লেকে মাছ ধরার অপরাধে মারধরের পর এবার এজাহার


লেকে মাছ ধরার অপরাধে মা ও ছেলেকে মারধরের পর এবার বরগুনার আমতলী থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতা শিউলী বেগমের অভিযোগ, মারধরের ঘটনাটি পত্রিকায় প্রকাশের জের ধরে তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমতলী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের ভাই সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার মজিবর রহমান বাদী অনুপম মজুমদারকে এজাহারটি করতে বাধ্য করেছেন। ওসি বলছেন, এজাহারটি তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, 'নদী বাঁধ দিয়ে লেক; মাছ ধরায় মা-ছেলেকে পেটালেন পৌর মেয়রের ভাই' শীর্ষক সংবাদ গত সোমবার কালের কণ্ঠের ২-এর পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়।
সংবাদ প্রকাশের পর সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার মজিবর রহমান ক্ষিপ্ত হন। নির্যাতিতা শিউলী বেগমের অভিযোগ, ঘটনার পর মজিবর রহমান আমতলী লঞ্চঘাট এলাকার অনন্যা বেকারির মালিক অনুপম মজুমদারকে বাধ্য করেছেন, তাঁর ভাই আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার করতে। গতকাল থানায় এজাহারটি দায়ের করলেও সেটি মামলা হিসেবে বিকেল পর্যন্ত রুজু করা হয়নি। ঘটনার পর থেকে শিউলী বেগমের ভাই আফজাল হোসেন পলাতক রয়েছেন। মুঠাফোনে আফজালের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, কয়েক বছর ধরে লঞ্চঘাট এলাকার অনন্যা বেকারির মালিক অনুপম মজুমদারের সঙ্গে তাঁর স্বামী বেকারির ব্যবসা করে আসছেন। এ সময়ে তিনি অনুপমের কাছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা দেনা হয়েছেন। রবিবার দুপুরে অনুপম নিজেই তাঁর (নুরুন্নাহার) কাছ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকার বকেয়া নিয়েছেন। নুরুন্নাহারের দাবি, অনুপমের সঙ্গে তাঁর স্বামীর ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ভালো। পৌরসভার সাবেক কমিশনারের চাপে পড়ে তিনি মিথ্যা এজাহার করেছে।

এজাহার দায়েরের কথা স্বীকার করে অনুপম মজুমদার মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, আফজালের কাছে তাঁর দুই লাখ ৩৭ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। সেই টাকা চাইতে গেলে রবিবার তিনি প্রাণনাশের হুমকি দেন। রবিবার দোকানে আফজালের স্ত্রী ছিলেন, তাঁর কাছ থেকে আপনি টাকা এনেছেন। তা হলে কী করে তিনি আপনাকে হুমকি দিয়েছেন_এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান।
মজিবর রহমান মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রায় এক বছর আগে বকেয়া টাকার কারণে আফজালকে মালামাল দেওয়া বন্ধ করে দেয় অনুপম। তখন আমি অনুপমকে বলে মালামাল পুনরায় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। সম্প্রতি বকেয়া টাকা না দেওয়ায় অনুপম অভিযোগ করলে আমি বলেছি, ওদের বিচার করতে পারব না, থানায় গিয়ে বিষয়টি জানাও।' অভিযোগ দাখিলের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা নেই বলে তিনি দাবি করেন।

No comments

Powered by Blogger.