চরম বিপর্যয়ের আগেই জনগণের দাবি মেনে নিন : ফখরুল
দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে_প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে দলটি বলেছে, 'চরম বিপর্যয় ঘটে যাওয়ার আগেই জনগণের দাবি মেনে নিন।'
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী জনগণের মনের কথা বুঝতে ও চোখের ভাষা পড়তে ব্যর্থ হয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী জনগণের মনের কথা বুঝতে ও চোখের ভাষা পড়তে ব্যর্থ হয়েছেন।
দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, শেয়ারবাজারে বিপর্যয়, অর্থনীতির বিপর্যস্ত অবস্থা, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দেশের মানুষের আশা ভঙ্গ করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, বাস্তবতার মুখোমুখি হোন। চরম বিপর্যয়ের আগে জনগণের দাবি মেনে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। জনগণকে তাদের পছন্দমতো সরকার বেছে নিতে সুযোগ দিন।' গতকাল সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের একদিন পর এ প্রতিক্রিয়া জানালো বিএনপি। গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বিরোধী দলকে অংশ নিতে হবে। বিএনপি আগে থেকে বলে আসছে, দলীয় সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে বাতিল করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহালের দাবিতে বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকরা আন্দোলন করে আসছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এক সমাবেশে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া একই দাবি জানিয়ে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল বলেন, 'দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার অতীতের মতো জোর করে দেশকে এক অনিশ্চয়তা, অস্থিতিশীলতা ও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা দেশের মানুষ মেনে নেবে না।'
'প্রধানমন্ত্রী বারবার বিরোধীদলীয় নেতাকে এবং তাঁর দুই ছেলেকে অসংসদীয় ভাষায় গালাগাল করছেন। এটা সব রাজনৈতিক শিষ্টাচারবর্জিত। একই মামলায় প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকার পরও প্রধানমন্ত্রীর মামলাগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দেওয়া হয়েছে', বললেন বিএনপির এই নেতা।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'তিনি বলেছেন, টক শোতে সবাই মিথ্যা কথা বলে। বিএনপি জানতে চায় প্রধানমন্ত্রী কি সত্যকে জানার ইচ্ছাটুকু হারিয়ে ফেলেছেন। সমালোচনা শোনার নূ্যনতম সৎ সাহস তাঁর নেই। তাহলে গণতন্ত্রের মানসকন্যা হবেন কী করে?'
সমালোচনা বন্ধের জন্যই বেসরকারি সম্প্রচার নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে এবং বাকশালী কায়দায় সম্পাদকদের জেলে পোরা হচ্ছে_এ অভিযোগ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, 'সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। দেশের জনগণের কোনো অংশই সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দিতে একমত হয়নি। এমনকি যে আদালতের দোহাই দেওয়া হয়েছে, তাঁরাও আগামী দুই মেয়াদে নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার রায় দিয়েছেন। তাই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান বিএনপি ও জনগণের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।'
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'রাজনীতি করলে ওনাকে (বিরোধীদলীয় নেতা) নির্বাচনে আসতেই হবে। গণতন্ত্রের প্রতি ওনার (প্রধানমন্ত্রী) এমনই কমিটমেন্ট যে অন্য রাজনৈতিক দল কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা তিনি ডিক্টেট করছেন। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তাঁর অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ পেয়েছে। তিনি গণতান্ত্রিক সহনশীলতা ও আলোচনা-সমঝোতা বিশ্বাস করেন না। এটা আওয়ামী লীগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। অতীতেও একই কারণে তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল।'
সবার সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশন দুটি আলাদা বিষয়। আমরা এ দুটি বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।'
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের একদিন পর এ প্রতিক্রিয়া জানালো বিএনপি। গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বিরোধী দলকে অংশ নিতে হবে। বিএনপি আগে থেকে বলে আসছে, দলীয় সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে বাতিল করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহালের দাবিতে বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকরা আন্দোলন করে আসছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এক সমাবেশে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া একই দাবি জানিয়ে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল বলেন, 'দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার অতীতের মতো জোর করে দেশকে এক অনিশ্চয়তা, অস্থিতিশীলতা ও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা দেশের মানুষ মেনে নেবে না।'
'প্রধানমন্ত্রী বারবার বিরোধীদলীয় নেতাকে এবং তাঁর দুই ছেলেকে অসংসদীয় ভাষায় গালাগাল করছেন। এটা সব রাজনৈতিক শিষ্টাচারবর্জিত। একই মামলায় প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকার পরও প্রধানমন্ত্রীর মামলাগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দেওয়া হয়েছে', বললেন বিএনপির এই নেতা।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'তিনি বলেছেন, টক শোতে সবাই মিথ্যা কথা বলে। বিএনপি জানতে চায় প্রধানমন্ত্রী কি সত্যকে জানার ইচ্ছাটুকু হারিয়ে ফেলেছেন। সমালোচনা শোনার নূ্যনতম সৎ সাহস তাঁর নেই। তাহলে গণতন্ত্রের মানসকন্যা হবেন কী করে?'
সমালোচনা বন্ধের জন্যই বেসরকারি সম্প্রচার নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে এবং বাকশালী কায়দায় সম্পাদকদের জেলে পোরা হচ্ছে_এ অভিযোগ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, 'সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। দেশের জনগণের কোনো অংশই সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দিতে একমত হয়নি। এমনকি যে আদালতের দোহাই দেওয়া হয়েছে, তাঁরাও আগামী দুই মেয়াদে নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার রায় দিয়েছেন। তাই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান বিএনপি ও জনগণের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।'
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'রাজনীতি করলে ওনাকে (বিরোধীদলীয় নেতা) নির্বাচনে আসতেই হবে। গণতন্ত্রের প্রতি ওনার (প্রধানমন্ত্রী) এমনই কমিটমেন্ট যে অন্য রাজনৈতিক দল কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা তিনি ডিক্টেট করছেন। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তাঁর অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ পেয়েছে। তিনি গণতান্ত্রিক সহনশীলতা ও আলোচনা-সমঝোতা বিশ্বাস করেন না। এটা আওয়ামী লীগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। অতীতেও একই কারণে তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল।'
সবার সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশন দুটি আলাদা বিষয়। আমরা এ দুটি বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।'
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments