যে কারণে হল্যান্ডের জয়
হল্যান্ড ফুটবলের খুব বড় একজন ভক্ত আমি। তার পরও হল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলকেই এগিয়ে রেখেছিলাম। শতকরা হিসাবে ব্রাজিল ৬৫, হল্যান্ড ৩৫। এটি হল্যান্ডের সেরা দল নয় বলেই আমি ব্রাজিলের জয় নিয়ে মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম। এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না যে, হল্যান্ড জিতেছে!
হল্যান্ডকে খাটো করছি না। তবে ব্রাজিল ব্রাজিলের রূপে মাঠে দেখা দিলে ফল কী হতো অনুমান করা কঠিন নয়। কিন্তু সবকিছু তো হিসাব মেনে চলে না। হল্যান্ডের এই জয়টাই এর উদাহরণ।
হল্যান্ড জিতল বেশ কিছু বিষয় তাদের অনুকূলে থাকায়। প্রথমেই বলব, কাকার অসাধারণ শটটা ডাচ গোলরক্ষক সেভ করে দেওয়াই ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট। এই বিশ্বকাপে এর চেয়ে ভালো সেভ আমি এখনো দেখিনি। এর চেয়ে ভালো শটও নেওয়া সম্ভব নয়। এই সেভই হল্যান্ডকে ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছে বলব না, তবে এগিয়ে দিয়েছে অনেকটা।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগটা যদি লক্ষ করে থাকেন, ইন্টার মিলানের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে স্নাইডারের বড় ভূমিকাটা আপনার চোখ এড়ানোর কথা নয়। অসাধারণ এক খেলোয়াড়। জাতীয় দলে রোবেন তার যোগ্য সহযোগী। দুজনই দুর্দান্ত খেলে দিনটা নিজেদের করে নিল। স্নাইডার তো দুটি গোলই করল। প্রতিপক্ষ যত বড়ই হোক, এক-দুজন খেলোয়াড় এমন জ্বলে উঠলে জয় ধরা দেবেই। এই দুজন ছাড়া হল্যান্ডের এই দলে বড় তারকা নেই। না থাকলেই কী, দুজনই তো আসল কাজটা করে দিল।
হল্যান্ড ম্যাচটা হাতের মুঠোয় নিয়েছে ১-১ হওয়ার পর। যখন ২-১ করল, আমি মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাই হল্যান্ডই জিতবে। ইউরোপিয়ানরা রক্ষণকাজে খুবই ভালো। ওরা জানে, এগিয়ে গিয়ে কীভাবে তা ধরে রাখতে হয়। এদিন রক্ষণভাগটা জমাট রেখে খেলেছে। শুরুতেই গোল খেলেও এরপর ব্রাজিলকে কোনো ফাঁকফোকরই দেয়নি, যা তাদের নিয়ে গেছে জয়ের পথে।
হল্যান্ডকে নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি দলে কোনো মেগা তারকা না থাকায়। কিন্তু দলটি খুব সাবলীলভাবে এগিয়ে এসেছে। কোনো সমস্যায় পড়েনি। ‘টোটাল ফুটবলের’ ধারকেরা অতীতের ছায়া হয়ে থাকলেও এই দলটার কিছু ইতিবাচক দিকও আছে। মনোবল, হার না-মানা মানসিকতা আর অঙ্ক কষে খেলা। ব্রাজিলের মতো বড় বাধা টপকে যেতে পেরেছে খুব ঠান্ডা মাথায় নিজেদের কাজটা করতে পারায়।
সুযোগের ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, সেটিও দেখিয়েছে হল্যান্ড। এটিই হচ্ছে এখনকার ফুটবল। সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়ে রক্ষণ করে যাও। ব্রাজিল যখনই এগোতে চেয়েছে, তখনই তাদের থামিয়ে দিয়েছে হল্যান্ড। এমন আহামরি ফুটবল তো খেলেনি ডাচরা। ‘প্রতিপক্ষকে খেলতে দেব না’—মানসিকতারই ফল তাদের হাতে উঠেছে শেষ পর্যন্ত।
হল্যান্ড জিতেছে বলেই তাদের ওপর আলো পড়ছে এখন। কিন্তু এটাও ঠিক, ব্রাজিল দারুণভাবে শুরু করার পর গতিটা ধরে রাখতে পারলে হল্যান্ড আর দাঁড়াতেই পারত না। আরেকটি গোলই শেষ করে দিতে পারত ম্যাচটা।
শেষ হয়নি, এর কারণ ব্রাজিলের চিরন্তন সমস্যা। প্রতিবারই ওরা ফেবারিট তকমা নিয়ে বিশ্বকাপে আসে। কিন্তু প্রতিবার জেতে না, একটা জায়গায় স্তিমিত হয়ে যায় বলে। হল্যান্ডের বিপক্ষে ঠিক তা-ই হলো। সেই সুযোগই কাজে লাগাল স্নাইডাররা।
হল্যান্ডকে খাটো করছি না। তবে ব্রাজিল ব্রাজিলের রূপে মাঠে দেখা দিলে ফল কী হতো অনুমান করা কঠিন নয়। কিন্তু সবকিছু তো হিসাব মেনে চলে না। হল্যান্ডের এই জয়টাই এর উদাহরণ।
হল্যান্ড জিতল বেশ কিছু বিষয় তাদের অনুকূলে থাকায়। প্রথমেই বলব, কাকার অসাধারণ শটটা ডাচ গোলরক্ষক সেভ করে দেওয়াই ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট। এই বিশ্বকাপে এর চেয়ে ভালো সেভ আমি এখনো দেখিনি। এর চেয়ে ভালো শটও নেওয়া সম্ভব নয়। এই সেভই হল্যান্ডকে ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছে বলব না, তবে এগিয়ে দিয়েছে অনেকটা।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগটা যদি লক্ষ করে থাকেন, ইন্টার মিলানের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে স্নাইডারের বড় ভূমিকাটা আপনার চোখ এড়ানোর কথা নয়। অসাধারণ এক খেলোয়াড়। জাতীয় দলে রোবেন তার যোগ্য সহযোগী। দুজনই দুর্দান্ত খেলে দিনটা নিজেদের করে নিল। স্নাইডার তো দুটি গোলই করল। প্রতিপক্ষ যত বড়ই হোক, এক-দুজন খেলোয়াড় এমন জ্বলে উঠলে জয় ধরা দেবেই। এই দুজন ছাড়া হল্যান্ডের এই দলে বড় তারকা নেই। না থাকলেই কী, দুজনই তো আসল কাজটা করে দিল।
হল্যান্ড ম্যাচটা হাতের মুঠোয় নিয়েছে ১-১ হওয়ার পর। যখন ২-১ করল, আমি মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাই হল্যান্ডই জিতবে। ইউরোপিয়ানরা রক্ষণকাজে খুবই ভালো। ওরা জানে, এগিয়ে গিয়ে কীভাবে তা ধরে রাখতে হয়। এদিন রক্ষণভাগটা জমাট রেখে খেলেছে। শুরুতেই গোল খেলেও এরপর ব্রাজিলকে কোনো ফাঁকফোকরই দেয়নি, যা তাদের নিয়ে গেছে জয়ের পথে।
হল্যান্ডকে নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি দলে কোনো মেগা তারকা না থাকায়। কিন্তু দলটি খুব সাবলীলভাবে এগিয়ে এসেছে। কোনো সমস্যায় পড়েনি। ‘টোটাল ফুটবলের’ ধারকেরা অতীতের ছায়া হয়ে থাকলেও এই দলটার কিছু ইতিবাচক দিকও আছে। মনোবল, হার না-মানা মানসিকতা আর অঙ্ক কষে খেলা। ব্রাজিলের মতো বড় বাধা টপকে যেতে পেরেছে খুব ঠান্ডা মাথায় নিজেদের কাজটা করতে পারায়।
সুযোগের ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, সেটিও দেখিয়েছে হল্যান্ড। এটিই হচ্ছে এখনকার ফুটবল। সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়ে রক্ষণ করে যাও। ব্রাজিল যখনই এগোতে চেয়েছে, তখনই তাদের থামিয়ে দিয়েছে হল্যান্ড। এমন আহামরি ফুটবল তো খেলেনি ডাচরা। ‘প্রতিপক্ষকে খেলতে দেব না’—মানসিকতারই ফল তাদের হাতে উঠেছে শেষ পর্যন্ত।
হল্যান্ড জিতেছে বলেই তাদের ওপর আলো পড়ছে এখন। কিন্তু এটাও ঠিক, ব্রাজিল দারুণভাবে শুরু করার পর গতিটা ধরে রাখতে পারলে হল্যান্ড আর দাঁড়াতেই পারত না। আরেকটি গোলই শেষ করে দিতে পারত ম্যাচটা।
শেষ হয়নি, এর কারণ ব্রাজিলের চিরন্তন সমস্যা। প্রতিবারই ওরা ফেবারিট তকমা নিয়ে বিশ্বকাপে আসে। কিন্তু প্রতিবার জেতে না, একটা জায়গায় স্তিমিত হয়ে যায় বলে। হল্যান্ডের বিপক্ষে ঠিক তা-ই হলো। সেই সুযোগই কাজে লাগাল স্নাইডাররা।
No comments