কেঁচো চাষে স্বাবলম্বী আঁখিনুর by নিয়ামুর রশিদ শিহাব
কেঁচো
সার বিক্রি করে গলাচিপার আঁখিনুর বেগম এখন স্বাবলম্বী। অভাবের সংসারে এখন
যেন সুখের হাতছানি। সন্তানেরা পেটপুরে খেতে পারে, স্কুলে যায়, ভালো
জামাকাপড় পরে। আনন্দে কাটছে তার সংসার।
জানা গেছে, গলাচিপা সদর ইউনিয়নের চরখালী গ্রামের বাসিন্দা দুলাল খাঁর স্ত্রী আঁখিনুর বেগম। দুই মেয়ে, দুই ছেলেসহ ছয় সদস্যের সংসার তার। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া নিজের বাড়ির জমিটুকু নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েন। রাস্তার পাশে এক টুকরো জমিতে ঘর বাঁধেন। এত দুঃখ কষ্টের মধ্যে ভাগ্যের আরেক নির্মম পরিহাস। পাঁচ বছর আগে পরিবাবের একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামী প্যারালাইসড হয়ে উপার্জনক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। স্বামীর চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো লাভ হয়নি। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে কোনোরকম সংসার চালাতেন আঁখিনুর। কাজ না পেলে অনাহারে থাকতে হয়েছে আঁখিনুরের পরিবারকে। একপর্যায়ে অভাবের কারণে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি সন্তানরা শ্রম বিক্রি করে পরিবারের অভাব দূর করার চেষ্টা করত। কিন্তু ২০১৫ সালে দারিদ্র্য নিরসনে কোডেক সংস্থা পিকেএসফের অর্থায়নে প্রাইম নামে একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করে। এতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন মেয়াদে ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করত। এর ধারাবাহিকতায় আঁখিনুর বেগমও ঋণ নেয় এবং কেঁচো সার তৈরির প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সার উৎপাদনের জন্য পাকা ঘর নির্মাণসহ বিশেষ প্রজাতির পাঁচ হাজার কেঁচো দিয়ে সহায়তা করে সংস্থাটি। কেঁচো সার তৈরির জন্য বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গোবর সংগ্রহ করে স্থানটি পূর্ণ করে সার উৎপাদন শুরু করেন। মাত্র তিন-চার মাসের মধ্যে তার উৎপাদিত কেঁচো সার সবজি উৎপাদনে ব্যবহার শুরু করেন। তার উৎপাদিত সবজির মধ্যে রয়েছে লাউ, করলা, শশা, চালকুমড়া, চিচিংগা, ঝিঙা, বেগুন, শিম ও পেঁপেসহ আরো অনেক কিছু। বাজারের রাসায়নিক সারের তুলনায় এই সার ব্যবহার করে আশানুরূপ ফলনও পেয়েছেন। যা সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত এবং মাটির গুণগত মান অক্ষুণœ থাকে। নিজে ব্যবহার করার পরও কেঁচো সার ১৪ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি করে তিন মাসে তিনি সাত হাজার টাকা লাভ করেন। তার দেখাদেখি এলাকার আরো অনেকে তার কাছ থেকে সার তৈরির পরামর্শ নিয়ে উৎপাদন শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে আঁখিনুর বেগম জানান, বর্তমানে তিনি কোডেক সংস্থা থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়াও অতিরিক্ত তিন হাজার টাকা আপদকালীন ঋণ গ্রহণ করে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা তৈরি করেছেন। তার খামারে কেঁচো সার ও সবজি বিক্রি করে বছরে প্রায় ৪০ হাজার টাকা আয় করছে। বর্তমানে তার চারটি গাভী আছে। এখন কেঁচো সার তৈরির জন্য তাকে অন্য বাড়ি থেকে গোবর সংগ্রহ করতে হয় না। তিনি এখন স্বাবলম্বী।
জানা গেছে, গলাচিপা সদর ইউনিয়নের চরখালী গ্রামের বাসিন্দা দুলাল খাঁর স্ত্রী আঁখিনুর বেগম। দুই মেয়ে, দুই ছেলেসহ ছয় সদস্যের সংসার তার। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া নিজের বাড়ির জমিটুকু নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েন। রাস্তার পাশে এক টুকরো জমিতে ঘর বাঁধেন। এত দুঃখ কষ্টের মধ্যে ভাগ্যের আরেক নির্মম পরিহাস। পাঁচ বছর আগে পরিবাবের একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামী প্যারালাইসড হয়ে উপার্জনক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। স্বামীর চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো লাভ হয়নি। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে কোনোরকম সংসার চালাতেন আঁখিনুর। কাজ না পেলে অনাহারে থাকতে হয়েছে আঁখিনুরের পরিবারকে। একপর্যায়ে অভাবের কারণে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি সন্তানরা শ্রম বিক্রি করে পরিবারের অভাব দূর করার চেষ্টা করত। কিন্তু ২০১৫ সালে দারিদ্র্য নিরসনে কোডেক সংস্থা পিকেএসফের অর্থায়নে প্রাইম নামে একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করে। এতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন মেয়াদে ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করত। এর ধারাবাহিকতায় আঁখিনুর বেগমও ঋণ নেয় এবং কেঁচো সার তৈরির প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সার উৎপাদনের জন্য পাকা ঘর নির্মাণসহ বিশেষ প্রজাতির পাঁচ হাজার কেঁচো দিয়ে সহায়তা করে সংস্থাটি। কেঁচো সার তৈরির জন্য বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গোবর সংগ্রহ করে স্থানটি পূর্ণ করে সার উৎপাদন শুরু করেন। মাত্র তিন-চার মাসের মধ্যে তার উৎপাদিত কেঁচো সার সবজি উৎপাদনে ব্যবহার শুরু করেন। তার উৎপাদিত সবজির মধ্যে রয়েছে লাউ, করলা, শশা, চালকুমড়া, চিচিংগা, ঝিঙা, বেগুন, শিম ও পেঁপেসহ আরো অনেক কিছু। বাজারের রাসায়নিক সারের তুলনায় এই সার ব্যবহার করে আশানুরূপ ফলনও পেয়েছেন। যা সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত এবং মাটির গুণগত মান অক্ষুণœ থাকে। নিজে ব্যবহার করার পরও কেঁচো সার ১৪ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি করে তিন মাসে তিনি সাত হাজার টাকা লাভ করেন। তার দেখাদেখি এলাকার আরো অনেকে তার কাছ থেকে সার তৈরির পরামর্শ নিয়ে উৎপাদন শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে আঁখিনুর বেগম জানান, বর্তমানে তিনি কোডেক সংস্থা থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়াও অতিরিক্ত তিন হাজার টাকা আপদকালীন ঋণ গ্রহণ করে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা তৈরি করেছেন। তার খামারে কেঁচো সার ও সবজি বিক্রি করে বছরে প্রায় ৪০ হাজার টাকা আয় করছে। বর্তমানে তার চারটি গাভী আছে। এখন কেঁচো সার তৈরির জন্য তাকে অন্য বাড়ি থেকে গোবর সংগ্রহ করতে হয় না। তিনি এখন স্বাবলম্বী।
No comments