ভিসা নিয়ে কড়াকড়িঃ সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের
ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ির কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন ঢাকার তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি। উইকিলিকসের ফাঁস করা মার্কিন গোপন তারবার্তার মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। ২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর ওই তারবার্তাটি ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়। তারবার্তায় রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিরা ভিসার আবেদন করার পর সিকিউরিটি অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন (এসএও) থেকে সময়মতো অনাপত্তিপত্র পাচ্ছেন না।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার উদ্দেশে তাঁরা আবেদন করেছেন, তা শেষ হওয়ার পরও এসএও আসেনি। নিরাপত্তা কড়াকড়ির নামে এই দীর্ঘসূত্রতা তাঁদের মনে প্রতিষ্ঠিত করছে যে নামের আগে মোহাম্মদ থাকলে তাঁদের অনুমোদন করা হবে না। তাঁরা এটা ভাবতে শুরু করছেন, আমেরিকা একটি ‘উন্মুক্ত দ্বার ও নিরাপদ সীমান্ত’ বিশিষ্ট দেশ নয়; বরং একটি দুর্গ। মরিয়ার্টি মন্তব্য করেন, ভিসার ক্ষেত্রে ভোগান্তি কমানো গেলে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সহযোগিতা পাবে যুক্তরাষ্ট্র।
তারবার্তায় মরিয়ার্টি অভিবাসী, পড়াশোনা, ভ্রমণ এবং রাষ্ট্রীয় সফরের উদ্দেশে ভিসার আবেদনের পর এসএও পেতে বিলম্বের শিকার হয়েছেন এ রকম বেশ কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
ভ্রমণ ভিসার ক্ষেত্রে মরিয়ার্টি দারুল ইহ্সান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য সৈয়দ আলী নকির প্রসঙ্গ টানেন, যিনি তাঁর ভিসা নবায়নের জন্য এসএও পাওয়ার অপেক্ষায় থাকতে থাকতেই মারা যান। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য তাঁর আর হয়নি।
তারবার্তায় মরিয়ার্টি উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা দূতাবাসে ৫২টি অভিবাসী (ইমিগ্রান্ট) ভিসার আবেদন ছিল, যেগুলোর ব্যাপারে এক বছরের বেশি সময় ধরে এসএও আসেনি। নন-ইমিগ্রান্ট ভিসার ক্ষেত্রেও হতাশার চিত্র দেখা গেছে। এ ধরনের ভিসার জন্য অনেকে চার বছর আগে আবেদন করলেও এসএও মেলেনি। এমনকি ইউএসএইডসহ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশি কর্মীরাও একই ধরনের বিলম্বের শিকার হয়েছেন।
মরিয়ার্টি বলেন, পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ভিসা প্রার্থীরা প্রায়ই জানতে চান, নামের সঙ্গে মোহাম্মদ থাকলে, মুখে দাড়ি থাকলে বা মুসলিম ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরলে, তাঁরা ভিসা পেতে পারেন কি না। মরিয়ার্টি বলেন, অনেক বাংলাদেশি ধারণা পোষণ করেন, নামের সঙ্গে মোহাম্মদ থাকাটা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটা বড় বাধা।
রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি মন্তব্য করেন, একজন বৈধ আবেদনকারীকে সময়মতো ভিসা না দেওয়া মানেই একটি সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাওয়া। কারণ, ভিসা না পেয়ে হতাশ ব্যক্তি তাঁদের কাতারে চলে যান, যাঁরা আমেরিকা ও তার জনগণকে মুসলিমবিরোধী হিসেবে ধারণা পোষণ করেন।
তারবার্তার শেষাংশে মরিয়ার্টি ভিসা পাওয়ার পথ সহজ করতে এসএও প্রক্রিয়ার বিকল্প পথ গ্রহণের জন্য ওয়াশিংটনকে বলেন। যাঁরা দূতাবাসের কাছে পরিচিত মুখ তাঁদের ‘অ্যাম্বেসাডোরিয়াল ওয়েভার’ দেওয়ার জন্য তিনি প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া তিনি এসএও-প্রক্রিয়া সহজতর করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, আমি জানি এই প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আমার হতাশার কথা দূতাবাসের অনেকেই অবগত আছেন। এই পদ্ধতির জটিলতা নিরসনের সময় এসেছে।
তারবার্তায় মরিয়ার্টি অভিবাসী, পড়াশোনা, ভ্রমণ এবং রাষ্ট্রীয় সফরের উদ্দেশে ভিসার আবেদনের পর এসএও পেতে বিলম্বের শিকার হয়েছেন এ রকম বেশ কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
ভ্রমণ ভিসার ক্ষেত্রে মরিয়ার্টি দারুল ইহ্সান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য সৈয়দ আলী নকির প্রসঙ্গ টানেন, যিনি তাঁর ভিসা নবায়নের জন্য এসএও পাওয়ার অপেক্ষায় থাকতে থাকতেই মারা যান। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য তাঁর আর হয়নি।
তারবার্তায় মরিয়ার্টি উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা দূতাবাসে ৫২টি অভিবাসী (ইমিগ্রান্ট) ভিসার আবেদন ছিল, যেগুলোর ব্যাপারে এক বছরের বেশি সময় ধরে এসএও আসেনি। নন-ইমিগ্রান্ট ভিসার ক্ষেত্রেও হতাশার চিত্র দেখা গেছে। এ ধরনের ভিসার জন্য অনেকে চার বছর আগে আবেদন করলেও এসএও মেলেনি। এমনকি ইউএসএইডসহ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশি কর্মীরাও একই ধরনের বিলম্বের শিকার হয়েছেন।
মরিয়ার্টি বলেন, পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ভিসা প্রার্থীরা প্রায়ই জানতে চান, নামের সঙ্গে মোহাম্মদ থাকলে, মুখে দাড়ি থাকলে বা মুসলিম ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরলে, তাঁরা ভিসা পেতে পারেন কি না। মরিয়ার্টি বলেন, অনেক বাংলাদেশি ধারণা পোষণ করেন, নামের সঙ্গে মোহাম্মদ থাকাটা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটা বড় বাধা।
রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি মন্তব্য করেন, একজন বৈধ আবেদনকারীকে সময়মতো ভিসা না দেওয়া মানেই একটি সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাওয়া। কারণ, ভিসা না পেয়ে হতাশ ব্যক্তি তাঁদের কাতারে চলে যান, যাঁরা আমেরিকা ও তার জনগণকে মুসলিমবিরোধী হিসেবে ধারণা পোষণ করেন।
তারবার্তার শেষাংশে মরিয়ার্টি ভিসা পাওয়ার পথ সহজ করতে এসএও প্রক্রিয়ার বিকল্প পথ গ্রহণের জন্য ওয়াশিংটনকে বলেন। যাঁরা দূতাবাসের কাছে পরিচিত মুখ তাঁদের ‘অ্যাম্বেসাডোরিয়াল ওয়েভার’ দেওয়ার জন্য তিনি প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া তিনি এসএও-প্রক্রিয়া সহজতর করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, আমি জানি এই প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আমার হতাশার কথা দূতাবাসের অনেকেই অবগত আছেন। এই পদ্ধতির জটিলতা নিরসনের সময় এসেছে।
No comments