শ্রমিকদের নতুন বেতন কাঠামো প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছে আজ
রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ হতে যাচ্ছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের বৈঠকে এই প্রস্তাবনা চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) এটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। এ সময় জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের ২৬ সদস্য উপস্থিত থাকবেন। শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মতিন মাস্টার, পাটকল শ্রমিক লীগের সভাপতি মোতাহার উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল এ সময় উপস্থিত থাকবেন।
নতুন বেতন ২০০৯ সাল থেকে কার্যকর করা হবে। শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
বর্তমানে একজন শ্রমিকের নূ্যনতম মূল বেতন দুই হাজার ৪৫০ টাকা। এখন এই স্কেল বদলে চার হাজার ২৫০ টাকা হবে। প্রথম গ্রেডের শ্রমিকদের জন্য নতুন নিয়মে মূল বেতনের সঙ্গে চিকিৎসা ভাতা ৭০০ টাকা, বাড়িভাড়াসহ অন্যান্য সুবিধা যোগ হয়ে নূ্যনতম বেতন হবে আট হাজার ৯৬০ টাকা।
শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিতে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিতে শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনজন শ্রমিক নেতা রয়েছেন। তাঁরা হলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মতিন মাস্টার, পাটকল শ্রমিক লীগের সভাপতি মোতাহার উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল খান। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে আরো আছেন জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের চেয়ারম্যান মাহে আলম, এনপিওর পরিচালকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। মজুরি নির্ধারণে গঠিত কমিটি ছয় মাস ধরে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। এসব বৈঠকে কারখানার উৎপাদনশীলতা বাড়াতে নানামুখী সুপারিশমালা তৈরি করা হয়েছে। এসব সুপারিশের মধ্যে বেতন বৃদ্ধি একটি অন্যতম বিষয় হিসেবে গণ্য করা হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের প্রায় দেড় লাখ শ্রমিকের জন্য এ নতুন বেতন কাঠামো ২০০৯ সাল থেকে কার্যকর হবে।
মজুরি নির্ধারণ কমিটির সদস্য ন্যাশনাল প্রোডাক্টভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) পরিচালক ড. নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। চলতি মাসের মধ্যে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করতে সব দাপ্তরিক কাজ শেষ করা হবে বলেও তিনি জানান।
মজুরি বৃদ্ধি কমিটির আরেক সদস্য জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মতিন মাস্টার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি আশা করি, শ্রমিকরা নতুন এ বেতন কাঠামোতে খুশি হবেন। রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর পর বেসরকারি শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবি করবেন বলেও জানান এই শ্রমিক নেতা।
মতিন মাস্টার আরো বলেন, মজুরি কমিশন অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ১৯৮৪ সালে একজন শ্রমিকের বেতন ৫০০ টাকা, ১৯৯৭ সালে এক হাজার ৫৫০ টাকা, ২০০৫ সালে দুই হাজার ৪৫০ টাকা ছিল। ২০০৯ সালের জুন মাসে পে-কমিশন ঘোষণা করা হলেও মজুরি কমিশন ঘোষণা করা হয়নি। ফলে সচিব থেকে সরকারি ছোট-বড় কর্মকর্তা সবার বেতন বাড়লেও গত দুই বছরে সরকারি কারখানার শ্রমিকদের বেতন বাড়েনি।
বর্তমানে একজন শ্রমিকের নূ্যনতম মূল বেতন দুই হাজার ৪৫০ টাকা। এখন এই স্কেল বদলে চার হাজার ২৫০ টাকা হবে। প্রথম গ্রেডের শ্রমিকদের জন্য নতুন নিয়মে মূল বেতনের সঙ্গে চিকিৎসা ভাতা ৭০০ টাকা, বাড়িভাড়াসহ অন্যান্য সুবিধা যোগ হয়ে নূ্যনতম বেতন হবে আট হাজার ৯৬০ টাকা।
শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিতে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিতে শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনজন শ্রমিক নেতা রয়েছেন। তাঁরা হলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মতিন মাস্টার, পাটকল শ্রমিক লীগের সভাপতি মোতাহার উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল খান। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে আরো আছেন জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের চেয়ারম্যান মাহে আলম, এনপিওর পরিচালকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। মজুরি নির্ধারণে গঠিত কমিটি ছয় মাস ধরে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। এসব বৈঠকে কারখানার উৎপাদনশীলতা বাড়াতে নানামুখী সুপারিশমালা তৈরি করা হয়েছে। এসব সুপারিশের মধ্যে বেতন বৃদ্ধি একটি অন্যতম বিষয় হিসেবে গণ্য করা হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের প্রায় দেড় লাখ শ্রমিকের জন্য এ নতুন বেতন কাঠামো ২০০৯ সাল থেকে কার্যকর হবে।
মজুরি নির্ধারণ কমিটির সদস্য ন্যাশনাল প্রোডাক্টভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) পরিচালক ড. নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। চলতি মাসের মধ্যে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করতে সব দাপ্তরিক কাজ শেষ করা হবে বলেও তিনি জানান।
মজুরি বৃদ্ধি কমিটির আরেক সদস্য জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মতিন মাস্টার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি আশা করি, শ্রমিকরা নতুন এ বেতন কাঠামোতে খুশি হবেন। রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর পর বেসরকারি শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবি করবেন বলেও জানান এই শ্রমিক নেতা।
মতিন মাস্টার আরো বলেন, মজুরি কমিশন অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ১৯৮৪ সালে একজন শ্রমিকের বেতন ৫০০ টাকা, ১৯৯৭ সালে এক হাজার ৫৫০ টাকা, ২০০৫ সালে দুই হাজার ৪৫০ টাকা ছিল। ২০০৯ সালের জুন মাসে পে-কমিশন ঘোষণা করা হলেও মজুরি কমিশন ঘোষণা করা হয়নি। ফলে সচিব থেকে সরকারি ছোট-বড় কর্মকর্তা সবার বেতন বাড়লেও গত দুই বছরে সরকারি কারখানার শ্রমিকদের বেতন বাড়েনি।
No comments