ভারত-মার্কিন সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে মনোযোগ শুল্কের দিকে
আপডেট- আগস্ট ২, ২০১৯: ভারত-যুক্তরাষ্ট্র
সম্পর্ক সম্প্রতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র গত জুনে ভারতের
জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা বাতিল করেছে এবং এর
জবাবে শুল্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে
অর্থনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আস্থার
সঙ্কটের বিষয়টিও ফুটে উঠেছে।
সত্যি বলতে কি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সার্বিকভাবে বেশ স্থিতিশীল। দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও সেবার বাণিজ্য ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বছরে ৭.৫৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়ে আসছে এবং এর মাধ্যমে বাণিজ্যের আকার ৬৮.৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৪২.১ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে। কিন্তু এই ইতিবাচক দিকগুলো সবসময় অর্থনৈতিক সম্পর্কের মতো মসৃণভাবে চলেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যে সব দেশের বাণিজ্য ঘাটতি সবচেয়ে বেশি, সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে চীন আর মেক্সিকো। সেই তুলনায় ভারত ছোট মাছের মতো, এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে ভারতের অবস্থান নবম। তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি প্রতিটি পয়সার হিসাব করতে চান, তিনি বারবার ভারতের সাথে ব্যবসার সমস্যার কথা বলেছেন, কারণ ভারতে শুল্কের মাত্রা অনেক বেশি।
২০১৮ সালের এপ্রিল থেকেই ভারতের জিএসপি সুবিধার বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর) এবং ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ধারাবাহিক আলোচনার পর ইউএসটিআর এই অনুসিদ্ধান্তে পৌঁছে যে, ভারত যুক্তরাষ্ট্র এই আশ্বাস দিতে ব্যর্থ হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বাজারে সমতার ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য প্রবেশাধিকার পাবে”।
ফলশ্রুতিতে, ইউএসটিআর প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেয় যাতে ভারতের জিএসপি সুবিধা বাতিল করা হয় এবং ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালের ৩১ মে এই সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দেন।
তবে, দুই পক্ষ দ্রুত কোন সমাধানে আসবে বলে মনে হচ্ছে না। ট্রাম্প প্রশাসন একদিকে ভারতের বাজারকে টার্গেট করেছে এবং এই বাজারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর যেটাকে “একটা বড় খেলা, একটা বড় সূচনা” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন, সে পরিস্থিতিতে ভারতীয় পক্ষ উদ্বেগ জানিয়েছে যে, এ রকম অবস্থায় দেশের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং আমদানি বাড়লে সেটা ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশের পর্যায়ে যাওয়ার ভারতীয় স্বপ্নকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
‘আমেরিকা প্রথম’ এবং ‘ভারত প্রথম’ নীতির মধ্যে সংঘর্ষের সাথে সাথে দুই পক্ষের প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতার কারণে দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আটলান্টিক কাউন্সিল তাদের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বলেছে যে, “সাধারণত প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভা-পর্যায়ের দফতরগুলো ইউএসটিআরকে এই ক্ষমতা দিয়ে থাকে যে তারা বাজার প্রবেশাধিকারের বিষয়ে দর কষাকষি করতে পারে। কিন্তু ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় সেভাবে কোন সমর্থন পায় না। এ কারণে ভারতের মন্ত্রণালয় দর কষাকষিতে পিছিয়ে পড়ে”।
একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কগুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে ভারত-মার্কিন সম্পর্কটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, যেটার প্রভাব অন্যান্য জায়গাতে পড়বে। এবং এই সম্পর্কটা গঠনমূলক পর্যায়ে আছে না কি প্রতিকূল পর্যায়ে আছে, সেটা বোঝার অন্যতম উপায় হলো দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অবস্থা।
সত্যি বলতে কি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সার্বিকভাবে বেশ স্থিতিশীল। দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও সেবার বাণিজ্য ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বছরে ৭.৫৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়ে আসছে এবং এর মাধ্যমে বাণিজ্যের আকার ৬৮.৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৪২.১ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে। কিন্তু এই ইতিবাচক দিকগুলো সবসময় অর্থনৈতিক সম্পর্কের মতো মসৃণভাবে চলেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যে সব দেশের বাণিজ্য ঘাটতি সবচেয়ে বেশি, সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে চীন আর মেক্সিকো। সেই তুলনায় ভারত ছোট মাছের মতো, এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে ভারতের অবস্থান নবম। তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি প্রতিটি পয়সার হিসাব করতে চান, তিনি বারবার ভারতের সাথে ব্যবসার সমস্যার কথা বলেছেন, কারণ ভারতে শুল্কের মাত্রা অনেক বেশি।
২০১৮ সালের এপ্রিল থেকেই ভারতের জিএসপি সুবিধার বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর) এবং ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ধারাবাহিক আলোচনার পর ইউএসটিআর এই অনুসিদ্ধান্তে পৌঁছে যে, ভারত যুক্তরাষ্ট্র এই আশ্বাস দিতে ব্যর্থ হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বাজারে সমতার ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য প্রবেশাধিকার পাবে”।
ফলশ্রুতিতে, ইউএসটিআর প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেয় যাতে ভারতের জিএসপি সুবিধা বাতিল করা হয় এবং ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালের ৩১ মে এই সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দেন।
তবে, দুই পক্ষ দ্রুত কোন সমাধানে আসবে বলে মনে হচ্ছে না। ট্রাম্প প্রশাসন একদিকে ভারতের বাজারকে টার্গেট করেছে এবং এই বাজারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর যেটাকে “একটা বড় খেলা, একটা বড় সূচনা” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন, সে পরিস্থিতিতে ভারতীয় পক্ষ উদ্বেগ জানিয়েছে যে, এ রকম অবস্থায় দেশের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং আমদানি বাড়লে সেটা ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশের পর্যায়ে যাওয়ার ভারতীয় স্বপ্নকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
‘আমেরিকা প্রথম’ এবং ‘ভারত প্রথম’ নীতির মধ্যে সংঘর্ষের সাথে সাথে দুই পক্ষের প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতার কারণে দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আটলান্টিক কাউন্সিল তাদের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বলেছে যে, “সাধারণত প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভা-পর্যায়ের দফতরগুলো ইউএসটিআরকে এই ক্ষমতা দিয়ে থাকে যে তারা বাজার প্রবেশাধিকারের বিষয়ে দর কষাকষি করতে পারে। কিন্তু ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় সেভাবে কোন সমর্থন পায় না। এ কারণে ভারতের মন্ত্রণালয় দর কষাকষিতে পিছিয়ে পড়ে”।
একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কগুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে ভারত-মার্কিন সম্পর্কটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, যেটার প্রভাব অন্যান্য জায়গাতে পড়বে। এবং এই সম্পর্কটা গঠনমূলক পর্যায়ে আছে না কি প্রতিকূল পর্যায়ে আছে, সেটা বোঝার অন্যতম উপায় হলো দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অবস্থা।
No comments