তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান, নাকি অবাধ নির্বাচন : সুরঞ্জিত
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক তত্ত্ব বাদ। সংবিধান অনুযায়ী দেশে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের অধীনে যথাসময়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। এ নিয়ে পানি ঘোলা করে লাভ হবে না।
বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ করে এই সংসদ সদস্য বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চান, নাকি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চান?'
বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ করে এই সংসদ সদস্য বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চান, নাকি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চান?'
গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ আয়োজিত 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালি জাতির ঐতিহ্য' শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সুরঞ্জিত।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার পর প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলগুলো এর বিরোধিতায় আন্দোলনে নেমেছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার সমাবেশে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল করার দাবি জানান। তিনি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ারও ঘোষণা দেন।
সংবিধান সংশোধনে গঠিত কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন সুরঞ্জিত। তিনি বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আর আলোচনার সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে সংসদে আলোচনা হতে পারে। সংবিধানের শিষ্টাচার মেনে এ নিয়ে সংসদে এসে আলোচনার সূত্রপাত আপনাকেই (বিরোধী দলীয় নেতা) করতে হবে। এ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।'
প্রবীণ এই সংসদ সদস্য বলেন, বিশ্বে রাষ্ট্র পরিচালনা করে সরকার, আর নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। সে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। গণতন্ত্রে সংঘাতের পথ নেই। সংঘাতের পথ পরিহার করে সৌহার্দ্যের পথে ফিরে আসুন।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে সুরঞ্জিত বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার আপনাদের ক্ষমতায় বসাবে সেই দিন আর নেই। এ নিয়ে মাঠ গরম করে আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া যাবে না। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। সে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।'
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদলীয় নেত্রীও এই শপথ নিয়েছেন। সংবিধান সুরক্ষিত রাখা সবার দায়িত্ব। 'আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হবে। শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনা করতে পারেন কারা ও কিভাবে সেখানে বসবে', বলেন তিনি।
বিরোধী দলের ফাইনাল খেলার হুমকির জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, এ ফাইনাল খেলা মোকাবিলা করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দরকার হবে না। আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এটা মোকাবিলা করবে। তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রের মাঠে আপনাদের ফাইনাল খেলার লোক নেই, আপনাদের শক্তিও নেই। আপনাদের ফাইনাল খেলার জবাব দিতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগই যথেষ্ট।'
বঙ্গবন্ধু মঞ্চের চেয়ারম্যান নিয়াজ মুহাম্মদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী প্রমুখ।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার পর প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলগুলো এর বিরোধিতায় আন্দোলনে নেমেছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার সমাবেশে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল করার দাবি জানান। তিনি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ারও ঘোষণা দেন।
সংবিধান সংশোধনে গঠিত কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন সুরঞ্জিত। তিনি বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আর আলোচনার সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে সংসদে আলোচনা হতে পারে। সংবিধানের শিষ্টাচার মেনে এ নিয়ে সংসদে এসে আলোচনার সূত্রপাত আপনাকেই (বিরোধী দলীয় নেতা) করতে হবে। এ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।'
প্রবীণ এই সংসদ সদস্য বলেন, বিশ্বে রাষ্ট্র পরিচালনা করে সরকার, আর নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। সে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। গণতন্ত্রে সংঘাতের পথ নেই। সংঘাতের পথ পরিহার করে সৌহার্দ্যের পথে ফিরে আসুন।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে সুরঞ্জিত বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার আপনাদের ক্ষমতায় বসাবে সেই দিন আর নেই। এ নিয়ে মাঠ গরম করে আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া যাবে না। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। সে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।'
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদলীয় নেত্রীও এই শপথ নিয়েছেন। সংবিধান সুরক্ষিত রাখা সবার দায়িত্ব। 'আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হবে। শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনা করতে পারেন কারা ও কিভাবে সেখানে বসবে', বলেন তিনি।
বিরোধী দলের ফাইনাল খেলার হুমকির জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, এ ফাইনাল খেলা মোকাবিলা করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দরকার হবে না। আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এটা মোকাবিলা করবে। তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রের মাঠে আপনাদের ফাইনাল খেলার লোক নেই, আপনাদের শক্তিও নেই। আপনাদের ফাইনাল খেলার জবাব দিতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগই যথেষ্ট।'
বঙ্গবন্ধু মঞ্চের চেয়ারম্যান নিয়াজ মুহাম্মদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী প্রমুখ।
No comments