চীনকে নিয়ে গোলকধাঁধায় পড়ছে ভারতীয় নীতিনির্ধারকেরা by স্নেহা আলেজান্ডার
কাশ্মীর
ইস্যুটিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে টেনে নেয়ার চীনা প্রয়াসে অস্বস্তিবোধ
করে ভারতের একটি বাণিজ্য সংস্থা চীনা পণ্য ও পরিষেবা বয়কট ও তাদের প্রতি
শুল্ক প্রাচীর বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। এ ধরনের আহ্বান এই প্রথম নয় এবং
খুব সম্ভবত তা শেষও নয়।
অবশ্য বাণিজ্য ফ্রন্টে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা নিয়ে ভারতকে সতর্কতা অবলম্বন করার অনেক কারণ রয়েছে। কারণ এটি ভারতীয় অর্থনীতির জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। সাম্প্রতিক বাণিজ্য চিত্রে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য সঙ্ঘাতের ফলে চীনা বাজারে ভারতের উপস্থিতি আরো বাড়ছে। মার্কিন বাজারে রফতানি ব্যাপকভাবে হ্রাস না পেলেও গত বছর চীনে রফতানি অনেক বেড়েছে। ২৯ জুলাইয়ের এসবিআইয়ের গবেষণা প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে ভারত যত রফতানি করে, চীনে করে তার তুলনায় অনেক কম হলেও গত কয়েক বছর ধরে রফতানি বাজারটি সম্প্রসারিত হওয়ায় চীনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে ভারতের কাছে। বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্রতর হওয়ায়, চীন তার অভ্যন্তরীণ ভোগ বাড়ানোর ফলে এই বাজার অব্যাহতভাবে ভারতীয় পণ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে থাকবে।
চীনে রফতানি বাড়ার আংশিক কারণ হলো নতুন আরোপিত কর। মার্কিন পণ্য ও পরিষেবার ওপর চীন করারোপ করায় ২০১৭-১৮ সময়কালের তুলনায় ২০১৮-১৯ সময়কালে জীবন্ত প্রাণী ও প্রাণীজ পণ্য, সব্জি পণ্য, প্লাস্টিক ও রাবার খাতে চীনে ভারতের রফতানি বেড়েছে যথাক্রমে ৩৩৫%, ১৩৪%, ৯৩.৭% হারে। আবার বেস মেটালের মতো পণ্যের ওপর কর বাড়ানো সত্ত্বেও ভারতের রফতানি হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে রত্নপাথর ও অলঙ্কার, পাদুকার মতো খাতে কর না বাড়ালেও সেগুলো ধীর গতিতে রফতানি কমছে বা বাড়ছে।
চীনা আমদানিতে ভারতের অংশ বাড়লেও তা ছিল ২০১৮ সালে মোট চীনা আমদানির ১ ভাগেরও কম। একই বছর আমেরিকার আমদানিতে ভারতের অংশ ছিল ২.১ ভাগ।
শ্রমঘন শিল্পে ভারতের রফতানি পণ্যের (২২ ভাগ) যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রে যদি এই বাজার সম্প্রসারিত না হয় তবে বৈশ্বিক শ্রমঘন শিল্পে ভারতের সার্বিক হিস্যা বাড়বে না। চীনাদের শূন্যস্থান পূরণ করতে এগিয়ে আসছে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলো। কেবল চীনে রফতানি বাড়লেই এই খাতে ভারতের অবস্থা ভালো হবে। ভারতের শ্রমঘন রফতানি পণ্য চীনে পাড়ি দেয় খুবই কম একটি অংশ (৩.৬ ভাগ)।
আঙ্কটাডের শ্রেণীবিভাজন অনুযায়ী শ্রমঘন শিল্পের মধ্রে রয়েছে বস্ত্র, পাদুকা ও চামড়া শিল্প।
এই খাতে চীনে ভারতের রফতানি বাড়ারে দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত অর্থনীতিগুলো থেকে সংরক্ষণবাদের শিকার হওয়ার প্রেক্ষাপটে চীনই কি ভারতের জন্য আকষর্ণীয় বাজার হতে পারে? এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে আমাদের আরো একটু অপেক্ষা করতে হবে।
উন্নত দেশগুলোর বাজার হাতছাড়া করা ভারতের জন্য কোনোভাবেই ইতিবাচক হবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক সূচকগুলোতে দেখা যায়, চীনই এ দিক থেকে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি ২০১৯ অর্থবছরে ৫৩.৬ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি (এটা কমছে, ২০১৮ অর্থবছরে ছিল ৬৩.১ বিলিয়ন ডলার) সত্ত্বেও এই বাজারেই ভারতের প্রবেশের সুযোগ বেশি।
আবার চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও সেইসাথে প্রযুক্তিগত যে যুদ্ধ চলছে, তা নিয়েও ভারতের সতর্ক থাকা উচিত। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর আধিপত্য থেকে রক্ষার করতে ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করছে চীন।
বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ ও ভূকৌশলগত সঙ্ঘাত তীব্রতর হওয়ায় ভারতের মতো দেশগুলোর জন্য এগিয়ে যাওয়াটা সহজ হবে না। তবে সঙ্ঘাতের ফলে ভারতের জন্য সুযোগও সৃষ্টি হচ্ছে।
এই সাহসী নতুন বিশ্বে টিকে থাকা ও সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য ভারতকে অবশ্যই রোমাঞ্চবাদভিত্তিক নীতি এড়িয়ে অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর নীতি গ্রহণ করতে হবে।
অবশ্য বাণিজ্য ফ্রন্টে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা নিয়ে ভারতকে সতর্কতা অবলম্বন করার অনেক কারণ রয়েছে। কারণ এটি ভারতীয় অর্থনীতির জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। সাম্প্রতিক বাণিজ্য চিত্রে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য সঙ্ঘাতের ফলে চীনা বাজারে ভারতের উপস্থিতি আরো বাড়ছে। মার্কিন বাজারে রফতানি ব্যাপকভাবে হ্রাস না পেলেও গত বছর চীনে রফতানি অনেক বেড়েছে। ২৯ জুলাইয়ের এসবিআইয়ের গবেষণা প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে ভারত যত রফতানি করে, চীনে করে তার তুলনায় অনেক কম হলেও গত কয়েক বছর ধরে রফতানি বাজারটি সম্প্রসারিত হওয়ায় চীনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে ভারতের কাছে। বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্রতর হওয়ায়, চীন তার অভ্যন্তরীণ ভোগ বাড়ানোর ফলে এই বাজার অব্যাহতভাবে ভারতীয় পণ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে থাকবে।
চীনে রফতানি বাড়ার আংশিক কারণ হলো নতুন আরোপিত কর। মার্কিন পণ্য ও পরিষেবার ওপর চীন করারোপ করায় ২০১৭-১৮ সময়কালের তুলনায় ২০১৮-১৯ সময়কালে জীবন্ত প্রাণী ও প্রাণীজ পণ্য, সব্জি পণ্য, প্লাস্টিক ও রাবার খাতে চীনে ভারতের রফতানি বেড়েছে যথাক্রমে ৩৩৫%, ১৩৪%, ৯৩.৭% হারে। আবার বেস মেটালের মতো পণ্যের ওপর কর বাড়ানো সত্ত্বেও ভারতের রফতানি হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে রত্নপাথর ও অলঙ্কার, পাদুকার মতো খাতে কর না বাড়ালেও সেগুলো ধীর গতিতে রফতানি কমছে বা বাড়ছে।
চীনা আমদানিতে ভারতের অংশ বাড়লেও তা ছিল ২০১৮ সালে মোট চীনা আমদানির ১ ভাগেরও কম। একই বছর আমেরিকার আমদানিতে ভারতের অংশ ছিল ২.১ ভাগ।
শ্রমঘন শিল্পে ভারতের রফতানি পণ্যের (২২ ভাগ) যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রে যদি এই বাজার সম্প্রসারিত না হয় তবে বৈশ্বিক শ্রমঘন শিল্পে ভারতের সার্বিক হিস্যা বাড়বে না। চীনাদের শূন্যস্থান পূরণ করতে এগিয়ে আসছে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলো। কেবল চীনে রফতানি বাড়লেই এই খাতে ভারতের অবস্থা ভালো হবে। ভারতের শ্রমঘন রফতানি পণ্য চীনে পাড়ি দেয় খুবই কম একটি অংশ (৩.৬ ভাগ)।
আঙ্কটাডের শ্রেণীবিভাজন অনুযায়ী শ্রমঘন শিল্পের মধ্রে রয়েছে বস্ত্র, পাদুকা ও চামড়া শিল্প।
এই খাতে চীনে ভারতের রফতানি বাড়ারে দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত অর্থনীতিগুলো থেকে সংরক্ষণবাদের শিকার হওয়ার প্রেক্ষাপটে চীনই কি ভারতের জন্য আকষর্ণীয় বাজার হতে পারে? এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে আমাদের আরো একটু অপেক্ষা করতে হবে।
উন্নত দেশগুলোর বাজার হাতছাড়া করা ভারতের জন্য কোনোভাবেই ইতিবাচক হবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক সূচকগুলোতে দেখা যায়, চীনই এ দিক থেকে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি ২০১৯ অর্থবছরে ৫৩.৬ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি (এটা কমছে, ২০১৮ অর্থবছরে ছিল ৬৩.১ বিলিয়ন ডলার) সত্ত্বেও এই বাজারেই ভারতের প্রবেশের সুযোগ বেশি।
আবার চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও সেইসাথে প্রযুক্তিগত যে যুদ্ধ চলছে, তা নিয়েও ভারতের সতর্ক থাকা উচিত। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর আধিপত্য থেকে রক্ষার করতে ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করছে চীন।
বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ ও ভূকৌশলগত সঙ্ঘাত তীব্রতর হওয়ায় ভারতের মতো দেশগুলোর জন্য এগিয়ে যাওয়াটা সহজ হবে না। তবে সঙ্ঘাতের ফলে ভারতের জন্য সুযোগও সৃষ্টি হচ্ছে।
এই সাহসী নতুন বিশ্বে টিকে থাকা ও সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য ভারতকে অবশ্যই রোমাঞ্চবাদভিত্তিক নীতি এড়িয়ে অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর নীতি গ্রহণ করতে হবে।
No comments