চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল তিনজনের by সাব্বির রহমান খান
চিকিৎসাবিজ্ঞানে ২০১১ সালের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, লুঙ্মেবার্গ ও কানাডার তিন বিজ্ঞানী। তাঁরা হলেন ব্রুস বয়েটলার, জুলস হফমান ও রালফ স্টাইনম্যান। গতকাল সোমবার স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। রোগ প্রতিরোধে শরীরের প্রতিরোধক ক্ষমতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার প্রেক্ষাপটে তাঁদের এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। গবেষণায় রোগব্যবস্থার প্রাথমিক পর্যায় নিয়ে কাজ করেন বয়েটলার ও হফমান। আর স্টাইনম্যান রোগ প্রতিরোধের পরবর্তী ধাপগুলোর কার্যকারিতা বোঝার জন্য ডেনড্রিটিক কোষ শনাক্ত করার কাজ করেন। পুরস্কারের অর্থের অর্ধেক পাবেন বয়েটলার ও হফমান আর বাকি অর্ধেক পাবেন স্টাইনম্যান।
মানবদেহে ইমিউন সিস্টেম বা রোগের অনাক্রম্যতার বিশেষ কৌশলগুলোর সক্রিয় হওয়ার যে প্রক্রিয়া, তার মূলনীতির আবিষ্কারই এই তিন বিজ্ঞানীকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কার বিজয়ের গৌরব। তিন বিজ্ঞানীর এই আবিষ্কার নিঃসন্দেহে ইমিউনোলজি বা দেহের অনাক্রম্যতার জন্য খুলে দিয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের সুপ্রসারিত দ্বার। এ বিষয়ের ওপর তাঁদের আবিষ্কার নিঃসন্দেহে ইমিউনোলজির একটা বৈপ্লবিক ধারার উন্মোচন করেছে বলে মন্তব্য করে নোবেল কমিটি।
বয়েটলার ও হফমান আবিষ্কার করেছেন 'রিসেপ্টর', যাকে দেহকোষের রিসিভার বা গ্রহণকারীও বলা হয়। এই দেহকোষের রিসিভার সব সময় রি-অ্যাক্ট করে বিপজ্জনকভাবে এবং মারাত্মক রোগবাহক মাইক্রো-অর্গানিজম দ্বারা। প্রাথমিক প্রতিরক্ষাবূ্যহ হিসেবে তখন এই রিসিভার সক্রিয় করে জন্মগতভাবে লব্ধ দেহের অনাক্রম্যতা বা ইমিউন সিস্টেমকে। স্টাইনম্যান আবিষ্কার করেছেন ইমিউন সিস্টেমের শাখাবহুল কোষ এবং তার সক্রিয়করণ তথা স্বোপার্জিত প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণকরণের অসাধারণ ক্ষমতা। এটাকে ধরা হয় দ্বিতীয় স্তরের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং এই স্তরে দেহের রোগবাহিত মাইক্রো অর্গানিজম ধ্বংস হয়।
জুলস হফমান লুঙ্মেবার্গের এচটেমাখে ১৯৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্ট্রসবার্গ ইউনিভার্সিটিতে জীববিজ্ঞানের ওপর পড়াশুনা করেন। ১৯৭৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পরিচালক হিসেবে স্ট্রসবার্গের একটি গবেষণাগারে দায়িত্বরত ছিলেন তিনি।
ব্রুস বয়েটলার ১৯৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের লা জুলায় স্থাপিত স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ২০০০ সাল থেকে তিনি 'জেনেটিঙ্ ও রোগের অনাক্রম্যতা' বিষয়ের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
রালফ স্টাইনম্যান জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৩ সালে কানাডার মন্ট্রিলে। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে নিউ ইয়র্কের রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে 'রোগের অনাক্রম্যতা' বা ইমিউনোলজি বিষয়ের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছিলেন। বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গত সপ্তাহে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই তিন বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হবে একটি সনদপত্র, একটি স্বর্ণপদক এবং প্রাইজমানি হিসেবে প্রায় ১৫ লাখ ইউএস ডলার।
আজ ঘোষিত হবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম।
বয়েটলার ও হফমান আবিষ্কার করেছেন 'রিসেপ্টর', যাকে দেহকোষের রিসিভার বা গ্রহণকারীও বলা হয়। এই দেহকোষের রিসিভার সব সময় রি-অ্যাক্ট করে বিপজ্জনকভাবে এবং মারাত্মক রোগবাহক মাইক্রো-অর্গানিজম দ্বারা। প্রাথমিক প্রতিরক্ষাবূ্যহ হিসেবে তখন এই রিসিভার সক্রিয় করে জন্মগতভাবে লব্ধ দেহের অনাক্রম্যতা বা ইমিউন সিস্টেমকে। স্টাইনম্যান আবিষ্কার করেছেন ইমিউন সিস্টেমের শাখাবহুল কোষ এবং তার সক্রিয়করণ তথা স্বোপার্জিত প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণকরণের অসাধারণ ক্ষমতা। এটাকে ধরা হয় দ্বিতীয় স্তরের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং এই স্তরে দেহের রোগবাহিত মাইক্রো অর্গানিজম ধ্বংস হয়।
জুলস হফমান লুঙ্মেবার্গের এচটেমাখে ১৯৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্ট্রসবার্গ ইউনিভার্সিটিতে জীববিজ্ঞানের ওপর পড়াশুনা করেন। ১৯৭৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পরিচালক হিসেবে স্ট্রসবার্গের একটি গবেষণাগারে দায়িত্বরত ছিলেন তিনি।
ব্রুস বয়েটলার ১৯৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের লা জুলায় স্থাপিত স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ২০০০ সাল থেকে তিনি 'জেনেটিঙ্ ও রোগের অনাক্রম্যতা' বিষয়ের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
রালফ স্টাইনম্যান জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৩ সালে কানাডার মন্ট্রিলে। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে নিউ ইয়র্কের রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে 'রোগের অনাক্রম্যতা' বা ইমিউনোলজি বিষয়ের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছিলেন। বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গত সপ্তাহে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই তিন বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হবে একটি সনদপত্র, একটি স্বর্ণপদক এবং প্রাইজমানি হিসেবে প্রায় ১৫ লাখ ইউএস ডলার।
আজ ঘোষিত হবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম।
No comments