প্রেসিডেন্ট জারদারির মামলা সচল করতে সুইজারল্যান্ডকে পাকিস্তানের চিঠি
পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন বিভাগ ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব) সে দেশের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির অর্থ পাচারের মামলা সচল করতে সুইজারল্যান্ড সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। গতকাল বুধবার ন্যাবের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, মামলা সচল করার বিষয়ে তাঁরা জেনেভার অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছেন। গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জারদারির থমকে থাকা ঘুষের মামলা সচল করতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়ার পর গতকাল বুধবার ন্যাবের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিন প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মাদ চৌধুরী এক রুল জারি করে ঘোষণা দেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুর্নীতির মামলাগুলো সচল না করলে ন্যাব-প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাকে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। গতকাল বুধবার ন্যাব-প্রধান নাভিদ আহসান আদালতে হাজির হন। এর পরপরই সুইস সরকারকে ওই আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়। তবে জেনেভার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ড্যানিয়েল জ্যাপেল্লি বলেছেন, তাঁদের হাতে এখনো এ ধরনের কোনো চিঠি আসেনি। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের।
ন্যাবের মুখপাত্র আবিদ জুবেরি বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে থমকে থাকা মামলা সচল করতে ন্যাব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রেসিডেন্ট জারদারিসহ অন্য অভিযুক্তদের মামলার তদন্তে সহায়তা করার জন্য তাঁরা সুইস কর্তৃপক্ষের কাছে গতকালই চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন। বিশ্লেষকেরা বলেছেন, মামলাগুলো সচল হলেও সাংবিধানিক ক্ষমতার কারণে প্রেসিডেন্ট পদে থাকায় জারদারিকে এখনই জেলহাজতের মুখোমুখি হতে হবে না। কিন্তু তাঁর বহু রাজনৈতিক সহচর মামলাগুলোতে ফেঁসে যাবেন, যা তাঁর সরকারকে প্রচণ্ড চাপের মুখে ফেলে দিতে পারে।
২০০৩ সালে সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত দেড় কোটি ডলার পাচারের মামলায় প্রেসিডেন্ট জারদারি ও তাঁর স্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
২০০৭ সালে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মুখে তত্কালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের সরকার ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অর্ডিন্যান্স (এনআরও) নামের একটি অধ্যাদেশ জারি করে। এর মাধ্যমে জারদারিসহ প্রায় আট হাজার রাজনীতিক ও আমলাকে দুর্নীতির মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আসিফ জারদারি ক্ষমতায় আসার পর তাঁর সরকারের অনুরোধে ২০০৮ সালে সুইস সরকার তাঁর মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট এনআরও বাতিল করেন। এর মাধ্যমে মামলাগুলো আবার সচল করার পথ তৈরি হয়।
গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মাদ চৌধুরী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ন্যাব-প্রধানকে মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, এ ক্ষেত্রে ন্যাব ব্যর্থ হলে এর প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কারাগারে পাঠানো হবে।
ন্যাবের মুখপাত্র আবিদ জুবেরি বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে থমকে থাকা মামলা সচল করতে ন্যাব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রেসিডেন্ট জারদারিসহ অন্য অভিযুক্তদের মামলার তদন্তে সহায়তা করার জন্য তাঁরা সুইস কর্তৃপক্ষের কাছে গতকালই চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন। বিশ্লেষকেরা বলেছেন, মামলাগুলো সচল হলেও সাংবিধানিক ক্ষমতার কারণে প্রেসিডেন্ট পদে থাকায় জারদারিকে এখনই জেলহাজতের মুখোমুখি হতে হবে না। কিন্তু তাঁর বহু রাজনৈতিক সহচর মামলাগুলোতে ফেঁসে যাবেন, যা তাঁর সরকারকে প্রচণ্ড চাপের মুখে ফেলে দিতে পারে।
২০০৩ সালে সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত দেড় কোটি ডলার পাচারের মামলায় প্রেসিডেন্ট জারদারি ও তাঁর স্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
২০০৭ সালে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মুখে তত্কালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের সরকার ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অর্ডিন্যান্স (এনআরও) নামের একটি অধ্যাদেশ জারি করে। এর মাধ্যমে জারদারিসহ প্রায় আট হাজার রাজনীতিক ও আমলাকে দুর্নীতির মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আসিফ জারদারি ক্ষমতায় আসার পর তাঁর সরকারের অনুরোধে ২০০৮ সালে সুইস সরকার তাঁর মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট এনআরও বাতিল করেন। এর মাধ্যমে মামলাগুলো আবার সচল করার পথ তৈরি হয়।
গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মাদ চৌধুরী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ন্যাব-প্রধানকে মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, এ ক্ষেত্রে ন্যাব ব্যর্থ হলে এর প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কারাগারে পাঠানো হবে।
No comments