ব্রাজিলের কান্নাভেজা বিদায়
জোগো বনিতো! দ্য বিউটিফুল গেম!! প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটের মাথায় রবিনহোর দুর্দান্ত ড্রিবলিং, দুই ডিফেন্ডারকে ধরাশায়ী করে পাস বাড়িয়ে দেন ফ্যাবিয়ানোকে, ফ্যাবিয়ানোর ওয়ান-টাচে বল কাকার পায়ে, কাকার দুর্দান্ত শট...না গোল হয়নি। তবে টিভি দর্শক-ভাষ্যকারদের রোমাঞ্চিত করেছে মুহূর্তটি। ভাষ্যকার তো চিৎকারই করে উঠলেন ‘এই তো জোগো বনিতো!’
প্রথমার্ধে সত্যিই চোখ-ধাঁধানো কিছু মুহূর্ত উপহার দিয়েছে ব্রাজিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কোথায় সেই ব্রাজিল? যেন নীল-সাদা জার্সিতে দুই অর্ধে খেলল ভিন্ন দুটো দল। ব্রাজিলের কোচ থেকে শুরু করে ফুটবলাররা সবাই পরাজয়ের কারণ মানছেন দলের দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সকেই।
‘প্রথমার্ধটা ছিল অসাধারণ। কিন্তু ফালতু দুটো মুহূর্তে আমাদের বিশ্বকাপটাই শেষ হয়ে গেল’—একরাশ হতাশা নিয়ে বলেছেন রবিনহো। এই রবিনহোর ১০ মিনিটের গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। পুরো টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ফুটবলারও ছিলেন এই স্ট্রাইকার। দ্বিতীয় রাউন্ডে চিলির বিপক্ষে তাঁর গোলে দলের জয় নিশ্চিত হয়েছিল, কিন্তু পরশুর গোলটি পারল না দলকে জেতাতে। সান্টোস স্ট্রাইকার আর যা বললেন, তাতে পাওয়া গেল অতি আত্মবিশ্বাসের ইঙ্গিত, ‘প্রথমার্ধে ভেবেছিলাম আমরা বড় ব্যবধানেই জিতে যাব। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমরা মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছিলাম।’
মনোযোগ যে হারিয়ে ফেলেছেন, দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের খেলায় এটা পরিষ্কার ফুটে উঠেছিল। হল্যান্ড সমতা ফেরানোর পর থেকে এলোমেলো ফুটবল খেলেছে ব্রাজিল, খেলায় না ছিল কোনো ছন্দ, না কোনো পরিকল্পনা। গোল খাওয়ার পর এলোমেলো হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন লেফটব্যাক মিশেল বাস্তোসও, ‘খেলাটা শুরু করেছিলাম আমরা দারুণভাবে, অনেক সুযোগ সৃষ্টি করেছি। কিন্তু ওরা সমতা ফেরানোর পর আমরা নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম।’
এলোমেলো ফুটবলের প্রতীক ছিলেন এই বাস্তোসও। ক্রমাগত মাথা গরম করে খেলছিলেন, হলুদ কার্ড পাওয়ার পর তো তাঁকে তুলেই নিলেন কোচ দুঙ্গা। বাদ পড়াটাকে মেনে নিতে পারছেন না বাস্তোস, সাংবাদিকদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেছেন, ‘এমন বিদায় দুঃখজনক ও কষ্টকর।’
কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন গোলকিপার হুলিও সিজারও, ফেলিপে মেলোর সমতা ফেরানো আত্মঘাতী গোলে কিছুটা দায় এড়াতে পারবেন না যিনি। ৩০ বছর বয়সী গোলকিপার স্বীকার করেছেন, ওই মুহূর্তে করণীয়টা ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি, ‘প্রথম গোলটায় আমরা নিজেদের কাজটা ঠিকভাবে করতে পারিনি। আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না, মেলোর পাশে গিয়ে বলটাকে আমি কীভাবে সামলাব। আমরা সবাই কষ্ট পাচ্ছি, ড্রেসিংরুম রীতিমতো বিধ্বস্ত। আমরা হেরেছি, কারণ দ্বিতীয়ার্ধে আমরা এমন খেলেছি, যেমনটা আমরা সাধারণত খেলি না।’
লুইস ফ্যাবিয়ানো আবার সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছেন দার্শনিক মতবাদে, ‘দ্বিতীয়ার্ধে ওরা আমাদের চমকে দিয়েছে। আমরা কিছু ভুল করেছি, ফুটবলে যা খুবই স্বাভাবিক। আমাদের মাথা উঁচুই রাখতে হবে, কারণ আমরা একটা জয়ী দল। জীবন থেমে থাকে না। ফুটবলটাও এমনই।’
এই পরাজয়ের জন্য কোচ দুঙ্গাকে দায়ী করছেন যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে ঠিক একমত নন ফ্যাবিয়ানো। বরং খানিকটা দায় দিচ্ছেন রেফারিকে, ‘দ্বিতীয়ার্ধে ওরা খুব আগ্রাসী খেলেছে, আর রেফারি খুব বেশি খেলা থামিয়েছে। আমি দুঙ্গাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ আমার দেখা সেরা কোচ তিনি। আমার প্রতি তাঁর বিশ্বাস ছিল সবচেয়ে বেশি।’ পরাজয়ের পর পরই সব দায় নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দুঙ্গা। আর সবার মতো ব্রাজিল কোচেরও আক্ষেপ দ্বিতীয়ার্ধ নিয়েই, ‘আমরা জানতাম ম্যাচটি খুব কঠিন হবে। প্রথমার্ধে আমরা ভালো খেলেছি, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সেই ছন্দটা আর ধরে রাখতে পারিনি। ধরে রাখতে পারিনি মনোযোগ। একটি বিশ্বকাপ ম্যাচ ৯০ মিনিটের, ছোট ছোট ব্যাপারই এখানে ব্যবধান গড়ে দেয়।’
প্রথমার্ধে সত্যিই চোখ-ধাঁধানো কিছু মুহূর্ত উপহার দিয়েছে ব্রাজিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কোথায় সেই ব্রাজিল? যেন নীল-সাদা জার্সিতে দুই অর্ধে খেলল ভিন্ন দুটো দল। ব্রাজিলের কোচ থেকে শুরু করে ফুটবলাররা সবাই পরাজয়ের কারণ মানছেন দলের দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সকেই।
‘প্রথমার্ধটা ছিল অসাধারণ। কিন্তু ফালতু দুটো মুহূর্তে আমাদের বিশ্বকাপটাই শেষ হয়ে গেল’—একরাশ হতাশা নিয়ে বলেছেন রবিনহো। এই রবিনহোর ১০ মিনিটের গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। পুরো টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ফুটবলারও ছিলেন এই স্ট্রাইকার। দ্বিতীয় রাউন্ডে চিলির বিপক্ষে তাঁর গোলে দলের জয় নিশ্চিত হয়েছিল, কিন্তু পরশুর গোলটি পারল না দলকে জেতাতে। সান্টোস স্ট্রাইকার আর যা বললেন, তাতে পাওয়া গেল অতি আত্মবিশ্বাসের ইঙ্গিত, ‘প্রথমার্ধে ভেবেছিলাম আমরা বড় ব্যবধানেই জিতে যাব। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমরা মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছিলাম।’
মনোযোগ যে হারিয়ে ফেলেছেন, দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের খেলায় এটা পরিষ্কার ফুটে উঠেছিল। হল্যান্ড সমতা ফেরানোর পর থেকে এলোমেলো ফুটবল খেলেছে ব্রাজিল, খেলায় না ছিল কোনো ছন্দ, না কোনো পরিকল্পনা। গোল খাওয়ার পর এলোমেলো হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন লেফটব্যাক মিশেল বাস্তোসও, ‘খেলাটা শুরু করেছিলাম আমরা দারুণভাবে, অনেক সুযোগ সৃষ্টি করেছি। কিন্তু ওরা সমতা ফেরানোর পর আমরা নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম।’
এলোমেলো ফুটবলের প্রতীক ছিলেন এই বাস্তোসও। ক্রমাগত মাথা গরম করে খেলছিলেন, হলুদ কার্ড পাওয়ার পর তো তাঁকে তুলেই নিলেন কোচ দুঙ্গা। বাদ পড়াটাকে মেনে নিতে পারছেন না বাস্তোস, সাংবাদিকদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেছেন, ‘এমন বিদায় দুঃখজনক ও কষ্টকর।’
কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন গোলকিপার হুলিও সিজারও, ফেলিপে মেলোর সমতা ফেরানো আত্মঘাতী গোলে কিছুটা দায় এড়াতে পারবেন না যিনি। ৩০ বছর বয়সী গোলকিপার স্বীকার করেছেন, ওই মুহূর্তে করণীয়টা ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি, ‘প্রথম গোলটায় আমরা নিজেদের কাজটা ঠিকভাবে করতে পারিনি। আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না, মেলোর পাশে গিয়ে বলটাকে আমি কীভাবে সামলাব। আমরা সবাই কষ্ট পাচ্ছি, ড্রেসিংরুম রীতিমতো বিধ্বস্ত। আমরা হেরেছি, কারণ দ্বিতীয়ার্ধে আমরা এমন খেলেছি, যেমনটা আমরা সাধারণত খেলি না।’
লুইস ফ্যাবিয়ানো আবার সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছেন দার্শনিক মতবাদে, ‘দ্বিতীয়ার্ধে ওরা আমাদের চমকে দিয়েছে। আমরা কিছু ভুল করেছি, ফুটবলে যা খুবই স্বাভাবিক। আমাদের মাথা উঁচুই রাখতে হবে, কারণ আমরা একটা জয়ী দল। জীবন থেমে থাকে না। ফুটবলটাও এমনই।’
এই পরাজয়ের জন্য কোচ দুঙ্গাকে দায়ী করছেন যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে ঠিক একমত নন ফ্যাবিয়ানো। বরং খানিকটা দায় দিচ্ছেন রেফারিকে, ‘দ্বিতীয়ার্ধে ওরা খুব আগ্রাসী খেলেছে, আর রেফারি খুব বেশি খেলা থামিয়েছে। আমি দুঙ্গাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ আমার দেখা সেরা কোচ তিনি। আমার প্রতি তাঁর বিশ্বাস ছিল সবচেয়ে বেশি।’ পরাজয়ের পর পরই সব দায় নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দুঙ্গা। আর সবার মতো ব্রাজিল কোচেরও আক্ষেপ দ্বিতীয়ার্ধ নিয়েই, ‘আমরা জানতাম ম্যাচটি খুব কঠিন হবে। প্রথমার্ধে আমরা ভালো খেলেছি, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সেই ছন্দটা আর ধরে রাখতে পারিনি। ধরে রাখতে পারিনি মনোযোগ। একটি বিশ্বকাপ ম্যাচ ৯০ মিনিটের, ছোট ছোট ব্যাপারই এখানে ব্যবধান গড়ে দেয়।’
No comments