হামলার ব্যাপারে প্যানেট্টার সতর্কতা
ইরানে সামরিক হামলার ব্যাপারে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা। তিনি মনে করেন, ইরানে হামলা ওই অঞ্চলের 'অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির' জন্ম দিতে পারে। তিনি বলেন, এটা ইরানের পরমাণু আকাঙ্ক্ষাকে সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য পিছিয়ে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ইরান প্রসঙ্গে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে দেশটিতে সামরিক হামলা হতে পারে বলে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল_এ মন্তব্যের পর তা অনেকটাই কমে গেল।
আইএইএর প্রতিবেদনে বলা হয়, তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির ব্যাপারে কাজ করেছে। তারা এমন কতগুলো উপকরণ তৈরি করছে, যা পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। যদিও ইরানের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে জ্বালানি উৎপাদনের জন্যই তারা পরমাণু প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। আইএইএর প্রতিবেদনকে 'রাজনৈতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা।
গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের প্যানেট্টা বলেন, 'সেখানকার (মধ্যপ্রাচ্য) অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির ব্যাপারে অবশ্যই সাবধান হতে হবে।' ইরানে সামরিক হামলা নিয়ে যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, সে প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি ইরানের পরমাণু উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, সামরিক হামলা করে 'তারা যা করতে চায়' তা থেকে তাদের হয়তো ফেরানো যাবে না। 'তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, এটা ওই অঞ্চলে ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ওই অঞ্চলে অবস্থানকারী মার্কিন বাহিনীর ওপরও যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। আমি মনে করি, এসব কিছুই খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।' গত জুলাই মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন প্যানেট্টা। তাঁর পূর্বসূরি রবার্ট গেটস ইরান প্রসঙ্গে একই নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি একবার সতর্ক করে বলেন, ইরানে হামলা তাদের পরমাণু অস্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে কিছুটা বিলম্বিত করতে পারে মাত্র। তবে বিষয়টি ইরানকে পশ্চিমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে তুলতে পারে।
প্যানেট্টা বলেন, ইরানের আচরণ পরিবর্তনের জন্য তিনি কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের বিষয়টিকে সমর্থন করেন। তবে এভাবে ইরানকে থামানো না গেলে যুক্তরাষ্ট্র কী করতে পারে_এমন প্রশ্নের জবাবে প্যানেট্টা বলেন, তিনি আশা করেন পরিস্থিতি সে পর্যন্ত গড়াবে না। তবে হামলা হলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে তেহরান সতর্ক করে দিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমেদ ভাহিদদের বরাত দিয়ে সরকারি গণমাধ্যম জানায়, 'ইরানের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো আগ্রাসন বা হুমকির কঠোর জবাব দেবে।' সূত্র : এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি।
গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের প্যানেট্টা বলেন, 'সেখানকার (মধ্যপ্রাচ্য) অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির ব্যাপারে অবশ্যই সাবধান হতে হবে।' ইরানে সামরিক হামলা নিয়ে যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, সে প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি ইরানের পরমাণু উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, সামরিক হামলা করে 'তারা যা করতে চায়' তা থেকে তাদের হয়তো ফেরানো যাবে না। 'তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, এটা ওই অঞ্চলে ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ওই অঞ্চলে অবস্থানকারী মার্কিন বাহিনীর ওপরও যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। আমি মনে করি, এসব কিছুই খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।' গত জুলাই মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন প্যানেট্টা। তাঁর পূর্বসূরি রবার্ট গেটস ইরান প্রসঙ্গে একই নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি একবার সতর্ক করে বলেন, ইরানে হামলা তাদের পরমাণু অস্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে কিছুটা বিলম্বিত করতে পারে মাত্র। তবে বিষয়টি ইরানকে পশ্চিমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে তুলতে পারে।
প্যানেট্টা বলেন, ইরানের আচরণ পরিবর্তনের জন্য তিনি কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের বিষয়টিকে সমর্থন করেন। তবে এভাবে ইরানকে থামানো না গেলে যুক্তরাষ্ট্র কী করতে পারে_এমন প্রশ্নের জবাবে প্যানেট্টা বলেন, তিনি আশা করেন পরিস্থিতি সে পর্যন্ত গড়াবে না। তবে হামলা হলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে তেহরান সতর্ক করে দিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমেদ ভাহিদদের বরাত দিয়ে সরকারি গণমাধ্যম জানায়, 'ইরানের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো আগ্রাসন বা হুমকির কঠোর জবাব দেবে।' সূত্র : এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি।
No comments