‘আমি সত্যিই চেষ্টা করেছি’
ভুল সময়। সম্ভবত ভুল সময়ে পৃথিবীতে এসে পড়েছেন তিনি। নইলে পায়ে যার ফুল ফোটে, যার এই বিশ্ব জয় করার কথা, বিশ্বসেরার খেতাবও উঠেছিল যার মাথায়; সেই কাকা কেন মাথা নিচু করে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেবেন!
অনেকে অনেক কিছুকে দায় দেবেন। কেউ বলবেন দুঙ্গার দোষ, কেউ বলবেন খেলোয়াড়দের এলোমেলো হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কাউকে কোনো দায় দিলেন না তিনি। বিদায়ের সময় শুধু বলে গেলেন কষ্টের কথা।
শুধু বলে গেলেন বিশ্বকাপের, ফুটবলের অনিশ্চয়তার কথা, ‘এই পরাজয়ে আমরা বড়ই কষ্ট পাচ্ছি। আমাদের খেলোয়াড়দের চেয়ে বেশি কষ্ট তো কেউ পাচ্ছে না। কিন্তু এটাই তো বিশ্বকাপ, যেখানে বিশাল সব অঘটন ঘটে।’
অঘটন বলে নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়া চলে, কিন্তু দুঃখ ভোলা যায় না। কাকার দুঃখের তো সীমা-পরিসীমা থাকার কথা না। ‘ব্রাজিলের ফুটবল’ বললে লোকে যে ব্যাপারটার কথা বোঝে, এক দশক ধরে সেই কাজটি করার দায় যেন তার ওপরই আছে।
২০০২ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যও ছিলেন। কিন্তু মাত্র ২৫ মিনিট মাঠে ছিলেন। গত বিশ্বকাপে একটি ম্যাচে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হলেও শেষ পর্যন্ত দল হেরেছিল ফ্রান্সের বিপক্ষে, কোয়ার্টার ফাইনালে। তারপর দিন দিন কাকা আরও পরিণত হয়েছেন, ব্রাজিলের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন।
২০০৭ সালে ফিফার বর্ষসেরা হয়েছেন, ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। সেরা খেলোয়াড় হয়ে দলকে গত বছরই জিতিয়েছেন কনফেডারেশনস কাপ। ফলে এবারের বিশ্বকাপটা তাঁর জাদু দেখার জন্যই অপেক্ষা করছিল। একটু সংশয় ছিল ইনজুরি আর সর্বশেষ ক্লাবের হয়ে সামান্য ফর্মের ওঠানামা নিয়ে।
বিশ্বকাপের শুরু থেকে ব্রাজিল অপ্রতিরোধ্য থাকলেও কাকাকে ঠিক পাওয়া যাচ্ছিল না। যে ম্যাচে ফিরলেন ছন্দে, সেই ম্যাচেই লাল কার্ড। নিয়তির কী এক পরিহাস। পরশু হল্যান্ডের বিপক্ষে যখন মনে হচ্ছিল, আবার সেই ছন্দে ফিরেছেন, সেই ম্যাচেই মাথা নিচু করতে হলো কাকাকে।
কিন্তু কাকা তো চেষ্টা করেছেন। বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার পর বলছেন, চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না তাঁর। ষষ্ঠ শিরোপার স্বপ্নে সবকিছু করেছেন, ‘আমি যা যা পারতাম, সব করেছি। আমি লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি, আমি সত্যিই চেষ্টা করেছি। আমি জানি, লোকে আমার এই লড়াইয়ের কথা মনে রাখবে না। আমি আরও বেশি কিছু নিয়ে ফিরতে চেয়েছিলাম। আমি ষষ্ঠ শিরোপা নিয়ে ফিরতে চেয়েছিলাম। অনেকবার ভেবেছি, ইনজুরির জন্য বোধ হয় বিশ্বকাপটা খেলা হবে না। কিন্তু আমার সতীর্থরা আমাকে লড়াই করায় সাহস জুগিয়ে গেছে।’
ব্রাজিলের পতাকার জন্য, হলুদ জার্সির জন্য লড়াই করেছেন কাকা। লড়াই করে জিততে না পারার বেদনাটা কাকা বোঝেন, ‘সেলেসাওয়ের সঙ্গে আমার অসাধারণ একটা সম্পর্ক। সেলেসাওয়ের হয়ে আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের মুহূর্ত। চার বছর আগে এটা নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেছিলাম। এই সেই মুহূর্ত যা আমার ক্যারিয়ার ও জীবনকে প্রতিফলিত করছে। আমি জানি, এখন সমর্থকেরা কেমন কষ্ট পাচ্ছেন।’
কষ্ট তো আছেই। কিন্তু দুনিয়ার তো এখানে শেষ নয়। কাকা কি আরেকবার লড়াইটা করতে চেষ্টা করবেন না? চেষ্টা করবেন। কিন্তু বয়স এখন ২৮। আরেকবার পারবেন কি না তাই নিয়ে সন্দিহান কাকা, ‘আরেকটা বিশ্বকাপের জন্য আমাদের চার বছর অপেক্ষা করতে হবে। আমি জানি না, তখন কী হবে। আমি জানি না, আরেকটা বিশ্বকাপে আমি থাকব কি না।’
থাকলে সেটা সুবিচারই হওয়ার কথা।
অনেকে অনেক কিছুকে দায় দেবেন। কেউ বলবেন দুঙ্গার দোষ, কেউ বলবেন খেলোয়াড়দের এলোমেলো হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কাউকে কোনো দায় দিলেন না তিনি। বিদায়ের সময় শুধু বলে গেলেন কষ্টের কথা।
শুধু বলে গেলেন বিশ্বকাপের, ফুটবলের অনিশ্চয়তার কথা, ‘এই পরাজয়ে আমরা বড়ই কষ্ট পাচ্ছি। আমাদের খেলোয়াড়দের চেয়ে বেশি কষ্ট তো কেউ পাচ্ছে না। কিন্তু এটাই তো বিশ্বকাপ, যেখানে বিশাল সব অঘটন ঘটে।’
অঘটন বলে নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়া চলে, কিন্তু দুঃখ ভোলা যায় না। কাকার দুঃখের তো সীমা-পরিসীমা থাকার কথা না। ‘ব্রাজিলের ফুটবল’ বললে লোকে যে ব্যাপারটার কথা বোঝে, এক দশক ধরে সেই কাজটি করার দায় যেন তার ওপরই আছে।
২০০২ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যও ছিলেন। কিন্তু মাত্র ২৫ মিনিট মাঠে ছিলেন। গত বিশ্বকাপে একটি ম্যাচে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হলেও শেষ পর্যন্ত দল হেরেছিল ফ্রান্সের বিপক্ষে, কোয়ার্টার ফাইনালে। তারপর দিন দিন কাকা আরও পরিণত হয়েছেন, ব্রাজিলের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন।
২০০৭ সালে ফিফার বর্ষসেরা হয়েছেন, ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। সেরা খেলোয়াড় হয়ে দলকে গত বছরই জিতিয়েছেন কনফেডারেশনস কাপ। ফলে এবারের বিশ্বকাপটা তাঁর জাদু দেখার জন্যই অপেক্ষা করছিল। একটু সংশয় ছিল ইনজুরি আর সর্বশেষ ক্লাবের হয়ে সামান্য ফর্মের ওঠানামা নিয়ে।
বিশ্বকাপের শুরু থেকে ব্রাজিল অপ্রতিরোধ্য থাকলেও কাকাকে ঠিক পাওয়া যাচ্ছিল না। যে ম্যাচে ফিরলেন ছন্দে, সেই ম্যাচেই লাল কার্ড। নিয়তির কী এক পরিহাস। পরশু হল্যান্ডের বিপক্ষে যখন মনে হচ্ছিল, আবার সেই ছন্দে ফিরেছেন, সেই ম্যাচেই মাথা নিচু করতে হলো কাকাকে।
কিন্তু কাকা তো চেষ্টা করেছেন। বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার পর বলছেন, চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না তাঁর। ষষ্ঠ শিরোপার স্বপ্নে সবকিছু করেছেন, ‘আমি যা যা পারতাম, সব করেছি। আমি লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি, আমি সত্যিই চেষ্টা করেছি। আমি জানি, লোকে আমার এই লড়াইয়ের কথা মনে রাখবে না। আমি আরও বেশি কিছু নিয়ে ফিরতে চেয়েছিলাম। আমি ষষ্ঠ শিরোপা নিয়ে ফিরতে চেয়েছিলাম। অনেকবার ভেবেছি, ইনজুরির জন্য বোধ হয় বিশ্বকাপটা খেলা হবে না। কিন্তু আমার সতীর্থরা আমাকে লড়াই করায় সাহস জুগিয়ে গেছে।’
ব্রাজিলের পতাকার জন্য, হলুদ জার্সির জন্য লড়াই করেছেন কাকা। লড়াই করে জিততে না পারার বেদনাটা কাকা বোঝেন, ‘সেলেসাওয়ের সঙ্গে আমার অসাধারণ একটা সম্পর্ক। সেলেসাওয়ের হয়ে আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের মুহূর্ত। চার বছর আগে এটা নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেছিলাম। এই সেই মুহূর্ত যা আমার ক্যারিয়ার ও জীবনকে প্রতিফলিত করছে। আমি জানি, এখন সমর্থকেরা কেমন কষ্ট পাচ্ছেন।’
কষ্ট তো আছেই। কিন্তু দুনিয়ার তো এখানে শেষ নয়। কাকা কি আরেকবার লড়াইটা করতে চেষ্টা করবেন না? চেষ্টা করবেন। কিন্তু বয়স এখন ২৮। আরেকবার পারবেন কি না তাই নিয়ে সন্দিহান কাকা, ‘আরেকটা বিশ্বকাপের জন্য আমাদের চার বছর অপেক্ষা করতে হবে। আমি জানি না, তখন কী হবে। আমি জানি না, আরেকটা বিশ্বকাপে আমি থাকব কি না।’
থাকলে সেটা সুবিচারই হওয়ার কথা।
No comments