নয় শ্বেতাঙ্গ জঙ্গি গ্রেপ্তার
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ জঙ্গিদের বড় ধরনের একটি নাশকতার পরিকল্পনা উদ্ঘাটিত হয়েছে। সোমবার মিশিগান অঙ্গরাজ্যে ওই পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত নয়জন শ্বেতাঙ্গ জঙ্গিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। খ্রিষ্টান মিলিশিয়া দলের এ চরমপন্থীদের গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিশিগান, ইন্ডিয়ানা এবং ওহাইও অঙ্গরাজ্যে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে এ জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গি দলটি খ্রিষ্টান মৌলবাদী হুটারি গ্রুপের একটি শাখা। মিশিগানভিত্তিক এ জঙ্গি দলটি দীর্ঘদিন ধরে বড় ধরনের নাশকতামূলক কাজের পরিকল্পনা করছিল। ডেভিড ব্রায়ান স্টোন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি জঙ্গি দলটির প্রধান।
ক্যাপেন হুটারি ছদ্মনামে ডেভিড গোপনে জঙ্গি দলটিকে সংগঠিত ও এর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিলেন। খ্রিষ্টধর্মের নামে মৌলবাদী ও জঙ্গি প্রচারণা চালিয়ে শক্তি সঞ্চয় করছিল এ দলটি। এটির পরিকল্পনা ছিল নাশকতার জন্য প্রথমে কোনো পুলিশের কর্মকর্তাকে হত্যা করা এবং এর পর নিহত সেই পুলিশ কর্মকর্তার শেষকৃত্য উপলক্ষে যে পুলিশ সমাবেশ হবে তার ওপর হামলা চালানো।
ই-মেইল আদান-প্রদানের সূত্র ধরে এবং আগাম গোয়েন্দা নজরদারির ফলেই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের আগেই দলটির নয়জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া শ্বেতাঙ্গ জঙ্গিরা হচ্ছেন ডেভিড ব্রায়ান স্টোন, তাঁর স্ত্রী টিনা স্টোন (৪৪), ছেলে জাসুয়া (২১), ব্রায়ান জুনিয়র (১৯), এড্রিন ক্লগ (২৮), মাইকেল মিক (৪০), টমাস পিয়াটেক (৪৬), ক্রিস্টোফার (২৭) ও জ্যাকব ওয়ার্ড (৩৩)।
আদালতে সরকারপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিরা মনে করেন, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো ধর্মের শত্রু। সশস্ত্র সংঘাতের মাধ্যমে দলটি ধর্মের এসব শত্রুকে নির্মূল করতে চায়।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ভয়ংকর জঙ্গিগোষ্ঠীদের দমনে এ গ্রেপ্তার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ চরমপন্থীদের উত্থান ঘটছে। ১৯৯৫ সালে শ্বেতাঙ্গ জঙ্গিদের হামলায় ওকলাহোমা নগরে ১৬৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। মার্কিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগগুলো নতুন করে শ্বেতাঙ্গ জঙ্গিদের উত্থানে সতর্ক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে হতাশ জনগোষ্ঠীর মধ্যে চাপা ক্ষোভকে উসকে দেওয়ার জন্য কাজ করছে বিচ্ছিন্ন সব জঙ্গিগোষ্ঠী। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্মের নামে চরমপন্থী মানসিকতা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইন্টারনেট এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব জঙ্গিগোষ্ঠী প্রায়ই সদস্য সংগ্রহে সফল হচ্ছে বলে মার্কিন গোয়েন্দাদের অভিমত। গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘আমরা তরবারি দিয়ে আত্মরক্ষা করব এবং অস্ত্র ব্যবহার করে বেঁচে থাকব।’
বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
মিশিগান, ইন্ডিয়ানা এবং ওহাইও অঙ্গরাজ্যে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে এ জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গি দলটি খ্রিষ্টান মৌলবাদী হুটারি গ্রুপের একটি শাখা। মিশিগানভিত্তিক এ জঙ্গি দলটি দীর্ঘদিন ধরে বড় ধরনের নাশকতামূলক কাজের পরিকল্পনা করছিল। ডেভিড ব্রায়ান স্টোন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি জঙ্গি দলটির প্রধান।
ক্যাপেন হুটারি ছদ্মনামে ডেভিড গোপনে জঙ্গি দলটিকে সংগঠিত ও এর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিলেন। খ্রিষ্টধর্মের নামে মৌলবাদী ও জঙ্গি প্রচারণা চালিয়ে শক্তি সঞ্চয় করছিল এ দলটি। এটির পরিকল্পনা ছিল নাশকতার জন্য প্রথমে কোনো পুলিশের কর্মকর্তাকে হত্যা করা এবং এর পর নিহত সেই পুলিশ কর্মকর্তার শেষকৃত্য উপলক্ষে যে পুলিশ সমাবেশ হবে তার ওপর হামলা চালানো।
ই-মেইল আদান-প্রদানের সূত্র ধরে এবং আগাম গোয়েন্দা নজরদারির ফলেই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের আগেই দলটির নয়জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া শ্বেতাঙ্গ জঙ্গিরা হচ্ছেন ডেভিড ব্রায়ান স্টোন, তাঁর স্ত্রী টিনা স্টোন (৪৪), ছেলে জাসুয়া (২১), ব্রায়ান জুনিয়র (১৯), এড্রিন ক্লগ (২৮), মাইকেল মিক (৪০), টমাস পিয়াটেক (৪৬), ক্রিস্টোফার (২৭) ও জ্যাকব ওয়ার্ড (৩৩)।
আদালতে সরকারপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিরা মনে করেন, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো ধর্মের শত্রু। সশস্ত্র সংঘাতের মাধ্যমে দলটি ধর্মের এসব শত্রুকে নির্মূল করতে চায়।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ভয়ংকর জঙ্গিগোষ্ঠীদের দমনে এ গ্রেপ্তার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ চরমপন্থীদের উত্থান ঘটছে। ১৯৯৫ সালে শ্বেতাঙ্গ জঙ্গিদের হামলায় ওকলাহোমা নগরে ১৬৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। মার্কিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগগুলো নতুন করে শ্বেতাঙ্গ জঙ্গিদের উত্থানে সতর্ক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে হতাশ জনগোষ্ঠীর মধ্যে চাপা ক্ষোভকে উসকে দেওয়ার জন্য কাজ করছে বিচ্ছিন্ন সব জঙ্গিগোষ্ঠী। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্মের নামে চরমপন্থী মানসিকতা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইন্টারনেট এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব জঙ্গিগোষ্ঠী প্রায়ই সদস্য সংগ্রহে সফল হচ্ছে বলে মার্কিন গোয়েন্দাদের অভিমত। গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘আমরা তরবারি দিয়ে আত্মরক্ষা করব এবং অস্ত্র ব্যবহার করে বেঁচে থাকব।’
বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
No comments