বাবার ট্রাক্টরের নিচে পড়ে প্রাণ গেল ২ মেয়ের
বাড়ির পাশে নিজের ধানি জমিতে ট্রাক্টরে হালচাষ করছিলেন কৃষক কাবুল উদ্দিন। জমির আলে দাঁড়িয়ে ছিল তাঁর মেয়ে আশা (৬) এবং আশার কোলে রানী (৩)। একসময় আশা বায়না ধরল বাবার সঙ্গে ট্রাক্টরে চড়ার। তখন আশার পাশেই ছিলেন কাবুলের স্ত্রী, অর্থাৎ আশার মা। মেয়ের পীড়াপীড়ি ও স্ত্রীর অনুরোধে দুই মেয়েকে ট্রাক্টরে নিজের পেছনে তুলে নেন কাবুল আর তাঁর স্ত্রী চলে যান বাড়ির ভেতর।
দুই মেয়ে বাবার পেছনে ট্রাক্টরে উঠতে পেরে যেন অন্য রকম আনন্দে ভাসছে। কিন্তু সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। হঠাৎ ট্রাক্টরের ঝাঁকিতে তাল সামলাতে না পেরে পেছন থেকে নিচে জমিতে পড়ে যায় দুই মেয়ে। বাবা কাবুল ট্রাক্টর থামিয়ে নামার আগেই ট্রাক্টরের লোহার ফলা তাঁর দুই মেয়ের শরীরের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। আর লোহার ধারালো ফলার আঘাতে দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় আশা ও রানী। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিলি্ল দিয়াড়াপাড়া গ্রামে গতকাল সোমবার বিকেলে।
এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন মণ্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রব্বানী, কলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ (ময়না)সহ আশা-রানীর স্বজন ও এলাকাবাসী। গতকাল রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানায় তানোর থানার পুলিশ। নিহত আশা বিলি্ল দিয়াড়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় রুবেল আলী, রেজাউল ও বাবুল বলেন, বিলি্ল দিয়াড়াপাড়া গ্রামের ইলিয়াস উদ্দিনের ছেলে কাবুল উদ্দিনের পেছনে ট্রাক্টরে বসেছিল তাঁর মেয়ে আশা ও রানী। হঠাৎ তারা দুজন ট্রাক্টর থেকে নিচে পড়ে যায়। প্রথমে কাবুল তা টের পায়নি। কিন্তু তাঁর স্ত্রী ও আমাদের চিৎকারে যখন তিনি টের পেয়েছেন তখন ট্রাক্টরের ফলায় ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে দুই মেয়ের দেহ। তখন মেয়েদের এ অবস্থা দেখে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন কাবুল।
এ প্রসঙ্গে তানোর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই রাতে দুই মেয়ের দাফন সম্পন্ন হবে বলে তাঁর পরিবার জানিয়েছে।
ওসি বলেন, যেহেতু বিষয়টি একটা দুর্ঘটনার মাধ্যমে ঘটেছে, এ জন্য থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হবে।
এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন মণ্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রব্বানী, কলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ (ময়না)সহ আশা-রানীর স্বজন ও এলাকাবাসী। গতকাল রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানায় তানোর থানার পুলিশ। নিহত আশা বিলি্ল দিয়াড়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় রুবেল আলী, রেজাউল ও বাবুল বলেন, বিলি্ল দিয়াড়াপাড়া গ্রামের ইলিয়াস উদ্দিনের ছেলে কাবুল উদ্দিনের পেছনে ট্রাক্টরে বসেছিল তাঁর মেয়ে আশা ও রানী। হঠাৎ তারা দুজন ট্রাক্টর থেকে নিচে পড়ে যায়। প্রথমে কাবুল তা টের পায়নি। কিন্তু তাঁর স্ত্রী ও আমাদের চিৎকারে যখন তিনি টের পেয়েছেন তখন ট্রাক্টরের ফলায় ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে দুই মেয়ের দেহ। তখন মেয়েদের এ অবস্থা দেখে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন কাবুল।
এ প্রসঙ্গে তানোর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই রাতে দুই মেয়ের দাফন সম্পন্ন হবে বলে তাঁর পরিবার জানিয়েছে।
ওসি বলেন, যেহেতু বিষয়টি একটা দুর্ঘটনার মাধ্যমে ঘটেছে, এ জন্য থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হবে।
No comments