ইরানের ওপর অবরোধ চান ওবামা ও সারকোজি
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে জাতিসংঘ যাতে নতুন করে দেশটির ওপর অবরোধ আরোপ করে, সে ব্যাপারে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স। গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি জানান যে ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের সময় হয়েছে।
পশ্চিমা শক্তিগুলোর অভিযোগ, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে। কিন্তু তেহরান অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
ওবামা বলেন, নতুন করে অবরোধ আরোপ করার জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে আগ্রহী নন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, এই বসন্তের মধ্যেই আমরা কাজটি করতে পারব। আমি চাই, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করা হোক।’
প্রেসিডেন্ট সারকোজি বলেন, সন্দেহভাজন পরমাণু কর্মসূচি সম্পন্ন করতে ইরান যে পাগলের মতো দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু করেছে, তা চলতে দেওয়া যাবে না। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়।
সারকোজি বলেন, অবরোধ আরোপে ইউরোপের সমর্থন পেতে তিনি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের সঙ্গে কাজ করছেন।
এর আগে আঙ্গেলা মেরকেল প্রস্তাব দেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যদি অবরোধ আরোপের ব্যাপারে একমত না হয়, তবে জার্মানি ও অন্য সমমনা দেশ তাদের নিজেদের অবরোধ আরোপের চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
ইরানের ওপর জাতিসংঘের তিন দফা অবরোধ আরোপ করেছে। এগুলো হলো স্পর্শকাতর পরমাণু উপকরণের বাণিজ্য বন্ধ, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দ এবং ইরানের সব ধরনের অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগীরা ইরানের তেল-বাণিজ্যকে লক্ষ্য করে চতুর্থ দফা অবরোধ দিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ওপর চাপ দিচ্ছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ও ভেটো-ক্ষমতার অধিকারী চীন ও রাশিয়া ইরানের ওপর জাতিসংঘের অবরোধ আরোপে তেমন আগ্রহী নয়। চীন মনে করে, নতুন অবরোধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে এবং এতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ওবামা ও সারকোজি জানান, অবরোধের ব্যাপারে ওয়াশিংটন ও প্যারিস চীন, রাশিয়া, জার্মানি ও ব্রিটেনের সঙ্গে আলোচনা করছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার কানাডার কুইবেকে জি-৮ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বৈঠক শেষে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারটি কূটনীতিরই একটি অংশ। তিনি অভিযোগ করেন, ইরান ১৫ মাস ধরে বারবার তার আন্তর্জাতিক দায়দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাইছে। এটা সে দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
পশ্চিমা শক্তিগুলোর অভিযোগ, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে। কিন্তু তেহরান অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
ওবামা বলেন, নতুন করে অবরোধ আরোপ করার জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে আগ্রহী নন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, এই বসন্তের মধ্যেই আমরা কাজটি করতে পারব। আমি চাই, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করা হোক।’
প্রেসিডেন্ট সারকোজি বলেন, সন্দেহভাজন পরমাণু কর্মসূচি সম্পন্ন করতে ইরান যে পাগলের মতো দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু করেছে, তা চলতে দেওয়া যাবে না। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়।
সারকোজি বলেন, অবরোধ আরোপে ইউরোপের সমর্থন পেতে তিনি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের সঙ্গে কাজ করছেন।
এর আগে আঙ্গেলা মেরকেল প্রস্তাব দেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যদি অবরোধ আরোপের ব্যাপারে একমত না হয়, তবে জার্মানি ও অন্য সমমনা দেশ তাদের নিজেদের অবরোধ আরোপের চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
ইরানের ওপর জাতিসংঘের তিন দফা অবরোধ আরোপ করেছে। এগুলো হলো স্পর্শকাতর পরমাণু উপকরণের বাণিজ্য বন্ধ, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দ এবং ইরানের সব ধরনের অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগীরা ইরানের তেল-বাণিজ্যকে লক্ষ্য করে চতুর্থ দফা অবরোধ দিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ওপর চাপ দিচ্ছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ও ভেটো-ক্ষমতার অধিকারী চীন ও রাশিয়া ইরানের ওপর জাতিসংঘের অবরোধ আরোপে তেমন আগ্রহী নয়। চীন মনে করে, নতুন অবরোধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে এবং এতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ওবামা ও সারকোজি জানান, অবরোধের ব্যাপারে ওয়াশিংটন ও প্যারিস চীন, রাশিয়া, জার্মানি ও ব্রিটেনের সঙ্গে আলোচনা করছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার কানাডার কুইবেকে জি-৮ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বৈঠক শেষে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারটি কূটনীতিরই একটি অংশ। তিনি অভিযোগ করেন, ইরান ১৫ মাস ধরে বারবার তার আন্তর্জাতিক দায়দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাইছে। এটা সে দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
No comments