যে কারণে ব্রাজিলের হার
‘আর যা-ই করো, মেজাজ হারাবে না মাঠে’—বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর ফুটবলের এই পুরোনো আপ্তবাক্যটাই ব্রাজিলের সবচেয়ে বেশি মনে হওয়ার কথা।
হল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ভিডিওটা নিশ্চয়ই দেখবে ব্রাজিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কী দেখা যাবে তাতে? সেটা তারাই বের করুক। আমার কী মনে হয়েছে, সেটা আমি বলি। ব্রাজিলিয়ানরা নিজেরাই নিজেদের খেলাটা নষ্ট করেছে। টিভি ক্যামেরা যখন ব্রাজিলিয়ানদের মুখগুলো ধরছিল, মনে হচ্ছিল, দুই-একজন ছাড়া বাকি সবাই যেন পারলে মারপিট করে!
ডাচ খেলোয়াড়েরা কোনো বাজে ভাষা ব্যবহার করে ব্রাজিলিয়ানদের উত্ত্যক্ত করার চেষ্ট করেছে কি না, বলতে পারব না। ফুটবল মাঠে বেশির ভাগ দলই প্রতিপক্ষকে উত্তেজিত করতে চায়, কিন্তু এত অভিজ্ঞ দল হয়েও ব্রাজিল সেই ফাঁদে পা দেবে কেন? তা দিয়েই ব্রাজিলের সর্বনাশটা হয়েছে। মেজাজ ঠিক না থাকলে কোনো কিছুই করা যায় না। এই মেজাজ হারানোটা সংক্রামক রোগের মতোই ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ব্রাজিল দলে।
২৩-২৪ মিনিট পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল ব্রাজিলের। গোল পেল শুরুতেই। এরপর সুন্দর কিছু করে গোল বাড়ানোর কথা যেখানে, সেখানে ব্রাজিলিয়ানরা মনে হলো পায়ের বদলে যেন হাত দিয়ে খেলতে চাইছে। মুখে থাকল গালাগালও!
এর পর আর কোনো বিভাগেই ব্রাজিলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এবারের ব্রাজিলের ডিফেন্সকে বলা হচ্ছিল খুবই শক্তিশালী। কিন্তু সেই রক্ষণই এদিন শোচনীয় ব্যর্থ। প্রথম গোলটা হলো গোলরক্ষক সিজারের ভুলে। পোস্ট থেকে বেরিয়ে এসে বলে হাত লাগানো উচিত ছিল তার। সিজারের ভুলের বিপরীতে দেখুন হল্যান্ড গোলরক্ষক কী করেছে! কাকার অসাধারণ শটটা দারুণভাবে উড়ে গিয়ে সেভ করল।
ব্রাজিলের খেলা বলতে আমরা বুঝি বল পজেশনে রেখে আক্রমণে যাওয়া। এদিন প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে সেটি অমাবস্যার চাঁদ। মাঝমাঠ থেকে সৃজনশীল কিছু হলো না। এদিন আবার মাঝখান দিয়েই ওরা বারবার আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করল কেন, বুঝলাম না। মাঝখানে তো প্রতিপক্ষ আপনাকে বেশি জায়গা দেবে না। উইং থেকে ক্রস তেমন হলো না। প্রচুর ভুল পাস হলো। এলোমেলো শট। দূর থেকে ধুমধাম মারতে দেখলাম, যা ব্রাজিলের কাছ থেকে আশা করা যায় না। এই পর্যায়ে হারের জন্য যা যা দরকার, সবই করেছে ব্রাজিল।
এর সঙ্গে মেলোর লাল কার্ডটা যোগ করুন। ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ। স্নাইডারের শট মেলোর মাথায় লেগে জালে গেল। এর পর থেকে তার স্বাভাবিক খেলাটা উধাও। একটা পাসও সঠিক হলো না। একটা বল দখলের লড়াইয়েও জিতল না। উপরন্তু মাথা গরম করে অবিবেচকের মতো লাল কার্ড দেখল। চাপটা বাকি খেলোয়াড়দের ওপর দিয়ে সে বেরিয়ে গেল।
হল্যান্ড কৃতিত্ব পাবে। ব্রাজিলকে স্বাভাবিক খেলতে দেয়নি বলেই নয়, দুই দলের দৌড় তুলনা করলে হল্যান্ড বেশি দৌড়েছে, বেশি পরিশ্রম করেছে, বল দখলের লড়াইয়েও বেশি জিতেছে। মাঝমাঠ থেকে শুরু করে অ্যাটাকিং থার্ডে বেশি সঠিক পাস খেলেছে হল্যান্ড। তবে এত কিছুর পরও বলতে হবে, ব্রাজিলই ব্রাজিলের পরাজয় ডেকে এনেছে।
হল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ভিডিওটা নিশ্চয়ই দেখবে ব্রাজিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কী দেখা যাবে তাতে? সেটা তারাই বের করুক। আমার কী মনে হয়েছে, সেটা আমি বলি। ব্রাজিলিয়ানরা নিজেরাই নিজেদের খেলাটা নষ্ট করেছে। টিভি ক্যামেরা যখন ব্রাজিলিয়ানদের মুখগুলো ধরছিল, মনে হচ্ছিল, দুই-একজন ছাড়া বাকি সবাই যেন পারলে মারপিট করে!
ডাচ খেলোয়াড়েরা কোনো বাজে ভাষা ব্যবহার করে ব্রাজিলিয়ানদের উত্ত্যক্ত করার চেষ্ট করেছে কি না, বলতে পারব না। ফুটবল মাঠে বেশির ভাগ দলই প্রতিপক্ষকে উত্তেজিত করতে চায়, কিন্তু এত অভিজ্ঞ দল হয়েও ব্রাজিল সেই ফাঁদে পা দেবে কেন? তা দিয়েই ব্রাজিলের সর্বনাশটা হয়েছে। মেজাজ ঠিক না থাকলে কোনো কিছুই করা যায় না। এই মেজাজ হারানোটা সংক্রামক রোগের মতোই ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ব্রাজিল দলে।
২৩-২৪ মিনিট পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল ব্রাজিলের। গোল পেল শুরুতেই। এরপর সুন্দর কিছু করে গোল বাড়ানোর কথা যেখানে, সেখানে ব্রাজিলিয়ানরা মনে হলো পায়ের বদলে যেন হাত দিয়ে খেলতে চাইছে। মুখে থাকল গালাগালও!
এর পর আর কোনো বিভাগেই ব্রাজিলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এবারের ব্রাজিলের ডিফেন্সকে বলা হচ্ছিল খুবই শক্তিশালী। কিন্তু সেই রক্ষণই এদিন শোচনীয় ব্যর্থ। প্রথম গোলটা হলো গোলরক্ষক সিজারের ভুলে। পোস্ট থেকে বেরিয়ে এসে বলে হাত লাগানো উচিত ছিল তার। সিজারের ভুলের বিপরীতে দেখুন হল্যান্ড গোলরক্ষক কী করেছে! কাকার অসাধারণ শটটা দারুণভাবে উড়ে গিয়ে সেভ করল।
ব্রাজিলের খেলা বলতে আমরা বুঝি বল পজেশনে রেখে আক্রমণে যাওয়া। এদিন প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে সেটি অমাবস্যার চাঁদ। মাঝমাঠ থেকে সৃজনশীল কিছু হলো না। এদিন আবার মাঝখান দিয়েই ওরা বারবার আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করল কেন, বুঝলাম না। মাঝখানে তো প্রতিপক্ষ আপনাকে বেশি জায়গা দেবে না। উইং থেকে ক্রস তেমন হলো না। প্রচুর ভুল পাস হলো। এলোমেলো শট। দূর থেকে ধুমধাম মারতে দেখলাম, যা ব্রাজিলের কাছ থেকে আশা করা যায় না। এই পর্যায়ে হারের জন্য যা যা দরকার, সবই করেছে ব্রাজিল।
এর সঙ্গে মেলোর লাল কার্ডটা যোগ করুন। ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ। স্নাইডারের শট মেলোর মাথায় লেগে জালে গেল। এর পর থেকে তার স্বাভাবিক খেলাটা উধাও। একটা পাসও সঠিক হলো না। একটা বল দখলের লড়াইয়েও জিতল না। উপরন্তু মাথা গরম করে অবিবেচকের মতো লাল কার্ড দেখল। চাপটা বাকি খেলোয়াড়দের ওপর দিয়ে সে বেরিয়ে গেল।
হল্যান্ড কৃতিত্ব পাবে। ব্রাজিলকে স্বাভাবিক খেলতে দেয়নি বলেই নয়, দুই দলের দৌড় তুলনা করলে হল্যান্ড বেশি দৌড়েছে, বেশি পরিশ্রম করেছে, বল দখলের লড়াইয়েও বেশি জিতেছে। মাঝমাঠ থেকে শুরু করে অ্যাটাকিং থার্ডে বেশি সঠিক পাস খেলেছে হল্যান্ড। তবে এত কিছুর পরও বলতে হবে, ব্রাজিলই ব্রাজিলের পরাজয় ডেকে এনেছে।
No comments