ডোমারে যৌতুকের বলি গৃহবধূ পাবনায় মৃত্যুর মুখে শিশু গৃহকর্মী : বাগেরহাটে ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের চেষ্টা
নীলফামারীর ডোমারে যৌতুকের বলি হয়েছেন আরিফা বেগম নামে এক গৃহবধূ। স্বামী-শাশুড়ি মিলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে জানা গেছে। এছাড়া অন্যান্য স্থানে ঘটেছে পৃথক নারী নির্যাতনের ঘটনা। এর মধ্যে পাবনায় স্থানীয় থানার দারোগার স্ত্রীর নির্যাতনে মারাত্মক আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে এক গৃহকর্মী। অন্যদিকে বাগেরহাটে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে বখাটেদের বিরুদ্ধে। বিস্তারিত আমার দেশ-এর আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে :
ডোমারে যৌতুকের বলি গৃহবধূ : ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি জানান, নীলফামারীর ডোমারে যৌতুকের কারণে খুন হয়েছেন গৃহবধূ আরিফা বেগম (১৯)। ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূকে স্বামী স্বপনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন
শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে সাড়ে ৯ ঘণ্টা লাশ ঘরে তালা দিয়ে বিছানায় ফেলে রাখা হয়। এরপর ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর জন্য লাশের মুখ ও শরীরে বিষ ঢেলে দিয়ে রাতে ডিমলা হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় ঘাতকরা। ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় গতকাল সকালে ডিমলা থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর ভাই হাজিদুল ইসলাম। মামলায় আসামি করা হয়েছে আরিফার স্বামী স্বপন, ভাসুর বাবলু, দেবর সম্রাট, হোসাইন, শ্বশুর আজিজার ও শাশুড়ি রহিমা বেগমকে।
লাশের সুরতহালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই দুলাল হোসেন জানান। গতকাল লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়।
দারোগার স্ত্রীর নির্যাতনে পাবনায় মৃত্যুমুখে শিশু গৃহকর্মী : পাবনা প্রতিনিধি জানান, ‘আমরা গরিব মানুষ বইলা কি আমাগোর জীবনের কুনু দাম নাই, আমরা বিচার পামু না, আইন-আদালত কি আমার মেয়ের নির্যাতনের বিচার করবো না’—গতকাল পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করিডোরে এভাবে বিলাপ করছিলেন পুলিশ দম্পতির হাতে নির্মমভাবে নির্যাতিত শিশু গৃহকর্মী রোমেলার মা রোমেছা খাতুন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার সাব ইন্সপেক্টর সাহেদ আলী ও তার স্ত্রী সুইটি বেগমের নির্মম নির্যাতনের শিকার শিশু গৃহকর্মী রোমেলা খাতুন (৮) এখন পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। এ ঘটনায় পাবনার বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন। রোমেলা পাবনার বেড়া উপজেলার নান্দিয়ারা গ্রামের দরিদ্র ইয়াজুদ্দিন এবং রোমেছা খাতুনের মেয়ে।
রোমেলার বাবা-মা জানান, ৯ মাস আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় কর্মরত অবস্থায় একই গ্রামের পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর সাহেদ আলীর বাসায় কাজে যোগ দেয় সে। কাজে যোগ দেয়ার পর থেকেই নানা ছলছুঁতোয় সাহেদ আলী ও তার স্ত্রী সুইটি বেলুন, গরম খুন্তিসহ ধারালো বস্তু দিয়ে তাকে মারধর করত। এক সপ্তাহ আগে গরম খুন্তি ও চাকু গরম করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়িয়ে দেয়ায় সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ঈদের আগের দিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে গ্রামের বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলার নান্দিয়ারায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
পাবনা মেডিকেল কলেজের চিকিত্সক ডা. ফাইরোজা বেগম বলেন, রোমেলার শরীরে ৪০টি ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এর মাথা ও পিঠের ৮টি ক্ষত গুরুতর। তবে চিকিত্সা দেয়া হলে সুস্থ হবে সে।
বাগেরহাটে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা : বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটে মোবাইলে সম্পর্কের জেরে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেছে বখাটে উজ্জ্বল অধিকারী ও তার সহযোগীরা। পরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মারধর করে রাস্তায় ফেলে যায় তারা। বৃহস্পতিবার বিকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার আনারডাঙ্গা গ্রাম থেকে বখাটেরা ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে। সে সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের আনারডাঙ্গা গ্রামের শৈলেন মণ্ডলের মেয়ে ও খাড়াসম্বল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। পরে ওইদিন গভীর রাতে কচুয়া উপজেলার ফুলতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে অচেতন অবস্থায় স্থানীয় মেম্বার মোশাররফ হোসেন তাকে উদ্ধার করে। গতকাল সকালে ওই ছাত্রীর আত্মীয়-স্বজন তাকে চিতলমারী হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় বাগেরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে সাড়ে ৯ ঘণ্টা লাশ ঘরে তালা দিয়ে বিছানায় ফেলে রাখা হয়। এরপর ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর জন্য লাশের মুখ ও শরীরে বিষ ঢেলে দিয়ে রাতে ডিমলা হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় ঘাতকরা। ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় গতকাল সকালে ডিমলা থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর ভাই হাজিদুল ইসলাম। মামলায় আসামি করা হয়েছে আরিফার স্বামী স্বপন, ভাসুর বাবলু, দেবর সম্রাট, হোসাইন, শ্বশুর আজিজার ও শাশুড়ি রহিমা বেগমকে।
লাশের সুরতহালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই দুলাল হোসেন জানান। গতকাল লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়।
দারোগার স্ত্রীর নির্যাতনে পাবনায় মৃত্যুমুখে শিশু গৃহকর্মী : পাবনা প্রতিনিধি জানান, ‘আমরা গরিব মানুষ বইলা কি আমাগোর জীবনের কুনু দাম নাই, আমরা বিচার পামু না, আইন-আদালত কি আমার মেয়ের নির্যাতনের বিচার করবো না’—গতকাল পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করিডোরে এভাবে বিলাপ করছিলেন পুলিশ দম্পতির হাতে নির্মমভাবে নির্যাতিত শিশু গৃহকর্মী রোমেলার মা রোমেছা খাতুন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার সাব ইন্সপেক্টর সাহেদ আলী ও তার স্ত্রী সুইটি বেগমের নির্মম নির্যাতনের শিকার শিশু গৃহকর্মী রোমেলা খাতুন (৮) এখন পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। এ ঘটনায় পাবনার বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন। রোমেলা পাবনার বেড়া উপজেলার নান্দিয়ারা গ্রামের দরিদ্র ইয়াজুদ্দিন এবং রোমেছা খাতুনের মেয়ে।
রোমেলার বাবা-মা জানান, ৯ মাস আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় কর্মরত অবস্থায় একই গ্রামের পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর সাহেদ আলীর বাসায় কাজে যোগ দেয় সে। কাজে যোগ দেয়ার পর থেকেই নানা ছলছুঁতোয় সাহেদ আলী ও তার স্ত্রী সুইটি বেলুন, গরম খুন্তিসহ ধারালো বস্তু দিয়ে তাকে মারধর করত। এক সপ্তাহ আগে গরম খুন্তি ও চাকু গরম করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়িয়ে দেয়ায় সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ঈদের আগের দিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে গ্রামের বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলার নান্দিয়ারায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
পাবনা মেডিকেল কলেজের চিকিত্সক ডা. ফাইরোজা বেগম বলেন, রোমেলার শরীরে ৪০টি ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এর মাথা ও পিঠের ৮টি ক্ষত গুরুতর। তবে চিকিত্সা দেয়া হলে সুস্থ হবে সে।
বাগেরহাটে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা : বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটে মোবাইলে সম্পর্কের জেরে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেছে বখাটে উজ্জ্বল অধিকারী ও তার সহযোগীরা। পরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মারধর করে রাস্তায় ফেলে যায় তারা। বৃহস্পতিবার বিকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার আনারডাঙ্গা গ্রাম থেকে বখাটেরা ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে। সে সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের আনারডাঙ্গা গ্রামের শৈলেন মণ্ডলের মেয়ে ও খাড়াসম্বল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। পরে ওইদিন গভীর রাতে কচুয়া উপজেলার ফুলতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে অচেতন অবস্থায় স্থানীয় মেম্বার মোশাররফ হোসেন তাকে উদ্ধার করে। গতকাল সকালে ওই ছাত্রীর আত্মীয়-স্বজন তাকে চিতলমারী হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় বাগেরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
No comments