কাসাবের বিচার শেষ, রায় ৩ মে
ভারতের মুম্বাইয়ে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত পাকিস্তানি জঙ্গি মোহাম্মদ আজমল কাসাবের বিরুদ্ধে মামলার বিচার কার্যক্রম গতকাল বুধবার শেষ হয়েছে। আগামী ৩ মে মামলার রায় দেওয়া হবে। মুম্বাইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক এ ঘোষণা দেন।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাই হামলার ঘটনায় জড়িত ১০ বন্দুকধারীর মধ্যে একমাত্র জীবিত ব্যক্তি কাসাব গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তানের ফরিদকোর্টের বাসিন্দা ২৫ বছরের কাসাব গ্রেপ্তার হওয়ার প্রথম দিনের মতো গতকালও ছিলেন নির্বিকার। চোখে-মুখে উদ্বেগের কোনো ছাপ ছিল না। শুধু এদিক-সেদিক তাকিয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা মুম্বাইয়ের রেলস্টেশনে কাসাবের একে-৪৭ বহন করা ছবিসহ সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি উজ্জ্বল নিক্কম গতকাল আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ আমি খুব খুশি যে অবশেষে আমরা পাকিস্তানি সন্ত্রাসী আজমল কাসাবের বিচারকাজ শেষ করতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ৬৫০ জনের বেশি প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নিয়েছি। এখন আদালত আগামী ৩ মে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন।’
৫৬ বছর বয়সী কৌঁসুলি উজ্জ্বল বলেন, কাসাব ছাড়াও তাদের সহযোগিতা করেছিল দুই ভারতীয় ফাহিম ও শাবুদ্দিন। কীভাবে কাসাব, ইসমাইলসহ মোট ১০ জঙ্গি করাচি থেকে জলপথে মুম্বাই আসে, কীভাবে মার্কিন নাগরিক ডেভিড কোলম্যান হেডলির নির্দেশে তারা তাজ হোটেল, ট্রাইডেন্ট হোটেল, ভিটি স্টেশন ও কোলাবার নারিম্যান হাউসে হামলার ছক কষেছিল, তা কাসাব আদালতকে জানিয়েছেন।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ৬০ ঘণ্টার সন্ত্রাসী হামলায় মোট ১৭৪ জন ভারতীয় ও বিদেশি মারা যায়। এর মধ্যে মুম্বাই পুলিশের ১৭ জন সদস্য নিহত হন। আহত হয় শতাধিক মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি হয় কয়েক শ কোটি রুপি।
গত বছরের এপ্রিল মাসে যখন কাসাবের মামলার শুনানি শুরু হয়, তখন তিনি দোষ স্বীকার করেননি। কিন্তু দুই মাস পর জুলাই মাসে হঠাৎ করে কাসাব মুম্বাই হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাই হামলার ঘটনায় জড়িত ১০ বন্দুকধারীর মধ্যে একমাত্র জীবিত ব্যক্তি কাসাব গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তানের ফরিদকোর্টের বাসিন্দা ২৫ বছরের কাসাব গ্রেপ্তার হওয়ার প্রথম দিনের মতো গতকালও ছিলেন নির্বিকার। চোখে-মুখে উদ্বেগের কোনো ছাপ ছিল না। শুধু এদিক-সেদিক তাকিয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা মুম্বাইয়ের রেলস্টেশনে কাসাবের একে-৪৭ বহন করা ছবিসহ সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি উজ্জ্বল নিক্কম গতকাল আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ আমি খুব খুশি যে অবশেষে আমরা পাকিস্তানি সন্ত্রাসী আজমল কাসাবের বিচারকাজ শেষ করতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ৬৫০ জনের বেশি প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নিয়েছি। এখন আদালত আগামী ৩ মে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন।’
৫৬ বছর বয়সী কৌঁসুলি উজ্জ্বল বলেন, কাসাব ছাড়াও তাদের সহযোগিতা করেছিল দুই ভারতীয় ফাহিম ও শাবুদ্দিন। কীভাবে কাসাব, ইসমাইলসহ মোট ১০ জঙ্গি করাচি থেকে জলপথে মুম্বাই আসে, কীভাবে মার্কিন নাগরিক ডেভিড কোলম্যান হেডলির নির্দেশে তারা তাজ হোটেল, ট্রাইডেন্ট হোটেল, ভিটি স্টেশন ও কোলাবার নারিম্যান হাউসে হামলার ছক কষেছিল, তা কাসাব আদালতকে জানিয়েছেন।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ৬০ ঘণ্টার সন্ত্রাসী হামলায় মোট ১৭৪ জন ভারতীয় ও বিদেশি মারা যায়। এর মধ্যে মুম্বাই পুলিশের ১৭ জন সদস্য নিহত হন। আহত হয় শতাধিক মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি হয় কয়েক শ কোটি রুপি।
গত বছরের এপ্রিল মাসে যখন কাসাবের মামলার শুনানি শুরু হয়, তখন তিনি দোষ স্বীকার করেননি। কিন্তু দুই মাস পর জুলাই মাসে হঠাৎ করে কাসাব মুম্বাই হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
No comments