অবৈধ করাতকল-কাঠ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন
সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চার কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল বসানোর নিয়ম না থাকলেও টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর ৫১টি করাতকল গড়ে ওঠার খবরটি উদ্বেগজনক। বন বিভাগের নাকের ডগায় কীভাবে এসব করাতকল গড়ে উঠল, সেটাই প্রশ্ন। অন্যান্য সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চিত্রও ভিন্ন কিছু নয়। আর এসব অবৈধ করাতকলের বেশির ভাগের মালিক ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা। তাই বলে বিরোধী দলের নেতারাও পিছিয়ে নেই। সখীপুরের একাধিক অবৈধ করাতকলের মালিক বিএনপির নেতা।
আওয়ামী লীগের এক নেতা দাবি করেছেন, তাঁদের দলের কেউ অবৈধভাবে করাতকল প্রতিষ্ঠা করেননি। তাঁর এ অস্বীকৃতির মধ্যেই অন্যায় কাজের প্রশ্রয় দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের কোনো নেতা অবৈধ করাতকল প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত না থাকলে অন্যরাও সাহস পেত না। প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সখীপুরের বনাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত এসব অবৈধ করাতকলে সংরক্ষিত বনের মূল্যবান কাঠ চেরাই হয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠানো হয় বিক্রির উদ্দেশ্যে। প্রশ্ন হলো, বন বিভাগের নাকের ডগায় এসব অবৈধ কাজ কীভাবে চলে? এর বিরুদ্ধে বন কর্মকর্তারা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? তাঁদের দায়িত্ব বন রক্ষা করা—বনের কাঠ পাচারে সহায়তা করা নয়। একজন কর্মকর্তা অবৈধ করাতকলের মালিকদের কাছ থেকে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাহলে কি তাঁরা আরও বড় কোনো সুবিধার বিনিময়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ করাতকল প্রতিষ্ঠার অনুমতি দিয়েছেন? যদি না দিয়ে থাকেন, তাহলে করাতকলগুলো চলছে কীভাবে?
দেশে এমনিতেই বনাঞ্চল কম। যেখানে দেশের মোট ভূখণ্ডের ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকার কথা, সেখানে আমাদের এখানে আছে মাত্র সাত-আট শতাংশ। এ কারণেই সরকার বনের পরিধি বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সংরক্ষিত বনাঞ্চল রক্ষাও তার অন্যতম। সখীপুরের করাতকলের মালিকেরা যত ক্ষমতাধরই হোক না কেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। বন্ধ করে দিতে হবে সব অবৈধ করাতকল। পাশাপাশি বন বিভাগের কর্মকর্তাদেরও সজাগ থাকতে হবে, নতুন করে যাতে কেউ অবৈধ করাতকল প্রতিষ্ঠা তথা কাঠ পাচার করতে না পারে।
আওয়ামী লীগের এক নেতা দাবি করেছেন, তাঁদের দলের কেউ অবৈধভাবে করাতকল প্রতিষ্ঠা করেননি। তাঁর এ অস্বীকৃতির মধ্যেই অন্যায় কাজের প্রশ্রয় দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের কোনো নেতা অবৈধ করাতকল প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত না থাকলে অন্যরাও সাহস পেত না। প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সখীপুরের বনাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত এসব অবৈধ করাতকলে সংরক্ষিত বনের মূল্যবান কাঠ চেরাই হয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠানো হয় বিক্রির উদ্দেশ্যে। প্রশ্ন হলো, বন বিভাগের নাকের ডগায় এসব অবৈধ কাজ কীভাবে চলে? এর বিরুদ্ধে বন কর্মকর্তারা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? তাঁদের দায়িত্ব বন রক্ষা করা—বনের কাঠ পাচারে সহায়তা করা নয়। একজন কর্মকর্তা অবৈধ করাতকলের মালিকদের কাছ থেকে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাহলে কি তাঁরা আরও বড় কোনো সুবিধার বিনিময়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ করাতকল প্রতিষ্ঠার অনুমতি দিয়েছেন? যদি না দিয়ে থাকেন, তাহলে করাতকলগুলো চলছে কীভাবে?
দেশে এমনিতেই বনাঞ্চল কম। যেখানে দেশের মোট ভূখণ্ডের ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকার কথা, সেখানে আমাদের এখানে আছে মাত্র সাত-আট শতাংশ। এ কারণেই সরকার বনের পরিধি বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সংরক্ষিত বনাঞ্চল রক্ষাও তার অন্যতম। সখীপুরের করাতকলের মালিকেরা যত ক্ষমতাধরই হোক না কেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। বন্ধ করে দিতে হবে সব অবৈধ করাতকল। পাশাপাশি বন বিভাগের কর্মকর্তাদেরও সজাগ থাকতে হবে, নতুন করে যাতে কেউ অবৈধ করাতকল প্রতিষ্ঠা তথা কাঠ পাচার করতে না পারে।
No comments