শিশুটির কোলজুড়ে নবজাতক
বয়স কত হবে? ১১ বা ১২ বছর। এই বয়সে তার হাতে থাকার কথা পুতুল; খেলার কথা কানামাছি ভোঁ ভোঁ। বেণি বেঁধে সখিদের সঙ্গে দল বেঁধে স্কুলে যাওয়ার কথা যে শিশুটির, তার কোলজুড়ে এখন এক নবজাতক। এটি তারই সন্তান!
এক লম্পট পুরুষের লালসার শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয় সে। গত শনিবার সে প্রসব করেছে একটি ছেলেসন্তান। ঘটনাটি ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার দেওগাঁ চেরাডাঙ্গী গ্রামের।
এক লম্পট পুরুষের লালসার শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয় সে। গত শনিবার সে প্রসব করেছে একটি ছেলেসন্তান। ঘটনাটি ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার দেওগাঁ চেরাডাঙ্গী গ্রামের।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের নারী ওয়ার্ডের বারান্দায় শুয়ে আছে মেয়েটি। বুকে জড়িয়ে আছে একটি নবজাতক। হঠাৎ কেঁদে উঠছে নবজাতকটি। সেই কান্না থামাতে না পেরে নিজেই কেঁদে ফেলছে শিশুটি। এ দৃশ্য দেখে পাশে বসা মেয়েটির মা-ও অঝোরে কাঁদছেন।
জানতে চাইলে মেয়েটির মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক লম্পটের পাল্লায় পড়িয়া হামার মেয়ের সর্বনাশ হইল।’
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. রুস্তম আলী জানান, ‘আজ (শনিবার) সকালে ডা. খুরশীদ জাহান হকের তত্ত্বাবধানে মেয়েটির প্রসব করানো হয়। মা ও নবজাতক সুস্থ থাকায় তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ভুক্তভোগী মেয়েটি ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের দেওগাঁ চেরাডাঙ্গী গ্রামের আফসার আলীর (৪০) সঙ্গে ১৮ বছর আগে বগুড়ার একটি মেয়ের বিয়ে হয়। আফসারের স্ত্রী ওই মেয়েটির বাবার সঙ্গে ধর্ম আত্মীয় করেন। আত্মীয়তার সূত্রে আফসার প্রায়ই মেয়েটির বাড়িতে যাতায়াত করতেন। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এক দিন আফসার মেয়েটিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর তিনি নানা প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করতেন। এতে একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে আফসার তাঁর প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে মেয়েটিকে দ্বিতীয় বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তিনি মেয়েটিকে বিয়ে না করে জোর করে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী বিষয়টি জেনে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করলে আফসার গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। উপায়ন্তর না দেখে মেয়েটির বাবা গত ৩ আগস্ট ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগটি যাচাইয়ের জন্য আদালত এটি সদর থানায় পাঠান।
জানতে চাইলে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার মেয়েটি একটি ছেলেসন্তান প্রসব করেছে শুনেছি। আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না।’
জানতে চাইলে মেয়েটির মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক লম্পটের পাল্লায় পড়িয়া হামার মেয়ের সর্বনাশ হইল।’
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. রুস্তম আলী জানান, ‘আজ (শনিবার) সকালে ডা. খুরশীদ জাহান হকের তত্ত্বাবধানে মেয়েটির প্রসব করানো হয়। মা ও নবজাতক সুস্থ থাকায় তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ভুক্তভোগী মেয়েটি ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের দেওগাঁ চেরাডাঙ্গী গ্রামের আফসার আলীর (৪০) সঙ্গে ১৮ বছর আগে বগুড়ার একটি মেয়ের বিয়ে হয়। আফসারের স্ত্রী ওই মেয়েটির বাবার সঙ্গে ধর্ম আত্মীয় করেন। আত্মীয়তার সূত্রে আফসার প্রায়ই মেয়েটির বাড়িতে যাতায়াত করতেন। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এক দিন আফসার মেয়েটিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর তিনি নানা প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করতেন। এতে একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে আফসার তাঁর প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে মেয়েটিকে দ্বিতীয় বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তিনি মেয়েটিকে বিয়ে না করে জোর করে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী বিষয়টি জেনে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করলে আফসার গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। উপায়ন্তর না দেখে মেয়েটির বাবা গত ৩ আগস্ট ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগটি যাচাইয়ের জন্য আদালত এটি সদর থানায় পাঠান।
জানতে চাইলে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার মেয়েটি একটি ছেলেসন্তান প্রসব করেছে শুনেছি। আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না।’
No comments