নদীর প্রবাহ ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রকল্পের কথা জানিয়েছে চীন- পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ভারত
s
উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রবাহিত নদীগুলোর স্রোতধারা ঘুরিয়ে দেওয়ার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তিন লাখ ৩০ হাজার নাগরিককে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে চীন সরকার। গত রোববার বিপুলসংখ্যক এই চীনা নাগরিকদের তাদের বর্তমান বাসস্থান থেকে সরিয়ে অন্য এলাকায় পুনর্বাসনের পরিকল্পনাটি ঘোষণা করা হয়। এদিকে ভারত সরকারের আশঙ্কা, পানির প্রবাহ ঘুরিয়ে দেওয়ার চীনা প্রকল্প ব্রহ্মপুত্র নদের প্রবাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এতে ভারতের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় পরিবেশের বিপর্যয় ঘটতে পারে।
চীনের হেনান প্রদেশের পুনর্বাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মধ্য চীনের হেবেই ও হেনান প্রদেশ থেকে তিন লাখ ৩০ হাজার নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার একটি পরিকল্পনা করেছে তারা। পানির প্রবাহ ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালের মধ্যে এই পুনর্বাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
কর্মকর্তারা জানান, ইয়াংসি নদীর পানির প্রবাহ ঘুরিয়ে বেইজিং, তিয়ানজিং, হেনান ও হেবেই প্রদেশের পানির চাহিদা পূরণের জন্য ওই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে চীন সরকার। সরিয়ে নেওয়া নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। চীনে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম নাগরিক স্থানান্তর প্রকল্প। এর আগে থ্রি জর্জেস জলবিদ্যুত্ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১২ লাখ ৭০ হাজার নাগরিককে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
এদিকে জলবিদ্যুেকন্দ্রের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের তিব্বত অংশে চীনের বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার খবর নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত সরকার। গত শুক্রবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গোগোই বলেন, চীন সরকার তিব্বতের ‘ইয়ারলুং সাংপো’ (তিব্বত অংশে ব্রহ্মপুত্রের নাম) নদীতে বাঁধ নির্মাণ করলে তার প্রভাবে আসাম মরুময় হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকারের এখনই বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আগের দিন বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর চীন সরকার কোনো বড় ধরনের বাঁধ নির্মাণ করছে কি না, তা যাচাই করে দেখবে ভারত। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, তিব্বত এলাকায় নাগমু জলবিদ্যুত্ প্রকল্পের জন্য যে বাঁধ নির্মাণ করছে বেইজিং, সে সংক্রান্ত প্রতিবেদন যাচাই করে দেখছে নয়াদিল্লি। গত ১৬ মার্চ ওই প্রকল্প উদ্বোধন করে চীন সরকার।
চীনের হেনান প্রদেশের পুনর্বাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মধ্য চীনের হেবেই ও হেনান প্রদেশ থেকে তিন লাখ ৩০ হাজার নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার একটি পরিকল্পনা করেছে তারা। পানির প্রবাহ ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালের মধ্যে এই পুনর্বাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
কর্মকর্তারা জানান, ইয়াংসি নদীর পানির প্রবাহ ঘুরিয়ে বেইজিং, তিয়ানজিং, হেনান ও হেবেই প্রদেশের পানির চাহিদা পূরণের জন্য ওই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে চীন সরকার। সরিয়ে নেওয়া নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। চীনে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম নাগরিক স্থানান্তর প্রকল্প। এর আগে থ্রি জর্জেস জলবিদ্যুত্ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১২ লাখ ৭০ হাজার নাগরিককে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
এদিকে জলবিদ্যুেকন্দ্রের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের তিব্বত অংশে চীনের বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার খবর নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত সরকার। গত শুক্রবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গোগোই বলেন, চীন সরকার তিব্বতের ‘ইয়ারলুং সাংপো’ (তিব্বত অংশে ব্রহ্মপুত্রের নাম) নদীতে বাঁধ নির্মাণ করলে তার প্রভাবে আসাম মরুময় হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকারের এখনই বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আগের দিন বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর চীন সরকার কোনো বড় ধরনের বাঁধ নির্মাণ করছে কি না, তা যাচাই করে দেখবে ভারত। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, তিব্বত এলাকায় নাগমু জলবিদ্যুত্ প্রকল্পের জন্য যে বাঁধ নির্মাণ করছে বেইজিং, সে সংক্রান্ত প্রতিবেদন যাচাই করে দেখছে নয়াদিল্লি। গত ১৬ মার্চ ওই প্রকল্প উদ্বোধন করে চীন সরকার।
No comments