উচ্চশিক্ষা -বিলেতের কলেজ, হুঁশিয়ার by শান্তনু মজুমদার
ক্ষুধাপেটে লন্ডনের টিউব স্টেশনে বা পার্কে বসে থাকে বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় আসা অনেক তরুণ। সামান্য খাবার আর মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়ার আশায় পূর্ব লন্ডনের একাধিক মসজিদে আশ্রয় নিচ্ছে তারা। যেনতেন মজুরিতে একটি কাজের জন্য বাঙালিদের পরিচালিত জব সেন্টারগুলোতে সারা দিন চষে বেড়াচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসায় আসা এসব তরুণ। শুধু থাকা-খাওয়ার বিনিময়ে বাঙালি মালিকানার ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টগুলোতে কাজের খোঁজে মরিয়া হয়ে আছে এসব তরুণ। এগুলো কোনো বানানো বা বাড়িয়ে বলা গল্প নয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্রিকলেইন, হোয়াইট চ্যাপেলসহ পূর্ব লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে এসব দৃশ্য চোখে পড়ছে। অসমর্থিত সূত্রে প্রকাশ, উপায়ন্তর না দেখে দু-একজন নাকি রাস্তায় মানুষজনের কাছ হাত পাততে শুরু করেছে। এটা নিছক গুজব হতে পারে। তবে পরিস্থিতি কোথায় ঠেকলে এ ধরনের গুজব ছড়ায়?
নিজের খরচে থাকা-খাওয়ার অঙ্গীকার করে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বিলেতের কলেজগুলোতে আসার আগে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর তরুণ-তরুণীদের কয়েকটি বিষয় অবশ্যই বিবেচনা করা দরকার। পরিবারের সম্বল জমিটুকু বর্গা দিয়ে কিংবা বাবার পেনশনের টাকা খরচ করে স্টুডেন্ট ভিসা জোগাড়কারীদের সঙ্গে ইতিমধ্যে আমাদের লন্ডন শহরে দেখা হয়ে গেছে। মনে রাখতে হবে, প্রয়োজন পড়লে বাড়ি থেকে যাদের জন্য অর্থ-কড়ি আসবে এবং যাদের জন্য আসবে না, এই দুই গ্রুপের ঝুঁকির মাত্রা আলাদা।
বিলেতের বর্তমান বাস্তবতা হচ্ছে, স্টুডেন্ট ভিসায় এসে আপনি কত দিনে দিন-চালানোর মতো একটি কাজ পাবেন, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সুতরাং অনির্ধারিত একটি সময় পর্যন্ত থাকা-খাওয়া-যাতায়াত খরচের প্রস্তুতি থাকা চাই। শীত চলে এসেছে। গ্যাস-লাইট খরচ বেড়ে যাবে বিধায় আবাসন খরচ কিছুটা হলেও বাড়বে এখন থেকে। ‘একবার পৌঁছাতে পারলে হয়, তারপর একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে’ মার্কা ‘আশ্বাস বাণী’র ওপর নির্ভর করে বিলেতে আসাটা সাধারণ ঘরের শিক্ষার্থীদের এখন ঠিক হবে না। আসতে চাইলে আসতে হবে সোজা কথায় নিজের টাঁকের ওপর নির্ভর করে।
মন্দার কারণে ব্রিটেনের ছোট-বড় সব ধরনের চাকরির বাজার খুবই খারাপ। হাতেগোনা ব্যতিক্রম বাদ দিলে চলছে ছাঁটাই আর শ্রমঘণ্টা কমিয়ে দেওয়ার পর্ব। পুরো ব্রিটেনের ব্যাপারে বলা যাচ্ছে না, তবে লন্ডনে বাঙালি শিক্ষার্থীদের কাজের জায়গাগুলো মোটামুটি নির্ধারিত। রিটেইল শপের মধ্যে মূলত সেইন্সবুরিস আর টেসকো, ফাস্টফুডের মধ্যে আছে কেএফসি আর ম্যাকডোনাল্ডস। এই সেদিন পর্যন্ত দুটো বৈকালিক ফ্রি পত্রিকা ছিল: লন্ডন লাইটস ও লন্ডন পেপার। শেষেরটি বন্ধ হয়েছে গত মাসের মাঝামাঝিতে, সঙ্গে করে নিয়ে গেছে বেশ কিছু বাঙালি ছাত্রছাত্রীর কাজের সুযোগ। যতটুকু জানা যায়, সামান্য বেতন ও মূলত কমিশনের ভিত্তিতে গ্যাস-বিদ্যুত্-টেলিফোনের মতো সেবাগুলোর জন্য গ্রাহক জোগাড়ের কাজও করে কিছু বাঙালি শিক্ষার্থী। আর বাকি থাকল ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টগুলো। বেশির ভাগই বাঙালি মালিকানাধীন হওয়ার কারণে অনেক বাঙালি শিক্ষার্থীর জন্য এত দিন পর্যন্ত পছন্দ-অপছন্দ মিলিয়ে এক ধরনের ভরসার জায়গা ছিল রেস্টুরেন্টগুলো। এর বাইরেও বহু জায়গাতেই বাঙালি শিক্ষার্থীরা কাজকর্ম করলেও, দলে দলে কাজ করার সুযোগ পাওয়ার মতো প্রতিষ্ঠান সম্ভবত এ কটিই। শোনা যায়, নানা কিসিমের বাণিজ্যিক উদ্যোগের সঙ্গেও বিভিন্নভাবে জড়িত হয়েছে কেউ কেউ।
ব্যাপার হলো, ওপরে উল্লিখিত প্রতিটি ক্ষেত্রেই মন্দাজনিত কারণে কাজের সুযোগ কমেই চলছে। এ ছাড়া রিটেইল বা ফাস্টফুড চেইনগুলো নিয়োগদানের ক্ষেত্রে ক্রমেই অনলাইন আবেদন পদ্ধতির দিকে ঝুঁকতে থাকার কারণে ‘দেশি ভাই, দেশি বোন’ ধরে বাঙালি শিক্ষার্থীদের টুকটাক চাকরি পাওয়ার সুযোগও কমে গেছে ব্যাপকভাবে। এ ছাড়া ভাষা ব্যবহারে অধিকাংশের মধ্যেই কম-বেশি সমস্যা। বিলেতে কাজের অভিজ্ঞতার অভাব আর শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে না পারার আইনটি ইদানীং বেশ কড়া হয়ে ওঠার বাস্তবতায় নবাগতদের জন্য পরিস্থিতি যে তুলনামূলকভাবে কঠিন, তা বোধের অগম্য হওয়ার কারণ নেই।
এর আগেও বিচার-বিবেচনার ব্যাপার আছে। কলেজগুলোতে ভর্তি হয়ে স্টুডেন্ট ভিসা নেওয়ার তোড়জোড় করার আগে খুব ভালোভাবে, আসলেই খুব ভালোভাবে খোঁজখবর করাটা খুব জরুরি। পড়ালেখার ইচ্ছা থাকলে, আবার লিখছি লেখাপড়ার ইচ্ছা থাকলে এজেন্সিগুলোর কথায় মুগ্ধ হয়ে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। এমনকি কলেজগুলোর সুন্দর সুন্দর ওয়েবসাইটের ওপরও পুরো নির্ভর না করে পরিচিত কেউ থাকলে তাদের মাধ্যমে খবর নেওয়াটা জরুরি। পরিচিতদের কাছে কলেজের ফটো পাঠানো বা ইউটিউবে খানিকটা ভিডিও আপলোড করার অনুরোধ করা যেতে পারে। মাল্টিম্যাপ ডটকম নামের ওয়েবসাইটিতে ঢুকে পোস্টকোডটি টাইপ করে কলেজটি কোনো এলাকায় অবস্থিত বা আশপাশের এলাকা সম্পর্কে হালকা একটা ধারণা পাওয়া সম্ভব। এটা বিশেষ কিছু না, তবে আজকাল কোথাও যাওয়ার আগে ব্রিটেনের মতো দেশে, এটা একটা সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। সার্চইঞ্জিন গুগুল ব্যবহার করেও এ ক্ষেত্রে কিছু সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে। মোট কথা, প্রতিষ্ঠানের আকার-আয়তন, মালিকানা, পাঠদানের মান, পাঠদানকারীদের বিস্তারিত বিবরণ—এসব ব্যাপারে যত বেশি জেনে নেওয়া যায়, ততই ভালো। উল্লেখ্য, কোনো কোনো কলেজের ওয়েবসাইটে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ফটো আপলোড করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
সামপ্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে পূর্ব লন্ডনের কলেজগুলোতে পড়তে আসা বহু শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অবিশ্বাস্য অঙ্কের খরচের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ টিউশন ফি, এজেন্সির কমিশন, বিমান ভাড়াসহ যাবতীয় ব্যয় বাবদ আট থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এসব খবরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিরঞ্জন থাকলেও হয়তো থাকতে পারে; তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা খরচ করে লন্ডনের কলেজে পড়তে আসে। কাজকর্ম পাওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণ-অনিশ্চয়তার মুখে শুরুতেই এত বড় বিনিয়োগ শেষ পর্যন্ত কোথায় নিয়ে ঠেকাবে সে ব্যাপারে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অবশ্যই ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
শান্তনু মজুমদার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক। বর্তমানে ইনস্টিটিউট অব কমনওয়েলথ স্টাডিজে গবেষণারত।
নিজের খরচে থাকা-খাওয়ার অঙ্গীকার করে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বিলেতের কলেজগুলোতে আসার আগে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর তরুণ-তরুণীদের কয়েকটি বিষয় অবশ্যই বিবেচনা করা দরকার। পরিবারের সম্বল জমিটুকু বর্গা দিয়ে কিংবা বাবার পেনশনের টাকা খরচ করে স্টুডেন্ট ভিসা জোগাড়কারীদের সঙ্গে ইতিমধ্যে আমাদের লন্ডন শহরে দেখা হয়ে গেছে। মনে রাখতে হবে, প্রয়োজন পড়লে বাড়ি থেকে যাদের জন্য অর্থ-কড়ি আসবে এবং যাদের জন্য আসবে না, এই দুই গ্রুপের ঝুঁকির মাত্রা আলাদা।
বিলেতের বর্তমান বাস্তবতা হচ্ছে, স্টুডেন্ট ভিসায় এসে আপনি কত দিনে দিন-চালানোর মতো একটি কাজ পাবেন, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সুতরাং অনির্ধারিত একটি সময় পর্যন্ত থাকা-খাওয়া-যাতায়াত খরচের প্রস্তুতি থাকা চাই। শীত চলে এসেছে। গ্যাস-লাইট খরচ বেড়ে যাবে বিধায় আবাসন খরচ কিছুটা হলেও বাড়বে এখন থেকে। ‘একবার পৌঁছাতে পারলে হয়, তারপর একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে’ মার্কা ‘আশ্বাস বাণী’র ওপর নির্ভর করে বিলেতে আসাটা সাধারণ ঘরের শিক্ষার্থীদের এখন ঠিক হবে না। আসতে চাইলে আসতে হবে সোজা কথায় নিজের টাঁকের ওপর নির্ভর করে।
মন্দার কারণে ব্রিটেনের ছোট-বড় সব ধরনের চাকরির বাজার খুবই খারাপ। হাতেগোনা ব্যতিক্রম বাদ দিলে চলছে ছাঁটাই আর শ্রমঘণ্টা কমিয়ে দেওয়ার পর্ব। পুরো ব্রিটেনের ব্যাপারে বলা যাচ্ছে না, তবে লন্ডনে বাঙালি শিক্ষার্থীদের কাজের জায়গাগুলো মোটামুটি নির্ধারিত। রিটেইল শপের মধ্যে মূলত সেইন্সবুরিস আর টেসকো, ফাস্টফুডের মধ্যে আছে কেএফসি আর ম্যাকডোনাল্ডস। এই সেদিন পর্যন্ত দুটো বৈকালিক ফ্রি পত্রিকা ছিল: লন্ডন লাইটস ও লন্ডন পেপার। শেষেরটি বন্ধ হয়েছে গত মাসের মাঝামাঝিতে, সঙ্গে করে নিয়ে গেছে বেশ কিছু বাঙালি ছাত্রছাত্রীর কাজের সুযোগ। যতটুকু জানা যায়, সামান্য বেতন ও মূলত কমিশনের ভিত্তিতে গ্যাস-বিদ্যুত্-টেলিফোনের মতো সেবাগুলোর জন্য গ্রাহক জোগাড়ের কাজও করে কিছু বাঙালি শিক্ষার্থী। আর বাকি থাকল ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টগুলো। বেশির ভাগই বাঙালি মালিকানাধীন হওয়ার কারণে অনেক বাঙালি শিক্ষার্থীর জন্য এত দিন পর্যন্ত পছন্দ-অপছন্দ মিলিয়ে এক ধরনের ভরসার জায়গা ছিল রেস্টুরেন্টগুলো। এর বাইরেও বহু জায়গাতেই বাঙালি শিক্ষার্থীরা কাজকর্ম করলেও, দলে দলে কাজ করার সুযোগ পাওয়ার মতো প্রতিষ্ঠান সম্ভবত এ কটিই। শোনা যায়, নানা কিসিমের বাণিজ্যিক উদ্যোগের সঙ্গেও বিভিন্নভাবে জড়িত হয়েছে কেউ কেউ।
ব্যাপার হলো, ওপরে উল্লিখিত প্রতিটি ক্ষেত্রেই মন্দাজনিত কারণে কাজের সুযোগ কমেই চলছে। এ ছাড়া রিটেইল বা ফাস্টফুড চেইনগুলো নিয়োগদানের ক্ষেত্রে ক্রমেই অনলাইন আবেদন পদ্ধতির দিকে ঝুঁকতে থাকার কারণে ‘দেশি ভাই, দেশি বোন’ ধরে বাঙালি শিক্ষার্থীদের টুকটাক চাকরি পাওয়ার সুযোগও কমে গেছে ব্যাপকভাবে। এ ছাড়া ভাষা ব্যবহারে অধিকাংশের মধ্যেই কম-বেশি সমস্যা। বিলেতে কাজের অভিজ্ঞতার অভাব আর শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে না পারার আইনটি ইদানীং বেশ কড়া হয়ে ওঠার বাস্তবতায় নবাগতদের জন্য পরিস্থিতি যে তুলনামূলকভাবে কঠিন, তা বোধের অগম্য হওয়ার কারণ নেই।
এর আগেও বিচার-বিবেচনার ব্যাপার আছে। কলেজগুলোতে ভর্তি হয়ে স্টুডেন্ট ভিসা নেওয়ার তোড়জোড় করার আগে খুব ভালোভাবে, আসলেই খুব ভালোভাবে খোঁজখবর করাটা খুব জরুরি। পড়ালেখার ইচ্ছা থাকলে, আবার লিখছি লেখাপড়ার ইচ্ছা থাকলে এজেন্সিগুলোর কথায় মুগ্ধ হয়ে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। এমনকি কলেজগুলোর সুন্দর সুন্দর ওয়েবসাইটের ওপরও পুরো নির্ভর না করে পরিচিত কেউ থাকলে তাদের মাধ্যমে খবর নেওয়াটা জরুরি। পরিচিতদের কাছে কলেজের ফটো পাঠানো বা ইউটিউবে খানিকটা ভিডিও আপলোড করার অনুরোধ করা যেতে পারে। মাল্টিম্যাপ ডটকম নামের ওয়েবসাইটিতে ঢুকে পোস্টকোডটি টাইপ করে কলেজটি কোনো এলাকায় অবস্থিত বা আশপাশের এলাকা সম্পর্কে হালকা একটা ধারণা পাওয়া সম্ভব। এটা বিশেষ কিছু না, তবে আজকাল কোথাও যাওয়ার আগে ব্রিটেনের মতো দেশে, এটা একটা সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। সার্চইঞ্জিন গুগুল ব্যবহার করেও এ ক্ষেত্রে কিছু সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে। মোট কথা, প্রতিষ্ঠানের আকার-আয়তন, মালিকানা, পাঠদানের মান, পাঠদানকারীদের বিস্তারিত বিবরণ—এসব ব্যাপারে যত বেশি জেনে নেওয়া যায়, ততই ভালো। উল্লেখ্য, কোনো কোনো কলেজের ওয়েবসাইটে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ফটো আপলোড করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
সামপ্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে পূর্ব লন্ডনের কলেজগুলোতে পড়তে আসা বহু শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অবিশ্বাস্য অঙ্কের খরচের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ টিউশন ফি, এজেন্সির কমিশন, বিমান ভাড়াসহ যাবতীয় ব্যয় বাবদ আট থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এসব খবরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিরঞ্জন থাকলেও হয়তো থাকতে পারে; তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা খরচ করে লন্ডনের কলেজে পড়তে আসে। কাজকর্ম পাওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণ-অনিশ্চয়তার মুখে শুরুতেই এত বড় বিনিয়োগ শেষ পর্যন্ত কোথায় নিয়ে ঠেকাবে সে ব্যাপারে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অবশ্যই ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
শান্তনু মজুমদার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক। বর্তমানে ইনস্টিটিউট অব কমনওয়েলথ স্টাডিজে গবেষণারত।
No comments