নরসিংদীর পৌর মেয়র হত্যাঃ হাজারো মানুষ হাত উঁচিয়ে বলল এজাহারে ভুল নেই
‘আমি মামলার বাদী, এই মামলা করার আগে অনেক বুঝেছি, অনেক চিন্তা করেছি। অনেকে অনেক কথা বলেছেন। আমার প্রশ্নটা আপনাদের কাছে। আমি কি মামলার এজাহারে কোনো ভুল করেছি?’ গতকাল শুক্রবার সমবেত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন নিহত পৌর মেয়র লোকমান হোসেনের ছোট ভাই কামরুজ্জামান। হাজারো মানুষ হাত উঁচিয়ে জবাব দেয়, ‘এজাহারে ভুল নেই’।
লোকমান হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল বিকেলে নরসিংদী শহরের শাপলা চত্বরে পৌরবাসীর পক্ষ থেকে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন কামরুজ্জামান। শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে হাজার হাজার মানুষ লোকমান হত্যার বিচারের দাবিতে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়।
কামরুজ্জামান স্থানীয় সাংসদ নজরুল ইসলামের প্রতি ইঙ্গিত করে সভায় বলেন, ‘কেউ কেউ মামলার এজাহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, হত্যা মামলাটি তদন্ত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ স্থান থেকে এর তদারক করা হচ্ছে। নিরপেক্ষ তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মামলা মামলার গতিতে চলবে। আদালতে বিচার হবে। আমি প্রত্যেককে অনুরোধ করব, তদন্ত চলাকালে আর কোনো মন্তব্য করবেন না। কে দোষী, কে নির্দোষ, তা আদালতে প্রমাণ হবে।’
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার নরসিংদী জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সদর আসনের সরকারদলীয় সাংসদ নজরুল ইসলাম লোকমান হত্যা মামলার এজাহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি এজাহারকে ‘বিভ্রান্তিকর’ আখ্যায়িত করেন। নরসিংদীর আরও তিনজন সাংসদ এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওই সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদের ভাই সালাহউদ্দিনের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।
গতকাল নরসিংদীর মানুষের মধ্যে প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল আসামির পক্ষে সাংসদের সাফাইয়ের বিষয়টি।
‘পৌরবাসীর’ প্রতিবাদ সমাবেশের একপর্যায়ে সেখানে গিয়ে হাজির হন সাংসদ নজরুল ইসলাম। তিনি বক্তব্যদানকালে আগের দিনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমি আমার আগের অবস্থানেই আছি। তবে কয়েকটি পত্রিকা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
নজরুল ইসলাম নিহত লোকমানকে ‘জনবন্ধু’ আখ্যা দিয়ে বলেন, লোকমান বিশাল ষড়যন্ত্রে শিকার। তিনি নরসিংদীর জনগণকে ভালোবেসে জনবন্ধুতে পরিণত হয়েছেন। তিনি তাঁর বুকের মধ্যে যে আধুনিক শহরের স্বপ্ন দেখতেন, কাজের মাধ্যমে তার প্রমাণও রেখে গেছেন। শাপলা চত্বর, মুক্তি চত্বর, গোলাপ চত্বরসহ অসংখ্য স্থাপনা সাক্ষ্য দেয়।
সাংসদ নজরুল ইসলাম প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব খুনিদের আমাদের কাছে ধরিয়ে দিন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের যেমন ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল, আমরাও চাই লোকমান হত্যাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের ফাঁসিতে ঝোলানো হোক। পুলিশ চাইলে পারে না এমন কোনো কাজ নেই। আমাদের আর অধৈর্য করে তুলবেন না।’
শাপলা চত্বর নতুন বাজার কমিটির সভাপতি বশীর আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সামসুল আলম, বাণিজ্য সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র জহির আহমদ, মহিষাশুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজ প্রমুখ। সমাবেশে সভায় জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কোনো নেতাকে দেখা যায়নি।
বক্তারা লোকমান হত্যার ১০ দিন পরও এজাহারভুক্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
১ নভেম্বর রাতে নরসিংদী পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনকে দলীয় কার্যালয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তাঁর ভাই কামরুজ্জামান টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর ভাই সালাহউদ্দিন ও মন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব (এপিএস) মাসুদুর রহমানসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এজাহারে অভিযোগ করা হয়, লোকমানের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তাঁকে হত্যা করেছে।
কামরুজ্জামান স্থানীয় সাংসদ নজরুল ইসলামের প্রতি ইঙ্গিত করে সভায় বলেন, ‘কেউ কেউ মামলার এজাহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, হত্যা মামলাটি তদন্ত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ স্থান থেকে এর তদারক করা হচ্ছে। নিরপেক্ষ তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মামলা মামলার গতিতে চলবে। আদালতে বিচার হবে। আমি প্রত্যেককে অনুরোধ করব, তদন্ত চলাকালে আর কোনো মন্তব্য করবেন না। কে দোষী, কে নির্দোষ, তা আদালতে প্রমাণ হবে।’
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার নরসিংদী জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সদর আসনের সরকারদলীয় সাংসদ নজরুল ইসলাম লোকমান হত্যা মামলার এজাহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি এজাহারকে ‘বিভ্রান্তিকর’ আখ্যায়িত করেন। নরসিংদীর আরও তিনজন সাংসদ এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওই সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদের ভাই সালাহউদ্দিনের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।
গতকাল নরসিংদীর মানুষের মধ্যে প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল আসামির পক্ষে সাংসদের সাফাইয়ের বিষয়টি।
‘পৌরবাসীর’ প্রতিবাদ সমাবেশের একপর্যায়ে সেখানে গিয়ে হাজির হন সাংসদ নজরুল ইসলাম। তিনি বক্তব্যদানকালে আগের দিনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমি আমার আগের অবস্থানেই আছি। তবে কয়েকটি পত্রিকা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
নজরুল ইসলাম নিহত লোকমানকে ‘জনবন্ধু’ আখ্যা দিয়ে বলেন, লোকমান বিশাল ষড়যন্ত্রে শিকার। তিনি নরসিংদীর জনগণকে ভালোবেসে জনবন্ধুতে পরিণত হয়েছেন। তিনি তাঁর বুকের মধ্যে যে আধুনিক শহরের স্বপ্ন দেখতেন, কাজের মাধ্যমে তার প্রমাণও রেখে গেছেন। শাপলা চত্বর, মুক্তি চত্বর, গোলাপ চত্বরসহ অসংখ্য স্থাপনা সাক্ষ্য দেয়।
সাংসদ নজরুল ইসলাম প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব খুনিদের আমাদের কাছে ধরিয়ে দিন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের যেমন ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল, আমরাও চাই লোকমান হত্যাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের ফাঁসিতে ঝোলানো হোক। পুলিশ চাইলে পারে না এমন কোনো কাজ নেই। আমাদের আর অধৈর্য করে তুলবেন না।’
শাপলা চত্বর নতুন বাজার কমিটির সভাপতি বশীর আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সামসুল আলম, বাণিজ্য সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র জহির আহমদ, মহিষাশুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজ প্রমুখ। সমাবেশে সভায় জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কোনো নেতাকে দেখা যায়নি।
বক্তারা লোকমান হত্যার ১০ দিন পরও এজাহারভুক্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
১ নভেম্বর রাতে নরসিংদী পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনকে দলীয় কার্যালয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তাঁর ভাই কামরুজ্জামান টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর ভাই সালাহউদ্দিন ও মন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব (এপিএস) মাসুদুর রহমানসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এজাহারে অভিযোগ করা হয়, লোকমানের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তাঁকে হত্যা করেছে।
No comments