মালদ্বীপের সাগরতলে বৈঠক -জলবায়ু বিপর্যয় রোধে এখনই সক্রিয় হতে হবে
জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ বিপদ সম্পর্কে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে সমুদ্রের পানির নিচে ডুবন্ত অবস্থায় মালদ্বীপ মন্ত্রিসভার যে বৈঠক হয়েছে, তাকে শুধু প্রতীকী অর্থে বিবেচনা করলেই চলবে না। যদি বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর বিবেক জাগ্রত না হয় তাহলে মালদ্বীপ তো বটেই, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলও সাগরে ডুবে যেতে পারে। এর ফলে বিশ্বে দেখা দেবে অভাবনীয় জলবায়ু-উদ্বাস্তু, যা সৃষ্টি করবে নতুন নিরাপত্তা-সমস্যা।
দ্বীপরাষ্ট্রটি আগামী ১০০ বছরে চোখের সামনে ধীরে ধীরে ডুবে যাবে, সভ্যতার দাবিদার আজকের বিশ্ব কি এটা মেনে নিতে পারে? সাগরতলে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বের সব দেশকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে আসতেই হবে। সম্মেলন ব্যর্থ হলে কী হবে? এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘তাহলে আমরা মারা যাব।’ এই একটি বাক্যের মধ্যে নিহিত রয়েছে আগামী বিশ্বের মর্মান্তিক পরিণতির কথা।
কয়লা-গ্যাসসহ জীবাশ্ম-জ্বালানি ব্যবহারের ফলে বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস জমা হয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। যদি উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায়, তাহলে বিশ্বকে রক্ষা করা সম্ভব। সেই লক্ষ্যে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। কিন্তু ১৯৯৭ সালে কিয়োটো প্রটোকলে বিভিন্ন দেশ যে হারে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছিল, বেশির ভাগ দেশই তা মানেনি, অনেকে বরং বায়ুদূষণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা জেনেশুনে বিষপানের মতো ব্যাপার।
যুক্তরাষ্ট্রসহ শিল্পোন্নত দেশ এবং চীন-ভারতের মতো শিল্পোন্নয়নে অগ্রগামী দেশগুলো কার্বন গ্যাস কমাতে খুব আগ্রহী নয়। তারা দেখছে, তেল কম পোড়ানো মানে কম প্রবৃদ্ধি। এ জন্য তারা জ্বালানি-দক্ষতা বাড়িয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রযুক্তি বের করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এতে যদি লক্ষ্য অর্জন হয়, ভালো। পাশাপাশি বনায়ন বৃদ্ধি, বিদ্যমান বনরাজি রক্ষা এবং বিদ্যুত্সাশ্রয়ী অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। কিন্তু সব দেশ যদি একসঙ্গে অঙ্গীকার না করে তাহলে বিচ্ছিন্নভাবে এটা সম্ভব নয়; প্রয়োজন পারস্পরিক আস্থার।
পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে মালদ্বীপ, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সার্বিক সাহায্য প্রদান নিশ্চিত করতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আর্থিক সহযোগিতা তো লাগবেই, সেই সঙ্গে জলবায়ুর উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে আধুনিক প্রযুক্তি হস্তান্তরের ব্যবস্থাও করতে হবে। মনে রাখতে হবে, জলবায়ু-অপঘাতে যদি মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ মরে, তাহলে উন্নত দেশগুলোও বাঁচতে পারবে না। এই বিপদ সবার, মুক্তির উপায়ও বের করতে সবাই মিলে।
দ্বীপরাষ্ট্রটি আগামী ১০০ বছরে চোখের সামনে ধীরে ধীরে ডুবে যাবে, সভ্যতার দাবিদার আজকের বিশ্ব কি এটা মেনে নিতে পারে? সাগরতলে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বের সব দেশকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে আসতেই হবে। সম্মেলন ব্যর্থ হলে কী হবে? এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘তাহলে আমরা মারা যাব।’ এই একটি বাক্যের মধ্যে নিহিত রয়েছে আগামী বিশ্বের মর্মান্তিক পরিণতির কথা।
কয়লা-গ্যাসসহ জীবাশ্ম-জ্বালানি ব্যবহারের ফলে বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস জমা হয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। যদি উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায়, তাহলে বিশ্বকে রক্ষা করা সম্ভব। সেই লক্ষ্যে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। কিন্তু ১৯৯৭ সালে কিয়োটো প্রটোকলে বিভিন্ন দেশ যে হারে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছিল, বেশির ভাগ দেশই তা মানেনি, অনেকে বরং বায়ুদূষণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা জেনেশুনে বিষপানের মতো ব্যাপার।
যুক্তরাষ্ট্রসহ শিল্পোন্নত দেশ এবং চীন-ভারতের মতো শিল্পোন্নয়নে অগ্রগামী দেশগুলো কার্বন গ্যাস কমাতে খুব আগ্রহী নয়। তারা দেখছে, তেল কম পোড়ানো মানে কম প্রবৃদ্ধি। এ জন্য তারা জ্বালানি-দক্ষতা বাড়িয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রযুক্তি বের করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এতে যদি লক্ষ্য অর্জন হয়, ভালো। পাশাপাশি বনায়ন বৃদ্ধি, বিদ্যমান বনরাজি রক্ষা এবং বিদ্যুত্সাশ্রয়ী অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। কিন্তু সব দেশ যদি একসঙ্গে অঙ্গীকার না করে তাহলে বিচ্ছিন্নভাবে এটা সম্ভব নয়; প্রয়োজন পারস্পরিক আস্থার।
পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে মালদ্বীপ, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সার্বিক সাহায্য প্রদান নিশ্চিত করতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আর্থিক সহযোগিতা তো লাগবেই, সেই সঙ্গে জলবায়ুর উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে আধুনিক প্রযুক্তি হস্তান্তরের ব্যবস্থাও করতে হবে। মনে রাখতে হবে, জলবায়ু-অপঘাতে যদি মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ মরে, তাহলে উন্নত দেশগুলোও বাঁচতে পারবে না। এই বিপদ সবার, মুক্তির উপায়ও বের করতে সবাই মিলে।
No comments