জিতেই ব্রাজিলকে আক্রমণ
১৯৯৪ ও ১৯৯৮ বিশ্বকাপ। দুবারই হল্যান্ডের শিরোপা-স্বপ্ন ধাক্কা খেয়েছে ব্রাজিলের কাছে। ১৯৯৮-এর ফ্রান্স বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। হল্যান্ডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ব্রাজিল উঠে যায় ফাইনালে। এক যুগ পর, সেই ব্রাজিলকে হারিয়েই আরেকবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হল্যান্ড। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বসেরা দল ব্রাজিলকে হারিয়ে স্বপ্নপথে আরেক ধাপ, দিন তো ডাচদের উৎসবেরই। খেলোয়াড়, কোচ, সমর্থক, সংবাদমাধ্যম—জয় উচ্ছ্বাসে মিলেমিশে একাকার।
১-১ গোলে সমতার পর জয়সূচক গোলটি করেছেন ইন্টার মিলানের তারকা ওয়েসলি স্নাইডার। ডাচ সংবাদমাধ্যমও যেন একজোট হয়ে গিয়েছে স্নাইডার-বন্দনায়। তবে অবিস্মরণীয় জয়ের এই দিনে হল্যান্ড কোচ বার্ট ফন মারউইক হেঁটেছেন একটু আলাদা পথেই। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েই ‘ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের জন্য আপনি লজ্জিতই হবেন’ বলে ব্রাজিলের কাটা গায়ে দিয়েছেন নুনের ছিটা।
যে ব্রাজিলের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নামলেন মাঠে, ম্যাচ শেষে সেই ব্রাজিলকেই আক্রমণ, হায় রে নিষ্ঠুর ফুটবল! ফেলিপে মেলোর আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে হল্যান্ড। তবে যে ফ্রি-কিকের সূত্রে ওই গোল, গুরুত্বপূর্ণ ওই ফ্রি-কিক আদায়ে আরিয়েন রোবেন ‘প্রতারণা’ করেছেন কি না, কোনো এক সাংবাদিকের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে যান ডাচ কোচ। রাগত সুরে ওই সাংবাদিককে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘এ তো অন্ধ ভক্তের মতো কথা।’
মাঠে দুই দলের খেলোয়াড়েরাই প্রতিপক্ষকে চটানোর চেষ্টা করেছেন। ডাচ কোচ মনে করেন এই কাজে এগিয়ে ছিল প্রতিপক্ষই, ‘আপনি হয়তো এটা শুরু থেকেই দেখে থাকবেন যে আমরা তাদের যতটা চটানোর চেষ্টা করেছি, তারা তার চেয়েও অনেক বেশি চটানোর চেষ্টা করেছে আমাদের।’ আরিয়েন রোবেনকে ফাউল করা এবং ফেলিপ মেলোর লাল কার্ড প্রসঙ্গ টেনে তাঁর কথা, ‘লাল কার্ডের দৃশ্যটি আমি দেখেছি। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের জন্য লজ্জিত, হ্যাঁ, লজ্জিতই হবেন আপনি।’
সংবাদমাধ্যমে কোনো তর্ক-বিতর্ক নেই। সেখানে কেবলই স্নাইডারকে নায়ক বানিয়ে জয়বন্দনা। আমস্টারডাম-ভিত্তিক পত্রিকা হেট প্যারোল তাদের অনলাইন সংস্করণে লিখেছে, ‘স্নাইডারের নেতৃত্বে অরেঞ্জদের ঐতিহাসিক জয়।’ জনপ্রিয় দৈনিক অ্যালজেমিন ডাগব্ল্যাড (এডি) লিখেছে, ‘দিনটি স্নাইডারের।’ পত্রিকাটি আরও লিখেছে, ‘সে যে প্রতিজ্ঞা করেছিল, ম্যাচকে প্রভাবিত করতে সেটাই করেছে ইন্টার তারকা। অরেঞ্জরা শিরোপা জিততে বিশ্বাসী হতে পারে!’ টেলিগ্রাফ লিখেছে, ‘ঐশ্বরিক গুজব থেকে অরেঞ্জরা বেরিয়ে এসেছে।’
১৯৭৪ ও ১৯৭৮—দুবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে টোটাল ফুটবলের রূপকাররা। কিন্তু ইয়োহান ক্রুইফরা ডাচদের শেষ হাসিটা হাসাতে পারেননি। ব্রাজিলকে হারিয়ে এবার হল্যান্ড পা রাখল সেমিফাইনালে। ৩২ বছর বছর পর তৃতীয় বারের মতো ফাইনালে উঠে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। শেষ চারে ডাচদের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে, যারা অনেক আগেই নিজেদের সোনালি দিন ফেলে এসেছে।
১-১ গোলে সমতার পর জয়সূচক গোলটি করেছেন ইন্টার মিলানের তারকা ওয়েসলি স্নাইডার। ডাচ সংবাদমাধ্যমও যেন একজোট হয়ে গিয়েছে স্নাইডার-বন্দনায়। তবে অবিস্মরণীয় জয়ের এই দিনে হল্যান্ড কোচ বার্ট ফন মারউইক হেঁটেছেন একটু আলাদা পথেই। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েই ‘ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের জন্য আপনি লজ্জিতই হবেন’ বলে ব্রাজিলের কাটা গায়ে দিয়েছেন নুনের ছিটা।
যে ব্রাজিলের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নামলেন মাঠে, ম্যাচ শেষে সেই ব্রাজিলকেই আক্রমণ, হায় রে নিষ্ঠুর ফুটবল! ফেলিপে মেলোর আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে হল্যান্ড। তবে যে ফ্রি-কিকের সূত্রে ওই গোল, গুরুত্বপূর্ণ ওই ফ্রি-কিক আদায়ে আরিয়েন রোবেন ‘প্রতারণা’ করেছেন কি না, কোনো এক সাংবাদিকের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে যান ডাচ কোচ। রাগত সুরে ওই সাংবাদিককে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘এ তো অন্ধ ভক্তের মতো কথা।’
মাঠে দুই দলের খেলোয়াড়েরাই প্রতিপক্ষকে চটানোর চেষ্টা করেছেন। ডাচ কোচ মনে করেন এই কাজে এগিয়ে ছিল প্রতিপক্ষই, ‘আপনি হয়তো এটা শুরু থেকেই দেখে থাকবেন যে আমরা তাদের যতটা চটানোর চেষ্টা করেছি, তারা তার চেয়েও অনেক বেশি চটানোর চেষ্টা করেছে আমাদের।’ আরিয়েন রোবেনকে ফাউল করা এবং ফেলিপ মেলোর লাল কার্ড প্রসঙ্গ টেনে তাঁর কথা, ‘লাল কার্ডের দৃশ্যটি আমি দেখেছি। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের জন্য লজ্জিত, হ্যাঁ, লজ্জিতই হবেন আপনি।’
সংবাদমাধ্যমে কোনো তর্ক-বিতর্ক নেই। সেখানে কেবলই স্নাইডারকে নায়ক বানিয়ে জয়বন্দনা। আমস্টারডাম-ভিত্তিক পত্রিকা হেট প্যারোল তাদের অনলাইন সংস্করণে লিখেছে, ‘স্নাইডারের নেতৃত্বে অরেঞ্জদের ঐতিহাসিক জয়।’ জনপ্রিয় দৈনিক অ্যালজেমিন ডাগব্ল্যাড (এডি) লিখেছে, ‘দিনটি স্নাইডারের।’ পত্রিকাটি আরও লিখেছে, ‘সে যে প্রতিজ্ঞা করেছিল, ম্যাচকে প্রভাবিত করতে সেটাই করেছে ইন্টার তারকা। অরেঞ্জরা শিরোপা জিততে বিশ্বাসী হতে পারে!’ টেলিগ্রাফ লিখেছে, ‘ঐশ্বরিক গুজব থেকে অরেঞ্জরা বেরিয়ে এসেছে।’
১৯৭৪ ও ১৯৭৮—দুবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে টোটাল ফুটবলের রূপকাররা। কিন্তু ইয়োহান ক্রুইফরা ডাচদের শেষ হাসিটা হাসাতে পারেননি। ব্রাজিলকে হারিয়ে এবার হল্যান্ড পা রাখল সেমিফাইনালে। ৩২ বছর বছর পর তৃতীয় বারের মতো ফাইনালে উঠে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। শেষ চারে ডাচদের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে, যারা অনেক আগেই নিজেদের সোনালি দিন ফেলে এসেছে।
No comments