখা যায়নি তবে সেই শহরের কিছু স্থিরচিত্র দেখতে পাওয়া যায়।
১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর মিত্রবাহিনী এবং জার্মান বাহিনী উভয়ে যুদ্ধ বন্ধ ঘোষণা করে।
No comments