মাত্র ১০ মিনিট, নইলে বিপত্তি
বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে পারলে নিঃসন্দেহে অর্থ অপচয় কমবে। এটা সত্য, কিন্তু বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোটা যায় কীভাবে? ব্রিটেনের সরকারি নীতিনির্ধারকেরা এ জন্য একটা অভিনব উপায় বাতলেছেন। তো সে উপায়টা কী? তা হলো টয়লেটের বিদ্যুৎ সাশ্রয়। টয়লেটে ঢোকার ১০ মিনিটের মধ্যে সেখানকার বাতি নিভিয়ে দেওয়া। এ ১০ মিনিটের মধ্যে টয়লেটের কাজ সারতে হবে। দেরি করলেই বিপত্তি। অন্ধকার নেমে আসবে চারদিকে; সৃষ্টি হবে বিব্রতকর পরিস্থিতির। তবে ব্রিটিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এ পদ্ধতি কিছুটা বিব্রতকর হলেও এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয় বাবদ বছরে লাখ লাখ পাউন্ড বাঁচানো সম্ভব।
যুক্তরাজ্যের বিভন্ন সরকারি কার্যালয়ে ইতিমধ্যে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ডেইলি টেলিগ্রাফ তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, সরকারি কার্যালয়ের টয়লেটগুলোতে বিশেষ ধরনের গোপন সুইচ সংযুক্ত করা হয়েছে। কেউ টয়লেটে ১০ মিনিট কাটানোর পর আপনা-আপনি টয়লেটের বাতি নিভে যাবে। নতুন এ নিয়মের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে ওয়েস্ট মিন্ডল্যান্ডের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ইতিমধ্যে টয়লেটে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন।
বার্মিংহামের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এ রকম একটা পদ্ধতি চালু করার আগে সবার সঙ্গে কথা বলার দরকার ছিল। কিন্তু বাস্তবে আমাদের কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য রীতিমতো বিব্রতকর ও অবমাননাকর।’ তিনি বলেন, ‘ভাবুন তো, আপনি টয়লেটে বসে আছেন, এমন সময় হঠাৎ টয়লেটের বাতি নিভে গেল—এটা কেমন ধরনের কাজ। এটা স্রেফ অপমান। বাতি নিভে গেলে আপনাকে পয়পরিষ্কারের জন্য অন্ধকারে হাতড়াতে হবে। টয়লেটের দরজায় গিয়ে সুইচ টিপে আবার বাতি জ্বালাতে আপনাকে কী ভীষণ বেগই না পোহাতে হবে!’
সরকারি ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘হঠাৎ টয়লেটের বাতি নিভে গেলে আপনি মনে মনে প্রার্থনা করবেন, হে ঈশ্বর! এখন যেন কেউ চলে না আসে। আপনি প্রাণপণে এও চাইবেন, আপনি যে প্যান্ট নিয়ে তাড়াহুড়া করছেন তা যেন কেউ না দেখে।’
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের এ অভিনব পদ্ধতি ধীরে ধীরে ব্রিটেনের সব অঞ্চলের সরকারি কার্যালয়ে চালু করার চিন্তাভাবনা চলছে। এতে বছরে এক হাজার ১০০ কোটি পাউন্ড সাশ্রয় হবে বলে ব্রিটেনের অর্থ বিভাগের এক হিসাবে জানানো হয়েছে।
বিদ্যুতের অপচয় রোধে নতুন এ পদ্ধতির পক্ষে সরকারের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেন, এতে একদিকে যেমন বিদ্যুতের খরচ কমবে, তেমনি অর্থ সাশ্রয়ও হবে। তিনি বলেন, ‘সরকারি কার্যালয়ের যেসব ক্ষেত্রে একটু ইচ্ছে করলেই বিদ্যুতের খরচ কমানো সম্ভব, কেবল সেসব ক্ষেত্রেই আমরা এ পদ্ধতি চালু করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’
যুক্তরাজ্যের বিভন্ন সরকারি কার্যালয়ে ইতিমধ্যে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ডেইলি টেলিগ্রাফ তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, সরকারি কার্যালয়ের টয়লেটগুলোতে বিশেষ ধরনের গোপন সুইচ সংযুক্ত করা হয়েছে। কেউ টয়লেটে ১০ মিনিট কাটানোর পর আপনা-আপনি টয়লেটের বাতি নিভে যাবে। নতুন এ নিয়মের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে ওয়েস্ট মিন্ডল্যান্ডের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ইতিমধ্যে টয়লেটে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন।
বার্মিংহামের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এ রকম একটা পদ্ধতি চালু করার আগে সবার সঙ্গে কথা বলার দরকার ছিল। কিন্তু বাস্তবে আমাদের কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য রীতিমতো বিব্রতকর ও অবমাননাকর।’ তিনি বলেন, ‘ভাবুন তো, আপনি টয়লেটে বসে আছেন, এমন সময় হঠাৎ টয়লেটের বাতি নিভে গেল—এটা কেমন ধরনের কাজ। এটা স্রেফ অপমান। বাতি নিভে গেলে আপনাকে পয়পরিষ্কারের জন্য অন্ধকারে হাতড়াতে হবে। টয়লেটের দরজায় গিয়ে সুইচ টিপে আবার বাতি জ্বালাতে আপনাকে কী ভীষণ বেগই না পোহাতে হবে!’
সরকারি ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘হঠাৎ টয়লেটের বাতি নিভে গেলে আপনি মনে মনে প্রার্থনা করবেন, হে ঈশ্বর! এখন যেন কেউ চলে না আসে। আপনি প্রাণপণে এও চাইবেন, আপনি যে প্যান্ট নিয়ে তাড়াহুড়া করছেন তা যেন কেউ না দেখে।’
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের এ অভিনব পদ্ধতি ধীরে ধীরে ব্রিটেনের সব অঞ্চলের সরকারি কার্যালয়ে চালু করার চিন্তাভাবনা চলছে। এতে বছরে এক হাজার ১০০ কোটি পাউন্ড সাশ্রয় হবে বলে ব্রিটেনের অর্থ বিভাগের এক হিসাবে জানানো হয়েছে।
বিদ্যুতের অপচয় রোধে নতুন এ পদ্ধতির পক্ষে সরকারের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেন, এতে একদিকে যেমন বিদ্যুতের খরচ কমবে, তেমনি অর্থ সাশ্রয়ও হবে। তিনি বলেন, ‘সরকারি কার্যালয়ের যেসব ক্ষেত্রে একটু ইচ্ছে করলেই বিদ্যুতের খরচ কমানো সম্ভব, কেবল সেসব ক্ষেত্রেই আমরা এ পদ্ধতি চালু করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’
No comments