বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে হাতের কাছে ‘বড় ডাক্তার’রা by রিয়াদুল করিম
লক্ষ্মীপুরের মুদি দোকানি জাকির হোসেনের নাক ও গলায় সমস্যা। স্থানীয় চিকিৎসক বলেছেন, ঢাকায় ‘বড় ডাক্তার’কে দেখাতে। কিন্তু অত টাকা তিনি কোথায় পাবেন! তাই আর ‘বড় ডাক্তার’ দেখানো হচ্ছিল না। কয়েক দিন আগে তিনি শুনেছেন, এখন প্রতিদিন বিকেলে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বড় ডাক্তাররা’ মাত্র ২০০ টাকায় রোগী দেখেন।
এটি শুনে গতকাল সোমবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন জাকির হোসেন। কিন্তু তাঁর ভাগ্য অত সুপ্রসন্ন নয়। তাই এত দূর থেকে এসেও তিনি ‘বড় ডাক্তার’ দেখাতে পারেননি। কারণ তিনি আসার আগেই সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। তাঁর মতো আরও অনেককে দেখা গেল, কাউন্টারে অনুনয়-বিনয় করছেন একটি টিকিটের জন্য।
কিন্তু কাউন্টারের কর্মীদের পক্ষে সেটি করা সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ২০ জন করে রোগী দেখার কথা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০ জনের বেশি রোগীকে টিকিট দেওয়া হয়ে গেছে। তাঁরা জানান, গত শনিবার থেকে বিকেলে নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে হাসপাতালেই বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ ও চিকিৎসাপত্র দেওয়ার প্রথা—বৈকালিক স্পেশালাইজড কনসালটেশন সার্ভিস চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই রোগীর ভিড় বাড়ছে। কিন্তু সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে সন্তুষ্ট করা যাচ্ছে না।
কেবিন ব্লক ভবনের দ্বিতীয় তলার চেম্বারে মেডিসিন, শিশু, গাইনি, চর্ম, কান-নাক-গলা ও ফিজিক্যাল মেডিসিন—এই ছয়টি বিভাগের একজন করে অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপক প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত রোগী দেখছেন। রোগীদের কাছ থেকে এ জন্য ২০০ টাকা করে ফি নেওয়া হচ্ছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে সেখানে গিয়ে দেখা গেল, তিনটার আগে থেকেই জড়ো হয়েছেন অনেক রোগী। চারটার আগেই শিশু বিভাগ ছাড়া সব বিভাগের টিকিট শেষ। সবচেয়ে বেশি ভিড় নাক-কান-গলা বিভাগে।
টিকিট বিক্রি দেখভাল করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার রায়। তিনি প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, তিন দিন হলো এ সেবা চালু হয়েছে। তেমন কোনো প্রচার ছিল না। এর পরও রোগীদের ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। অনেক চিকিৎসক ছয়টার পরও রোগী দেখছেন। তবুও প্রতিদিন অনেককে ফিরে যেতে হচ্ছে।
জাকিরের মতো ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে আসা রোগীদের দাবি, এ সেবা আরও সম্প্রসারিত করা হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত জানালেন, সেটি আগামী সপ্তাহ থেকেই করা হচ্ছে। আগামী শনিবার থেকে প্রত্যেক বিভাগে দুজন করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এ সেবা দেবেন। ফলে প্রতিদিন মোট ২৪০ জন রোগী এ সেবা পাবেন। এখন ১২০ জন রোগী এ সেবা পাচ্ছেন।
গাজীপুর থেকে আলী আকবর এসেছিলেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে। তিনি বলেন, সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয় না। আবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে যেতেও ৮০০-১০০০ টাকা খরচ। এ সেবা চালু করায় তিনি অল্প টাকায় বিশেষজ্ঞ দেখাতে পেরেছেন।
অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, সমাজে অনেকে আছেন, হাজার টাকা খরচ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে পারেন না। আবার সকালে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে চিকিত্সাসেবা নিতে লজ্জা পান। মূলত এ দিকটা চিন্তা করেই এ সেবা চালু করা হয়েছে। তিনি জানান, তাঁদের অফিস সময় সকাল আটটা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা দিনের চার ভাগের এক ভাগ সময় এখানে দিচ্ছেন। বাকি সময় থাকেন জুনিয়র চিকিৎসক। তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বেশি সময় থাকতে বাধ্যও করতে পারেন না। তাই চিকিত্সকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
উপাচার্য জানান, তাঁরা চাইছেন, এটিকে ‘ইনস্টিটিউশনাল প্রসেসে’ নিয়ে যেতে। আস্তে আস্তে সব বিভাগেই এ সেবা চালু করা হবে।
কিন্তু কাউন্টারের কর্মীদের পক্ষে সেটি করা সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ২০ জন করে রোগী দেখার কথা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০ জনের বেশি রোগীকে টিকিট দেওয়া হয়ে গেছে। তাঁরা জানান, গত শনিবার থেকে বিকেলে নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে হাসপাতালেই বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ ও চিকিৎসাপত্র দেওয়ার প্রথা—বৈকালিক স্পেশালাইজড কনসালটেশন সার্ভিস চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই রোগীর ভিড় বাড়ছে। কিন্তু সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে সন্তুষ্ট করা যাচ্ছে না।
কেবিন ব্লক ভবনের দ্বিতীয় তলার চেম্বারে মেডিসিন, শিশু, গাইনি, চর্ম, কান-নাক-গলা ও ফিজিক্যাল মেডিসিন—এই ছয়টি বিভাগের একজন করে অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপক প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত রোগী দেখছেন। রোগীদের কাছ থেকে এ জন্য ২০০ টাকা করে ফি নেওয়া হচ্ছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে সেখানে গিয়ে দেখা গেল, তিনটার আগে থেকেই জড়ো হয়েছেন অনেক রোগী। চারটার আগেই শিশু বিভাগ ছাড়া সব বিভাগের টিকিট শেষ। সবচেয়ে বেশি ভিড় নাক-কান-গলা বিভাগে।
টিকিট বিক্রি দেখভাল করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার রায়। তিনি প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, তিন দিন হলো এ সেবা চালু হয়েছে। তেমন কোনো প্রচার ছিল না। এর পরও রোগীদের ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। অনেক চিকিৎসক ছয়টার পরও রোগী দেখছেন। তবুও প্রতিদিন অনেককে ফিরে যেতে হচ্ছে।
জাকিরের মতো ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে আসা রোগীদের দাবি, এ সেবা আরও সম্প্রসারিত করা হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত জানালেন, সেটি আগামী সপ্তাহ থেকেই করা হচ্ছে। আগামী শনিবার থেকে প্রত্যেক বিভাগে দুজন করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এ সেবা দেবেন। ফলে প্রতিদিন মোট ২৪০ জন রোগী এ সেবা পাবেন। এখন ১২০ জন রোগী এ সেবা পাচ্ছেন।
গাজীপুর থেকে আলী আকবর এসেছিলেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে। তিনি বলেন, সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয় না। আবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে যেতেও ৮০০-১০০০ টাকা খরচ। এ সেবা চালু করায় তিনি অল্প টাকায় বিশেষজ্ঞ দেখাতে পেরেছেন।
অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, সমাজে অনেকে আছেন, হাজার টাকা খরচ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে পারেন না। আবার সকালে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে চিকিত্সাসেবা নিতে লজ্জা পান। মূলত এ দিকটা চিন্তা করেই এ সেবা চালু করা হয়েছে। তিনি জানান, তাঁদের অফিস সময় সকাল আটটা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা দিনের চার ভাগের এক ভাগ সময় এখানে দিচ্ছেন। বাকি সময় থাকেন জুনিয়র চিকিৎসক। তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বেশি সময় থাকতে বাধ্যও করতে পারেন না। তাই চিকিত্সকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
উপাচার্য জানান, তাঁরা চাইছেন, এটিকে ‘ইনস্টিটিউশনাল প্রসেসে’ নিয়ে যেতে। আস্তে আস্তে সব বিভাগেই এ সেবা চালু করা হবে।
No comments