বিমানে না চড়ার পণ বোয়িং কর্মকর্তার
আড়াই লাখ মার্কিন তারবার্তা ফাঁস করেছে উইকিলিকস। মার্কিন কূটনীতিকদের ভাষ্যে এসব তারবার্তায় বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশের রাজনীতি ও ক্ষমতার অন্দরমহলের খবরঃ বাংলাদেশ বিমানের কাছে উড়োজাহাজ বিক্রির জন্য ঢাকায় এসেছিলেন বোয়িং কোম্পানির বিক্রয় শাখার পরিচালক মিগুয়েল সান্তোস। কিন্তু বিমানের যাত্রীসেবা ও উড্ডয়ননিরাপত্তা নিয়ে ওই কর্মকর্তা এতই উদ্বিগ্ন ছিলেন যে, তিনি তখন বলেছিলেন, বিমানই তাঁদের একমাত্র ক্রেতা, যাদের উড়োজাহাজে তিনি চড়বেন না।
২০০৮ সালে ঢাকা সফরে আসা বোয়িংয়ের ওই কর্মকর্তা মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে এ মন্তব্য করেন। ওই বছরের ১২ জানুয়ারি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো এক তারবার্তায় এ কথা উল্লেখ করা হয়।
একই তারবার্তায় আরও বলা হয়, যদি সবচেয়ে কম ভাড়াও নেয়, তার পরও বাংলাদেশ বিমানের পরিবর্তে অন্য এয়ারলাইনসে চড়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের বলা আছে।
দূতাবাসের ওই তারবার্তা গত ৩০ আগস্ট ফাঁস করে দিয়েছে সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকস। এতে বলা হয়, বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সীমাহীন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এর সঙ্গে আছে দক্ষ জনবলের অভাব, বহরে সেকেলে উড়োজাহাজ, প্রয়োজনের তুলনায় কয়েক গুণ কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ অবস্থায় লোকসানে জর্জরিত বিমানকে গত জুলাই মাসে (২০০৭) নাম পরিবর্তন করে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয়েছে।
তারবার্তায় বলা হয়, মার্কিন বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) রেটিং অনুযায়ী, বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) এক দশক ধরে ‘ক্যাটাগরি-২’ হিসেবে আছে। এ থেকে বোঝা যায়, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) মান অনুযায়ী উড্ডয়ননিরাপত্তার বিষয়ে ন্যূনতম মান নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশ।
১৯৯৭ সালে সিএএবির উড্ডয়ননিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নিরীক্ষা চালায় এফএএ। এতে দেখা যায়, যে আটটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তার মান নির্ধারিত হয়, তার মধ্যে পাঁচটিই পূরণ করতে পারেনি সিএএবি। এ কারণে নিরাপত্তা রেটিংয়ে ‘ক্যাটাগরি-১’ থেকে সিএএবিকে ‘ক্যাটাগরি-২’-এ নামিয়ে আনা হয়। এই মূল্যায়ন যখন করা হয়, তখন ঢাকা থেকে ব্রাসেলস হয়ে নিউইয়র্কে ফ্লাইট পরিচালনা করত বিমান।
অবশ্য ক্রমাগত লোকসান ও উড়োজাহাজ-সংকটের কারণে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ নিউইয়র্ক ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে দেয়, যা এখনো বন্ধ আছে।
২০০৮ সালের জানুয়ারির ওই তারবার্তায় বলা হয়, এফএএর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি রান্ডেল ফিৎজ সম্প্রতি ঢাকা সফর করেছেন। এ সময় সিএএবির চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর সাকিব ইকবাল খান মজলিসের সঙ্গে ফিৎজ ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উড্ডয়ননিরাপত্তার আটটি বিষয়ের অগ্রগতি তুলে ধরেন সাকিব ইকবাল খান। একই সঙ্গে নতুন করে একটি নিরীক্ষা দল পাঠানোর জন্য এফএএর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তাঁর আশা, নতুন করে নিরীক্ষা করা হলে সিএএবি ক্যাটাগরি-১-এ উঠে আসতে পারবে। তবে ফিৎজ জানান, মান নির্ধারণের বিষয়ে গত ১০ বছরে আইসিএওর নিয়ম-কানুনে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কাজেই দ্বিতীয়বার নিরীক্ষার আহ্বান জানানোর আগে সিএএবির উচিত, এসব বিষয় নিশ্চিত হয়ে নেওয়া। কেননা, আবারও ব্যর্থ হলে সিএএবি পরের কয়েক বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো নিরীক্ষা দাবি জানাতে পারবে না।
দূতাবাসের তারবার্তায় জানানো হয়, উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের বিক্রয় শাখার পরিচালক মিগুয়েল সান্তোস সম্প্রতি ঢাকা সফর করেছেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তিনি বাংলাদেশ বিমানের কাছে উড়োজাহাজ বিক্রির বিষয়ে আলোচনা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, প্রতিবার সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এখানে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়।
মিগুয়েল সান্তোস দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বলেন, বাংলাদেশ বিমান এই দুরবস্থা থেকে উঠে আসতে পারবে বলে তাঁর মনে হয় না। বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হলেই উড্ডয়ননিরাপত্তা ও কর্মদক্ষতা সমস্যার সমাধান হবে না। তিনি বলেন, বিমানই তাঁদের একমাত্র ক্রেতা, যাঁদের উড়োজাহাজে তিনি চড়বেন না।
একই তারবার্তায় আরও বলা হয়, যদি সবচেয়ে কম ভাড়াও নেয়, তার পরও বাংলাদেশ বিমানের পরিবর্তে অন্য এয়ারলাইনসে চড়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের বলা আছে।
দূতাবাসের ওই তারবার্তা গত ৩০ আগস্ট ফাঁস করে দিয়েছে সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকস। এতে বলা হয়, বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সীমাহীন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এর সঙ্গে আছে দক্ষ জনবলের অভাব, বহরে সেকেলে উড়োজাহাজ, প্রয়োজনের তুলনায় কয়েক গুণ কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ অবস্থায় লোকসানে জর্জরিত বিমানকে গত জুলাই মাসে (২০০৭) নাম পরিবর্তন করে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয়েছে।
তারবার্তায় বলা হয়, মার্কিন বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) রেটিং অনুযায়ী, বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) এক দশক ধরে ‘ক্যাটাগরি-২’ হিসেবে আছে। এ থেকে বোঝা যায়, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) মান অনুযায়ী উড্ডয়ননিরাপত্তার বিষয়ে ন্যূনতম মান নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশ।
১৯৯৭ সালে সিএএবির উড্ডয়ননিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নিরীক্ষা চালায় এফএএ। এতে দেখা যায়, যে আটটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তার মান নির্ধারিত হয়, তার মধ্যে পাঁচটিই পূরণ করতে পারেনি সিএএবি। এ কারণে নিরাপত্তা রেটিংয়ে ‘ক্যাটাগরি-১’ থেকে সিএএবিকে ‘ক্যাটাগরি-২’-এ নামিয়ে আনা হয়। এই মূল্যায়ন যখন করা হয়, তখন ঢাকা থেকে ব্রাসেলস হয়ে নিউইয়র্কে ফ্লাইট পরিচালনা করত বিমান।
অবশ্য ক্রমাগত লোকসান ও উড়োজাহাজ-সংকটের কারণে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ নিউইয়র্ক ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে দেয়, যা এখনো বন্ধ আছে।
২০০৮ সালের জানুয়ারির ওই তারবার্তায় বলা হয়, এফএএর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি রান্ডেল ফিৎজ সম্প্রতি ঢাকা সফর করেছেন। এ সময় সিএএবির চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর সাকিব ইকবাল খান মজলিসের সঙ্গে ফিৎজ ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উড্ডয়ননিরাপত্তার আটটি বিষয়ের অগ্রগতি তুলে ধরেন সাকিব ইকবাল খান। একই সঙ্গে নতুন করে একটি নিরীক্ষা দল পাঠানোর জন্য এফএএর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তাঁর আশা, নতুন করে নিরীক্ষা করা হলে সিএএবি ক্যাটাগরি-১-এ উঠে আসতে পারবে। তবে ফিৎজ জানান, মান নির্ধারণের বিষয়ে গত ১০ বছরে আইসিএওর নিয়ম-কানুনে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কাজেই দ্বিতীয়বার নিরীক্ষার আহ্বান জানানোর আগে সিএএবির উচিত, এসব বিষয় নিশ্চিত হয়ে নেওয়া। কেননা, আবারও ব্যর্থ হলে সিএএবি পরের কয়েক বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো নিরীক্ষা দাবি জানাতে পারবে না।
দূতাবাসের তারবার্তায় জানানো হয়, উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের বিক্রয় শাখার পরিচালক মিগুয়েল সান্তোস সম্প্রতি ঢাকা সফর করেছেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তিনি বাংলাদেশ বিমানের কাছে উড়োজাহাজ বিক্রির বিষয়ে আলোচনা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, প্রতিবার সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এখানে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়।
মিগুয়েল সান্তোস দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বলেন, বাংলাদেশ বিমান এই দুরবস্থা থেকে উঠে আসতে পারবে বলে তাঁর মনে হয় না। বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হলেই উড্ডয়ননিরাপত্তা ও কর্মদক্ষতা সমস্যার সমাধান হবে না। তিনি বলেন, বিমানই তাঁদের একমাত্র ক্রেতা, যাঁদের উড়োজাহাজে তিনি চড়বেন না।
No comments