জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি বিভিন্ন সংগঠনের উদ্বেগ
মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে জ্বালানি তেলের মূল্য আরেক দফা বৃদ্ধি করায় বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি জনগণের ভোগান্তি আরো বাড়িয়ে দেবে উল্লেখ করে সংগঠনের নেতারা গতকাল শুক্রবার সরকারের প্রতি অবিলম্বে অতিরিক্ত মূল্য প্রত্যাহারে আহ্বান জানিয়েছেন।বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মলি্লক গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, সরকার একদিকে জনগণের স্বার্থ রক্ষার কথা বললেও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে তা থেকে সরে এসেছে। কারণ, এতে জনগণের দুর্ভোগ আরো বাড়বে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে আরো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, গণফোরাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ, মুফতি আমিনীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোটসহ বিভিন্ন সংগঠন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সরকার ডিজেল, পেট্রল, অকটেন ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা বাড়িয়ে দেয়। ওই দিন রাত ১২টার পর থেকে নতুন মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর হয়। এ নিয়ে দুই মাসের মাথায় জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বাড়ানো হলো। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে এখন থেকে প্রতি লিটার অকটেনের দাম হয়েছে ৮৯ টাকা, পেট্রল ৮৭ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিন ৫৬ টাকা। এর আগে গত ৫ মে জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি দুই টাকা ও ১৮ সেপ্টেম্বর পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। বিশ্ব বাজারে দাম কমলে, ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর দেশেও সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়। সর্বশেষ কমানো হয় বর্তমান সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের এক সপ্তাহের মাথায়, ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি। তখন প্রতি লিটার ডিজেলের দাম দুই টাকা করে কমানো হয়েছিল।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। বিশ্ব বাজারে দাম কমলে, ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর দেশেও সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়। সর্বশেষ কমানো হয় বর্তমান সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের এক সপ্তাহের মাথায়, ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি। তখন প্রতি লিটার ডিজেলের দাম দুই টাকা করে কমানো হয়েছিল।
No comments