সেব্রেনিৎসা গণহত্যার ঘটনায় সার্বিয়ার দুঃখ প্রকাশ
সেব্রেনিৎসা গণহত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ ও নিন্দা জানিয়ে গতকাল বুধবার একটি ঐতিহাসিক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সার্বিয়ার পার্লামেন্ট। ১৯৯৫ সালে ওই হত্যাযজ্ঞে প্রায় আট হাজার বসনীয় মুসলিম নিহত হয়। তবে গতকালের ওই প্রস্তাবে হত্যাকাণ্ডটিকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকার করা হয়নি।
পার্লামেন্টে ১৭৩ জন সদস্যের মধ্যে ১২৭ জন সদস্য প্রস্তাবটি সমর্থন করেন। এর আগে সার্বিয়ার রাজনীতিকেরা মুসলমানদের হত্যার ঘটনা অস্বীকার করে আসছিলেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) শুনানি অনুযায়ী ১৯৯৫ সালের জুলাইয়ে সেব্রেনিৎসার মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে সার্বিয়ার পার্লামেন্ট।’
ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের প্রতি আনুষ্ঠানিক সহানুভূতি ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইনপ্রণেতারা। কারণ ওই সময় হত্যাযজ্ঞ থামাতে সম্ভাব্য সব চেষ্টা করা হয়নি। সার্বিয়ার ক্ষমতাসীন জোট এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবটি নিয়ে ভোটাভুটির পর জোটের সদস্য নেনাদ ক্যানাক বলেন, ‘এই ঘোষণা একটি প্রক্রিয়ার সূচনা। (প্রস্তাবটি) ছিল সবচেয়ে কঠিন পদক্ষেপ; তবে আমি নিশ্চিত, সাম্প্রতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করার একটি প্রক্রিয়া শুরু করতে পেরেছি আমরা।’
প্রস্তাবটিতে সাবেক যুগোস্লাভিয়ার জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিটিওয়াই) সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সার্বিয়ার আদালত। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত পলাতক আসামি রাতকো ম্লাদিচকে খুঁজে বের করা এবং তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ-বিষয়ক আদালতের তালিকার শীর্ষ পলাতক আসামি ম্লাদিচ। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালের গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সার্বিয়ায় পালিয়ে আছেন। গণহত্যার ১৫ বছর পরও ৭০টির বেশি গণকবর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে শনাক্তকরণ চলছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৬০০ মৃতের পরিচয় উদ্ধার করা গেছে।
সার্বিয়ার পার্লামেন্টের ঐতিহাসিক এই ঘোষণার একটি বড় কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের আগ্রহ। দেশটির সরকার আশা করছে, আগামী বছর তারা ইইউতে সদস্য পদপ্রার্থী দেশের মর্যাদা পাবে। ইইউতে যোগ দেওয়ার একটি পূর্বশর্ত আইসিটিওয়াইকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়া।
এর আগে ২০০৫ সালে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিচ সেব্রেনিৎসা গণহত্যার ১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ ও এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করায় দেশে তাঁকে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ১৯৯২-৯৫ সাল পর্যন্ত বসনিয়ায় রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে একমাত্র সেব্রেনিৎসার হত্যাকাণ্ডকেই গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে আইসিজে ও আইসিটিওয়াই।
পার্লামেন্টে ১৭৩ জন সদস্যের মধ্যে ১২৭ জন সদস্য প্রস্তাবটি সমর্থন করেন। এর আগে সার্বিয়ার রাজনীতিকেরা মুসলমানদের হত্যার ঘটনা অস্বীকার করে আসছিলেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) শুনানি অনুযায়ী ১৯৯৫ সালের জুলাইয়ে সেব্রেনিৎসার মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে সার্বিয়ার পার্লামেন্ট।’
ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের প্রতি আনুষ্ঠানিক সহানুভূতি ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইনপ্রণেতারা। কারণ ওই সময় হত্যাযজ্ঞ থামাতে সম্ভাব্য সব চেষ্টা করা হয়নি। সার্বিয়ার ক্ষমতাসীন জোট এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবটি নিয়ে ভোটাভুটির পর জোটের সদস্য নেনাদ ক্যানাক বলেন, ‘এই ঘোষণা একটি প্রক্রিয়ার সূচনা। (প্রস্তাবটি) ছিল সবচেয়ে কঠিন পদক্ষেপ; তবে আমি নিশ্চিত, সাম্প্রতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করার একটি প্রক্রিয়া শুরু করতে পেরেছি আমরা।’
প্রস্তাবটিতে সাবেক যুগোস্লাভিয়ার জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিটিওয়াই) সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সার্বিয়ার আদালত। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত পলাতক আসামি রাতকো ম্লাদিচকে খুঁজে বের করা এবং তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ-বিষয়ক আদালতের তালিকার শীর্ষ পলাতক আসামি ম্লাদিচ। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালের গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সার্বিয়ায় পালিয়ে আছেন। গণহত্যার ১৫ বছর পরও ৭০টির বেশি গণকবর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে শনাক্তকরণ চলছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৬০০ মৃতের পরিচয় উদ্ধার করা গেছে।
সার্বিয়ার পার্লামেন্টের ঐতিহাসিক এই ঘোষণার একটি বড় কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের আগ্রহ। দেশটির সরকার আশা করছে, আগামী বছর তারা ইইউতে সদস্য পদপ্রার্থী দেশের মর্যাদা পাবে। ইইউতে যোগ দেওয়ার একটি পূর্বশর্ত আইসিটিওয়াইকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়া।
এর আগে ২০০৫ সালে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিচ সেব্রেনিৎসা গণহত্যার ১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ ও এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করায় দেশে তাঁকে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ১৯৯২-৯৫ সাল পর্যন্ত বসনিয়ায় রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে একমাত্র সেব্রেনিৎসার হত্যাকাণ্ডকেই গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে আইসিজে ও আইসিটিওয়াই।
No comments