অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৫ অক্টোবর
আগামী ২৫ অক্টোবর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ঠিক করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১১ আসামির উপস্থিতিতে এই আদেশ দেন বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক এবং চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান।
এ দিন সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর পৌনে ১২টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
মামলার কার্যক্রমের শুরুতে আসামি এনএসআইয়ের সাবেক প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন এবং চোরাচালানি দীন মোহাম্মদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন বিচারক।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কামাল উদ্দিন বলেন, 'উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ২৫ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করেছেন। ওই দিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।' তিনি বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের ১০ আইনজীবী কারাফটকে দেখা করার অনুমতি চাইলে আদালত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন।'
উপস্থিত আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের তৎকালীন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআইয়ের সাবেক পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) সাহাবুদ্দিন, উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খান, রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা সিইউএফএলের সাবেক এমডি মোহসীন তালুকদার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক এনামুল হক, ট্রলার মালিক দীন মোহাম্মদ এবং চোরাচালানি হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান। এদের মধ্যে দীন মোহাম্মদ ও হাফিজুর রহমান মূল চার্জশিটভুক্ত এবং অন্যরা সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত আসামি।
শুনানির শুরুতে আসামিপক্ষের আইনজীবী মনজুর আহমেদ আনসারী অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য এক মাসের সময় দেওয়ার আবেদন জানান। আইনজীবী এস ইউ নূরুল ইসলাম আদালতের কাছে লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে কারাগারে ১০ আইনজীবীর সাক্ষাতের অনুমতি চান। কিন্তু এর বিরোধিতা করেন পিপি।
শুনানির একপর্যায়ে আদালতে আসামিপক্ষের এক আইনজীবী আসামি দীন মোহাম্মদের জামিনের আবেদন জানিয়ে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার আসামি জজ মিয়ার প্রসঙ্গ তুললে উভয় পক্ষে হট্টগোল শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এ সময় বাবরের প্রতি ইঙ্গিত করে 'জজ মিয়ার সৃষ্টিকারীরা এখানেই আছেন' বলে মন্তব্য করলে এর প্রতিবাদ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ সময় মহানগর পিপি কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'সম্পূরক চার্জশিটে যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে কোনো জজ মিয়া নেই। সব আসামির বিরুদ্ধেই সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে।'
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৭(৬) ধারায় এ মামলার পলাতক দুই আসামি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নূরুল আমিনকে হাজির হওয়ার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ।
এতে পলাতক আসামিদের মামলার ধার্য তারিখে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে নির্ধারিত সময় গতকাল সোমবার পলাতক আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁদের অনুপস্থিতিতেই অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় নির্ধারিত হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা সিইউএফএলের জেটিতে খালাসের সময় ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালানটি ধরা পড়েছিল।
মামলার কার্যক্রমের শুরুতে আসামি এনএসআইয়ের সাবেক প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন এবং চোরাচালানি দীন মোহাম্মদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন বিচারক।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কামাল উদ্দিন বলেন, 'উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ২৫ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করেছেন। ওই দিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।' তিনি বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের ১০ আইনজীবী কারাফটকে দেখা করার অনুমতি চাইলে আদালত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন।'
উপস্থিত আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের তৎকালীন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআইয়ের সাবেক পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) সাহাবুদ্দিন, উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খান, রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা সিইউএফএলের সাবেক এমডি মোহসীন তালুকদার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক এনামুল হক, ট্রলার মালিক দীন মোহাম্মদ এবং চোরাচালানি হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান। এদের মধ্যে দীন মোহাম্মদ ও হাফিজুর রহমান মূল চার্জশিটভুক্ত এবং অন্যরা সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত আসামি।
শুনানির শুরুতে আসামিপক্ষের আইনজীবী মনজুর আহমেদ আনসারী অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য এক মাসের সময় দেওয়ার আবেদন জানান। আইনজীবী এস ইউ নূরুল ইসলাম আদালতের কাছে লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে কারাগারে ১০ আইনজীবীর সাক্ষাতের অনুমতি চান। কিন্তু এর বিরোধিতা করেন পিপি।
শুনানির একপর্যায়ে আদালতে আসামিপক্ষের এক আইনজীবী আসামি দীন মোহাম্মদের জামিনের আবেদন জানিয়ে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার আসামি জজ মিয়ার প্রসঙ্গ তুললে উভয় পক্ষে হট্টগোল শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এ সময় বাবরের প্রতি ইঙ্গিত করে 'জজ মিয়ার সৃষ্টিকারীরা এখানেই আছেন' বলে মন্তব্য করলে এর প্রতিবাদ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ সময় মহানগর পিপি কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'সম্পূরক চার্জশিটে যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে কোনো জজ মিয়া নেই। সব আসামির বিরুদ্ধেই সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে।'
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৭(৬) ধারায় এ মামলার পলাতক দুই আসামি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নূরুল আমিনকে হাজির হওয়ার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ।
এতে পলাতক আসামিদের মামলার ধার্য তারিখে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে নির্ধারিত সময় গতকাল সোমবার পলাতক আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁদের অনুপস্থিতিতেই অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় নির্ধারিত হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা সিইউএফএলের জেটিতে খালাসের সময় ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালানটি ধরা পড়েছিল।
No comments