চট্টগ্রামের মেয়রের পিএসের বিরুদ্ধে দাপটের অভিযোগ by আহমেদ কুতুব,

ট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম মঞ্জুরুল আলমের একান্ত সচিব (পিএস) মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, দাপ্তরিক কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে। করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ২২ বছরের ইতিহাসে মেয়রের একান্ত সচিবের বিরুদ্ধে এবারই প্রথম আটজন নির্বাহী প্রকৌশলী মেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। একান্ত সচিবের এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব বরাবর অভিযোগপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।


মেয়রের পিএসের বিরুদ্ধে আট প্রকৌশলীর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা স্বীকার করে করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মঞ্জুরুল ইসলাম ক্ষমতার অপব্যবহার, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, দাপ্তরিক কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপ, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কাজ করছেন বলে কয়েকজন প্রকৌশলী মেয়রের কাছে একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন। মেয়রের পিএস সাগরিকার গোডাউনের একটি কাজ নিয়ে একজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে কিছু প্রশ্ন করায় প্রকৌশলীরা বিষয়টি পেস্টিজ ইস্যু হিসেবে নিয়েছেন। নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে যদি পিএস সাহেব কোনো খারাপ ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তিনি তা ঠিক করেননি। আবার মেয়র মহোদয় নির্দেশ দিলেও পিএস সাহেবকেও সে কাজ করতে হয়।'
১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১০ জন একান্ত সচিব করপোরেশনে কাজ করলেও এবারই প্রথম কোনো পিএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল। মেয়রের পিএস একজন সহকারী প্রকৌশলীর পদমর্যাদার কর্মকর্তা হলেও উপসচিব পদমর্যাদার নির্বাহী প্রকৌশলীদের দাপ্তরিক কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপ, অশোভন আচরণ, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কাজ করছেন বলে লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে মেয়র, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন প্রকৌশলীরা।
নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আবদুল মালেক বলেন, 'মেয়র মহোদয়ের পিএস মঞ্জুরুল ইসলাম সিনিয়র-জুনিয়র কর্মকর্তাদের পাত্তা দেন না। তিনি মেয়রের পিএস হলেও করপোরেশনের সব বিভাগের কাজে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করেন। ওয়াকিটকিতে কিছুদিন আগে নির্বাহী প্রকৌশলী এয়াকুব নবীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তিনি।'
আরেক নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল হুদা বলেন, 'করপোরেশনের ২২ বছরের ইতিহাসে মেয়রের অনেক পিএস মন্ত্রণালয় থেকে প্রেষণে এসেছেন। তাঁরা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চাকরি করলেও শুরু থেকেই তিনি চরমভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছেন।'
মেয়রের পিএস মঞ্জুরুল ইসলাম এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, 'মেয়র মহোদয় আমাকে যে কাজ করতে নির্দেশ দেন আমি সেই কাজই করে থাকি। মেয়রের নির্দেশের বাইরে কিছু করি না।'

No comments

Powered by Blogger.