আবাহনীর সামনে মোহামেডান না তামিম?
পাশাপাশি তাঁরা আজ একে-অন্যের ‘শত্রু’, মুখোমুখি |
সাকিব আল হাসানকে পেয়ে আজ কতটা তেতে উঠবে আবাহনী? নাকি সাকিব নন, আবাহনীকে তাতিয়ে দেবে প্রতিপক্ষের একজন!
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে লড়াইয়ের ভেতর লড়াই থাকে। আজ সেটির একটি হয়ে উঠতে পারে আবাহনী বনাম তামিম ইকবাল দ্বৈরথ। দলবদলের আগে আবাহনীতে থাকার কথা দিয়েও তামিম শেষ পর্যন্ত চলে গেছেন সাদা-কালো শিবিরে। এ নিয়ে কথার যুদ্ধ কম হয়নি দুই পক্ষে। তবে সত্যিকারের যুদ্ধটা আজ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বেলা আড়াইটায় শুরু বিগ বস প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি লিগের প্রথম সেমিফাইনালটা যতটা না আবাহনী-মোহামেডানের, এর চেয়ে বেশি যেন আবাহনী-তামিমের।
তবে তামিম ব্যাপারটাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না, ‘মনে আছে, মাশরাফি ভাই একবার আবাহনী ছেড়ে বিমানে গেলে তাঁকে আবাহনী সমর্থকেরা গ্যালারি থেকে কম কথা বলেনি। তবে মনে হয় না আমার ক্ষেত্রে সে রকম কিছু হবে। সবাই নিশ্চয়ই খেলোয়াড়ি দৃষ্টিভঙ্গিতেই নিয়েছে ব্যাপারটা।’ আবাহনী-মোহামেডান প্রতিদ্বন্দ্বিতাকেও কোনো ব্যাপার মনে হচ্ছে না এই বাঁহাতি ওপেনারের কাছে, ‘এ ম্যাচে বাড়তি কিছু আছে বলে মনে করি না। কেউ ভালো খেলবে কেউ খারাপ খেলবে। সাকিব আসাতে আবাহনীর শক্তি বাড়বে। তবে আমাদেরও প্রমাণ করার কিছু নেই।’ মোহামেডান অধিনায়ক খালেদ মাসুদ একমত তামিমের সঙ্গে, ‘এ ম্যাচে আমি আমাদেরই ফেবারিট বলব। গত পাঁচ ম্যাচের পারফরম্যান্সও তাই বলে।’
দর্শক টানতে দারুণ সফল এবারের টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগ। আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আজ গ্যালারি ফাঁকা থাকার আশঙ্কা কমই। মাসুদের আশা, ভরা গ্যালারিও তার দলের খেলোয়াড়দের জন্য চাপ হবে না, ‘দর্শক আসবে, স্বাভাবিক। তবে চাপ নয়, আমি মনে করি, আমার খেলোয়াড়েরা ব্যাপারটা উপভোগ করবে। তামিম, আশরাফুল, আফতাবরা এমন চাপ নিয়ে খেলে অভ্যস্ত।’
আজ দর্শক-বিনোদনের আসল নায়ক কে হবেন? সাকিব, আশরাফুল, আফতাব না তামিম! পরিসংখ্যান শেষ নামটারই পক্ষে। গ্রুপ পর্বের পাঁচ ম্যাচে ৬০, ৬৯, ৪, ৪২ ও অপরাজিত ৭০ রান। তামিমের কাছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যেন ডালভাত! রহস্য ভেদ করলেন নিজেই, ‘গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলের কোচ জেমি সিডন্সের টিপস পেয়েই বদলেছি নিজেকে। আগে নেমেই এলোপাতাড়ি মারতে যেতাম। কোচ বললেন, মারো, তবে শট যেন হয় ক্রিকেটীয়। এখন সেটাই করার চেষ্টা করছি। আগে মারার ধরনটা ভুল ছিল।’
মোহামেডান দুবারের চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে আবাহনী টি-টোয়েন্টির শিরোপা দেখেছে একবার। এবার সূর্যতরুণ আর গাজী ট্যাংকের কাছে হেরে সেমিফাইনাল নিয়েই শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল তারা। কুঁচকির ইনজুরির কারণে এখন পর্যন্ত আবাহনীর হয়ে মাঠে নামতে না পারা সাকিব আল হাসানের তো এই কয়দিন দলের খেলা দেখে সেমিফাইনালে ওঠাটাই স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে, ‘আমরা সেমিফাইনালে গেছি এটাই তো বড়! আমাদের হারানোর কিছু নেই। আর আবাহনী মূলত ওয়ানডে লিগের জন্যই দল গড়েছে, টি-টোয়েন্টির জন্য নয়।’
সাকিব তার পরও আবাহনীর ফাইনালে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী, ‘মোহামেডান দারুণ দল। তামিম তো অসাধারণ খেলছে। আমরা শুরুটা ভালো করতে পারলে কাল (আজ) হয়তো সবই বদলে যাবে।’ দলকে ফাইনালে তোলার দায়িত্বটাও আজ নিজের কাঁধে নিচ্ছেন তিনি, ‘যদি খেলি সেমিফাইনালে আমিই নেতৃত্ব দেব।’
তামিমের মতো আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনা স্পর্শ করছে না সাকিবকেও। তবে তিনি চিন্তিত নিজেকে নিয়ে, ‘অনেক দিন পর খেলতে নামব। প্রতিদিন যে রকম দর্শক দেখছি...। নিশ্চয়ই আমার কাছেও কিছু প্রত্যাশা থাকবে তাদের। বলতে পারেন একটু নার্ভাস... একটু এক্সাইটেডও।’
সাকিবের জন্য ব্যাপারটা ব্যক্তিগত হতে পারে, তবে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানে সবার জন্যই স্নায়ুবিনাশী কিছু। আর সে ম্যাচ যদি হয় সেমিফাইনাল, একটা অন্য ব্যাপারও চলে আসে। যেকোনো একটা দল বাদ পড়বে। সেটি আবাহনী, না মোহামেডান?
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে লড়াইয়ের ভেতর লড়াই থাকে। আজ সেটির একটি হয়ে উঠতে পারে আবাহনী বনাম তামিম ইকবাল দ্বৈরথ। দলবদলের আগে আবাহনীতে থাকার কথা দিয়েও তামিম শেষ পর্যন্ত চলে গেছেন সাদা-কালো শিবিরে। এ নিয়ে কথার যুদ্ধ কম হয়নি দুই পক্ষে। তবে সত্যিকারের যুদ্ধটা আজ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বেলা আড়াইটায় শুরু বিগ বস প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি লিগের প্রথম সেমিফাইনালটা যতটা না আবাহনী-মোহামেডানের, এর চেয়ে বেশি যেন আবাহনী-তামিমের।
তবে তামিম ব্যাপারটাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না, ‘মনে আছে, মাশরাফি ভাই একবার আবাহনী ছেড়ে বিমানে গেলে তাঁকে আবাহনী সমর্থকেরা গ্যালারি থেকে কম কথা বলেনি। তবে মনে হয় না আমার ক্ষেত্রে সে রকম কিছু হবে। সবাই নিশ্চয়ই খেলোয়াড়ি দৃষ্টিভঙ্গিতেই নিয়েছে ব্যাপারটা।’ আবাহনী-মোহামেডান প্রতিদ্বন্দ্বিতাকেও কোনো ব্যাপার মনে হচ্ছে না এই বাঁহাতি ওপেনারের কাছে, ‘এ ম্যাচে বাড়তি কিছু আছে বলে মনে করি না। কেউ ভালো খেলবে কেউ খারাপ খেলবে। সাকিব আসাতে আবাহনীর শক্তি বাড়বে। তবে আমাদেরও প্রমাণ করার কিছু নেই।’ মোহামেডান অধিনায়ক খালেদ মাসুদ একমত তামিমের সঙ্গে, ‘এ ম্যাচে আমি আমাদেরই ফেবারিট বলব। গত পাঁচ ম্যাচের পারফরম্যান্সও তাই বলে।’
দর্শক টানতে দারুণ সফল এবারের টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগ। আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আজ গ্যালারি ফাঁকা থাকার আশঙ্কা কমই। মাসুদের আশা, ভরা গ্যালারিও তার দলের খেলোয়াড়দের জন্য চাপ হবে না, ‘দর্শক আসবে, স্বাভাবিক। তবে চাপ নয়, আমি মনে করি, আমার খেলোয়াড়েরা ব্যাপারটা উপভোগ করবে। তামিম, আশরাফুল, আফতাবরা এমন চাপ নিয়ে খেলে অভ্যস্ত।’
আজ দর্শক-বিনোদনের আসল নায়ক কে হবেন? সাকিব, আশরাফুল, আফতাব না তামিম! পরিসংখ্যান শেষ নামটারই পক্ষে। গ্রুপ পর্বের পাঁচ ম্যাচে ৬০, ৬৯, ৪, ৪২ ও অপরাজিত ৭০ রান। তামিমের কাছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যেন ডালভাত! রহস্য ভেদ করলেন নিজেই, ‘গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলের কোচ জেমি সিডন্সের টিপস পেয়েই বদলেছি নিজেকে। আগে নেমেই এলোপাতাড়ি মারতে যেতাম। কোচ বললেন, মারো, তবে শট যেন হয় ক্রিকেটীয়। এখন সেটাই করার চেষ্টা করছি। আগে মারার ধরনটা ভুল ছিল।’
মোহামেডান দুবারের চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে আবাহনী টি-টোয়েন্টির শিরোপা দেখেছে একবার। এবার সূর্যতরুণ আর গাজী ট্যাংকের কাছে হেরে সেমিফাইনাল নিয়েই শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল তারা। কুঁচকির ইনজুরির কারণে এখন পর্যন্ত আবাহনীর হয়ে মাঠে নামতে না পারা সাকিব আল হাসানের তো এই কয়দিন দলের খেলা দেখে সেমিফাইনালে ওঠাটাই স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে, ‘আমরা সেমিফাইনালে গেছি এটাই তো বড়! আমাদের হারানোর কিছু নেই। আর আবাহনী মূলত ওয়ানডে লিগের জন্যই দল গড়েছে, টি-টোয়েন্টির জন্য নয়।’
সাকিব তার পরও আবাহনীর ফাইনালে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী, ‘মোহামেডান দারুণ দল। তামিম তো অসাধারণ খেলছে। আমরা শুরুটা ভালো করতে পারলে কাল (আজ) হয়তো সবই বদলে যাবে।’ দলকে ফাইনালে তোলার দায়িত্বটাও আজ নিজের কাঁধে নিচ্ছেন তিনি, ‘যদি খেলি সেমিফাইনালে আমিই নেতৃত্ব দেব।’
তামিমের মতো আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনা স্পর্শ করছে না সাকিবকেও। তবে তিনি চিন্তিত নিজেকে নিয়ে, ‘অনেক দিন পর খেলতে নামব। প্রতিদিন যে রকম দর্শক দেখছি...। নিশ্চয়ই আমার কাছেও কিছু প্রত্যাশা থাকবে তাদের। বলতে পারেন একটু নার্ভাস... একটু এক্সাইটেডও।’
সাকিবের জন্য ব্যাপারটা ব্যক্তিগত হতে পারে, তবে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানে সবার জন্যই স্নায়ুবিনাশী কিছু। আর সে ম্যাচ যদি হয় সেমিফাইনাল, একটা অন্য ব্যাপারও চলে আসে। যেকোনো একটা দল বাদ পড়বে। সেটি আবাহনী, না মোহামেডান?
No comments