ব্রাজিলের জন্য নয়, আসুন, আমরা ঘানার জন্য শোক করি
‘বড় প্রয়োজন সামনে এসেছে,
ছোটো প্রয়োজন ছাড়তে হবে।
জীবন হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র—,
ভুল করলে হারতে হবে।’
(ইস্ক্রা: পদ্যসংখ্যা ২৫)
ব্রাজিলের অভাবিত পরাজয়ের ভিতর দিয়ে লাতিন আমেরিকান ফুটবলের বিজয়রথ কি তবে থেমে গেল? ঔপনিবেশিকতার আফ্রিকা-সিন্ড্রোম কাটিয়ে উঠে ফুটবলের বিশ্বযুদ্ধে কি ফিরে দাঁড়াল বিধ্বস্ত ইউরোপ?
মনে পড়ছে মহাভারতের কাহিনি। অশ্বত্থামা হত ইতি গজ। অশ্বত্থামা ছিলেন মহাভারতবর্ণিত কুরুপক্ষীয় যুদ্ধবিদ্যা বিশারদ দ্রোণাচার্যের পুত্র। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ চলাকালে কৌরবদলে অশ্বত্থামা নামে একটি বলবান হস্তীও ছিল। পাণ্ডবদলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের একপর্যায়ে সেই হস্তীটি নিহত হলে দ্রোণাচার্যের কাছে দুঃসংবাদটি এমনভাবে পরিবেশন করা হয়, যাতে দ্রোণাচার্য পুত্রশোকে কাতর হয়ে যুদ্ধ পরিচালনায় ভুল করেন। মিথ্যা বলার দায় থেকে মুক্ত থাকার জন্য সংবাদদাতা শেষের ‘ইতি গজ’ কথাটা খুব ক্ষীণকণ্ঠে বলেছিলেন বটে। কিন্তু তা অস্পষ্ট থাকার কারণে সংবাদ প্রদানকারীর উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়, পুত্রের মৃত্যুসংবাদ ভেবে দ্রোণাচার্য মুষড়ে পড়েন এবং পরবর্তী যুদ্ধ পরিচালনায় ঘটনাটির বিরূপ প্রভাব পড়ে।
লাতিন আমেরিকান ফুটবলের অশ্বত্থামা হচ্ছে ব্রাজিল। কাল (২ জুলাই, বাংলাদেশ সময় রাত ১০ ঘটিকায়) নেদারল্যান্ডের সঙ্গে খেলায় প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে থেকেও দ্বিতীয়ার্ধে ২-১ গোলে হেরে বিশ্বজোড়া কোটি কোটি ভক্তের চোখের জল ঝরিয়ে বিশ্বকাপের আসর থেকে ব্রাজিল বিদায় নিয়েছে। লাতিন আমেরিকান ফুটবলের জয়জয়কার প্রত্যক্ষ করে, আর্জেন্টিনার সঙ্গে ব্রাজিলের স্বপ্নের ফাইনাল দেখার জন্য যাঁরা অপেক্ষা করছিলেন, স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় তাঁরা এখন মুহ্যমান। বাংলাদেশের স্বপ্নভ্রষ্ট অগণিত ব্রাজিল-ভক্তের পাশে আমি আছি। ব্রাজিলের গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারের মধ্যে উড়ন্ত সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট জটলার মধ্যে প্রায় মধ্যমাঠ থেকে উড়িয়ে মারা জাবুলানি বলটি ব্রাজিলের গোলের ভিতরে প্রবেশ করে। নেদারল্যান্ড এর বেনিফিসিয়ারি হলেও এই গোল শোধের কৃতিত্ব তো ব্রাজিলেরই প্রাপ্য।
আরেকটি কথা বলতে হয়। ব্রাজিল জার্সি বদল করে খেলেছে এদিন। তাতে সমর্থকদের যেমন তাদের চিনতে সমস্যা হয়েছে, মনে হয়েছে ব্রাজিলের খেলোয়াড়রাও যেন নিজেদেরই চিনতে পারছিলেন না। এই পরিবর্তনের কী দরকার ছিল—এ প্রশ্ন অনেকের মনেই জেগেছে।
উরুগুয়ের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করে আফ্রিকার স্বপ্ন ঘানা যেভাবে পরাজিত হয়েছে, ব্রাজিলের খেলায় আমরা তেমন মরণপণ লড়াইও দেখিনি। হয় জয়ের জন্য মরণপণ লড়াই করাটাকে ব্রাজিল তাদের আত্মসম্মানবোধের পরিপন্থী বলে মনে করে, অথবা বিশ্বকাপজয়ক্লান্ত ব্রাজিলের সেই শক্তি আর অবশিষ্ট নেই। সুতরাং ব্রাজিলের জন্য নয়, আসুন, আমরা বরং ঘানার জন্য শোক করি।
ঘানার পিছু নিয়েছিল দুর্ভাগ্য। তা না হলে পেনাল্টি শটে বিশেষ কৃতীর পরিচয় দিয়ে আমার চিত্ত জয় করা ঘানার অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার আসামোয়া জিয়ান (আমি যার নাম রেখেছিলাম ওসমান গনি বা জ্ঞানী বলে) অতিরিক্ত তিরিশ মিনিটের প্রায় শেষ মুহূর্তে পাওয়া পেনাল্টি শটটি এ রকম ক্রসবারে মারবেন কেন? জিয়ানের একটি নির্ভুল পেনাল্টি শট ঘানাকে নিয়ে যেতে পারত বিশ্ব-ফুটবলের ইতিহাসের নতুন সিঁড়িতে। যাঁর নির্ভুল পদাঘাতে ঘানা বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এসেছিল, সেই মানুষটিই কিনা শেষ মুহূর্তে ঘানার স্বপ্নভঙ্গের কারণ হলেন।
প্যারাগুয়ের সঙ্গে জাপানের মতো, উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ঘানাও যে পেনাল্টি শটে কুলিয়ে উঠতে পারবে না, সে আমি বুঝে গিয়েছিলাম। কী আর করা, খেলা তো এ রকমই। ভুল করলে হারতে হবেই। তবে, হ্যাঁ, ক্রিকেটের মতো ফুটবলে ‘হক আই’ প্রযুক্তি ব্যবহার করার নিয়ম থাকলে কাল রাতের খেলায় ঘানাই জয়ী হতো। নিয়মিত গোলরক্ষক পরাভূত হওয়ার পর, অনিবার্য গোল ঠেকানোর জন্য কোনো ডিফেন্ডার যদি দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তবে তাঁর যুক্তিসংগত শাস্তি পেনাল্টি বা লালকার্ড নয়, গোলই। ফিফা যাই বলুক, আমি কিন্তু কালকের কোয়ার্টার ফাইনালে ঘানাকেই বিজয়ী ঘোষণা করছি।
আবার ব্রাজিলের প্রসঙ্গে আসি। ব্রাজিলের অভাবিত পরাজয়ের এই অঘটনকে লাতিন আমেরিকার দ্বিতীয় পরাশক্তি আর্জেন্টিনার দ্রোণাচার্য ডিয়েগো ম্যারাডোনা কীভাবে বিশ্লেষণ করেন, তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী জার্মানির বিরুদ্ধে কী রণকৌশল গ্রহণ করেন, তার দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ব-ফুটবলের কোটি দর্শক। ম্যারাডোনা কি পাণ্ডবদের বিরুদ্ধে কুরুক্ষেত্রের মহারণে জয়ী হতে পারবেন? নাকি ব্রাজিলরূপী অশ্বত্থামার মৃত্যুসংবাদে তিনিও মুষড়ে পড়বেন দ্রোণাচার্যের মতো? এটাই দেখার বিষয়। ব্রাজিলের পরাজয়ে বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ কেঁদেছে। বাকি অর্ধেক তাকিয়ে আছে আর্জেন্টিনার দিকে। হে ফুটবলের ঈশ্বর, আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণার আগে তুমি বাংলাদেশের মানুষের কথা মনে রেখো, প্রভু।
‘অপরের মুখ ম্লান করে’ দেওয়ার মধ্যে মানুষ অপার আনন্দ লাভ করে। মানব-চরিত্রের এই গূঢ়-গোপন কদর্য-নিষ্ঠুর দিকটি কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার মধ্যে খুব চমৎকারভাবে ধরা পড়েছে। তারই সত্যতা দেখতে পাচ্ছি ব্রাজিলের পরাজয়ের সংবাদে বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা-সমর্থক ও তার কিছুসংখ্যক ভক্তের মধ্যে সৃষ্ট বিকৃত-উল্লাসের মধ্যে। আসুন, বিকৃতির মহামারীর এই রাহুগ্রাস থেকে আমরা আমাদের পবিত্র আত্মাকে মুক্ত করি। মুক্ত রাখি।
কামরাঙ্গীর চর
৩ জুলাই ২০১০ / বিকাল ৫টা
ছোটো প্রয়োজন ছাড়তে হবে।
জীবন হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র—,
ভুল করলে হারতে হবে।’
(ইস্ক্রা: পদ্যসংখ্যা ২৫)
ব্রাজিলের অভাবিত পরাজয়ের ভিতর দিয়ে লাতিন আমেরিকান ফুটবলের বিজয়রথ কি তবে থেমে গেল? ঔপনিবেশিকতার আফ্রিকা-সিন্ড্রোম কাটিয়ে উঠে ফুটবলের বিশ্বযুদ্ধে কি ফিরে দাঁড়াল বিধ্বস্ত ইউরোপ?
মনে পড়ছে মহাভারতের কাহিনি। অশ্বত্থামা হত ইতি গজ। অশ্বত্থামা ছিলেন মহাভারতবর্ণিত কুরুপক্ষীয় যুদ্ধবিদ্যা বিশারদ দ্রোণাচার্যের পুত্র। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ চলাকালে কৌরবদলে অশ্বত্থামা নামে একটি বলবান হস্তীও ছিল। পাণ্ডবদলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের একপর্যায়ে সেই হস্তীটি নিহত হলে দ্রোণাচার্যের কাছে দুঃসংবাদটি এমনভাবে পরিবেশন করা হয়, যাতে দ্রোণাচার্য পুত্রশোকে কাতর হয়ে যুদ্ধ পরিচালনায় ভুল করেন। মিথ্যা বলার দায় থেকে মুক্ত থাকার জন্য সংবাদদাতা শেষের ‘ইতি গজ’ কথাটা খুব ক্ষীণকণ্ঠে বলেছিলেন বটে। কিন্তু তা অস্পষ্ট থাকার কারণে সংবাদ প্রদানকারীর উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়, পুত্রের মৃত্যুসংবাদ ভেবে দ্রোণাচার্য মুষড়ে পড়েন এবং পরবর্তী যুদ্ধ পরিচালনায় ঘটনাটির বিরূপ প্রভাব পড়ে।
লাতিন আমেরিকান ফুটবলের অশ্বত্থামা হচ্ছে ব্রাজিল। কাল (২ জুলাই, বাংলাদেশ সময় রাত ১০ ঘটিকায়) নেদারল্যান্ডের সঙ্গে খেলায় প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে থেকেও দ্বিতীয়ার্ধে ২-১ গোলে হেরে বিশ্বজোড়া কোটি কোটি ভক্তের চোখের জল ঝরিয়ে বিশ্বকাপের আসর থেকে ব্রাজিল বিদায় নিয়েছে। লাতিন আমেরিকান ফুটবলের জয়জয়কার প্রত্যক্ষ করে, আর্জেন্টিনার সঙ্গে ব্রাজিলের স্বপ্নের ফাইনাল দেখার জন্য যাঁরা অপেক্ষা করছিলেন, স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় তাঁরা এখন মুহ্যমান। বাংলাদেশের স্বপ্নভ্রষ্ট অগণিত ব্রাজিল-ভক্তের পাশে আমি আছি। ব্রাজিলের গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারের মধ্যে উড়ন্ত সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট জটলার মধ্যে প্রায় মধ্যমাঠ থেকে উড়িয়ে মারা জাবুলানি বলটি ব্রাজিলের গোলের ভিতরে প্রবেশ করে। নেদারল্যান্ড এর বেনিফিসিয়ারি হলেও এই গোল শোধের কৃতিত্ব তো ব্রাজিলেরই প্রাপ্য।
আরেকটি কথা বলতে হয়। ব্রাজিল জার্সি বদল করে খেলেছে এদিন। তাতে সমর্থকদের যেমন তাদের চিনতে সমস্যা হয়েছে, মনে হয়েছে ব্রাজিলের খেলোয়াড়রাও যেন নিজেদেরই চিনতে পারছিলেন না। এই পরিবর্তনের কী দরকার ছিল—এ প্রশ্ন অনেকের মনেই জেগেছে।
উরুগুয়ের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করে আফ্রিকার স্বপ্ন ঘানা যেভাবে পরাজিত হয়েছে, ব্রাজিলের খেলায় আমরা তেমন মরণপণ লড়াইও দেখিনি। হয় জয়ের জন্য মরণপণ লড়াই করাটাকে ব্রাজিল তাদের আত্মসম্মানবোধের পরিপন্থী বলে মনে করে, অথবা বিশ্বকাপজয়ক্লান্ত ব্রাজিলের সেই শক্তি আর অবশিষ্ট নেই। সুতরাং ব্রাজিলের জন্য নয়, আসুন, আমরা বরং ঘানার জন্য শোক করি।
ঘানার পিছু নিয়েছিল দুর্ভাগ্য। তা না হলে পেনাল্টি শটে বিশেষ কৃতীর পরিচয় দিয়ে আমার চিত্ত জয় করা ঘানার অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার আসামোয়া জিয়ান (আমি যার নাম রেখেছিলাম ওসমান গনি বা জ্ঞানী বলে) অতিরিক্ত তিরিশ মিনিটের প্রায় শেষ মুহূর্তে পাওয়া পেনাল্টি শটটি এ রকম ক্রসবারে মারবেন কেন? জিয়ানের একটি নির্ভুল পেনাল্টি শট ঘানাকে নিয়ে যেতে পারত বিশ্ব-ফুটবলের ইতিহাসের নতুন সিঁড়িতে। যাঁর নির্ভুল পদাঘাতে ঘানা বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এসেছিল, সেই মানুষটিই কিনা শেষ মুহূর্তে ঘানার স্বপ্নভঙ্গের কারণ হলেন।
প্যারাগুয়ের সঙ্গে জাপানের মতো, উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ঘানাও যে পেনাল্টি শটে কুলিয়ে উঠতে পারবে না, সে আমি বুঝে গিয়েছিলাম। কী আর করা, খেলা তো এ রকমই। ভুল করলে হারতে হবেই। তবে, হ্যাঁ, ক্রিকেটের মতো ফুটবলে ‘হক আই’ প্রযুক্তি ব্যবহার করার নিয়ম থাকলে কাল রাতের খেলায় ঘানাই জয়ী হতো। নিয়মিত গোলরক্ষক পরাভূত হওয়ার পর, অনিবার্য গোল ঠেকানোর জন্য কোনো ডিফেন্ডার যদি দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তবে তাঁর যুক্তিসংগত শাস্তি পেনাল্টি বা লালকার্ড নয়, গোলই। ফিফা যাই বলুক, আমি কিন্তু কালকের কোয়ার্টার ফাইনালে ঘানাকেই বিজয়ী ঘোষণা করছি।
আবার ব্রাজিলের প্রসঙ্গে আসি। ব্রাজিলের অভাবিত পরাজয়ের এই অঘটনকে লাতিন আমেরিকার দ্বিতীয় পরাশক্তি আর্জেন্টিনার দ্রোণাচার্য ডিয়েগো ম্যারাডোনা কীভাবে বিশ্লেষণ করেন, তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী জার্মানির বিরুদ্ধে কী রণকৌশল গ্রহণ করেন, তার দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ব-ফুটবলের কোটি দর্শক। ম্যারাডোনা কি পাণ্ডবদের বিরুদ্ধে কুরুক্ষেত্রের মহারণে জয়ী হতে পারবেন? নাকি ব্রাজিলরূপী অশ্বত্থামার মৃত্যুসংবাদে তিনিও মুষড়ে পড়বেন দ্রোণাচার্যের মতো? এটাই দেখার বিষয়। ব্রাজিলের পরাজয়ে বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ কেঁদেছে। বাকি অর্ধেক তাকিয়ে আছে আর্জেন্টিনার দিকে। হে ফুটবলের ঈশ্বর, আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণার আগে তুমি বাংলাদেশের মানুষের কথা মনে রেখো, প্রভু।
‘অপরের মুখ ম্লান করে’ দেওয়ার মধ্যে মানুষ অপার আনন্দ লাভ করে। মানব-চরিত্রের এই গূঢ়-গোপন কদর্য-নিষ্ঠুর দিকটি কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার মধ্যে খুব চমৎকারভাবে ধরা পড়েছে। তারই সত্যতা দেখতে পাচ্ছি ব্রাজিলের পরাজয়ের সংবাদে বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা-সমর্থক ও তার কিছুসংখ্যক ভক্তের মধ্যে সৃষ্ট বিকৃত-উল্লাসের মধ্যে। আসুন, বিকৃতির মহামারীর এই রাহুগ্রাস থেকে আমরা আমাদের পবিত্র আত্মাকে মুক্ত করি। মুক্ত রাখি।
কামরাঙ্গীর চর
৩ জুলাই ২০১০ / বিকাল ৫টা
No comments