ভারত ‘পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ’ করছে, অভিযোগ পাকিস্তানের
বাঁধ
খুলে দেওয়ায় পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে
বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। পানি ছেড়ে দিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বমুখী
যুদ্ধ ভারত শুরু করেছে বলে মনে করছে দেশটি। আর এটিকে ‘পঞ্চম প্রজন্মের
যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোজাম্মিল হুসেইন এমন অভিযোগ করেছেন।
চলতি মাসের শুরুতে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে ভারত। এর পর থেকে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশ দুইটির মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে নেমেছে। এরই মধ্য বাঁধ খুলে দিয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টির অভিযোগ তুলল পাকিস্তান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে মোজাম্মিল হুসেইন বলেছেন, ভারত এখন পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ শুরু করেছে। তারা পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে একঘরে করার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের অর্থনীতিকেও চেপে ধরতে চাইছে ভারত। তারা আমাদের বিরুদ্ধে পানিকে ব্যবহার করছে। পানি প্রবাহ কমে গেলে কৃষি ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
মোজাম্মিল হুসেইন আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর আগেই পাকিস্তানে পানি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি এ সংক্রান্ত চুক্তিগুলোকে অমান্য করতে পারেন না বলে মন্তব্য করেন মোজাম্মিল হুসেইন।
পাকিস্তানের দাবি, ভারত হঠাৎ করে উজানে বাঁধ খুলে দেওয়ায় সুতলেজ নদীতে পানি প্রবাহ বেড়ে গেছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঞ্চলের কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এর মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত দীর্ঘদিনের চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ভারত। পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পাঞ্জাবের বন্যা মোকাবিলায় কাজ করছে।
পাঞ্জাবের প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক খুররম শাহজাদ বলেছেন, ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ার আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ অবহিত করেনি।
পাকিস্তানের অভিযোগের ব্যাপারে ভারতের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে রয়টার্স। তবে কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তবে ভারত সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্ষ মৌসুমে এটি নিয়মিত কাজের অংশ। আর পানি ছাড়ার ব্যাপারটি দুই দেশের চুক্তি মোতাবেকই হচ্ছে।
ভারত ও পাকিস্তানের পানি চুক্তির পর থেকেই পাকিস্তান নানা অভিযোগ করে আসছে। আর অনেকেই বলে থাকেন, পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঞ্চলের কৃষিকাজের ৮০ শতাংশই নির্ভর করে ভারতের পানির ওপর।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের পাকিস্তানের জঙ্গিদের হামলা হয়। এতে ৪০ জন আধা সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। তখনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পানির সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছিলেন।
সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না করায় পাকিস্তানের সমালোচনা করে ২০১৬ সালে মোদি ভারতের কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘রক্ত আর পানি একসঙ্গে বইতে পারে না।’
ভারতের বিজেপি সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করেছে। জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখ এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে ১৯৪৭ সালে কাশ্মীরকে সংযুক্তকরণের সময় যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তাও ভেঙে দেওয়া হলো। ভারত সরকারের এ সিদ্ধান্তে পাকিস্তান তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে বৈঠক আয়োজনের জন্য তারা নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে রেল, ট্রেন ও বাস যোগাযোগ পাকিস্তান বন্ধ করে দিয়েছে। এরপরই পাকিস্তানের অভিযোগ ভারত বাঁধ খুলে দিয়েছে। আর এতে পাকিস্তানের অনেক এলাকায় বন্যা হচ্ছে।
পাকিস্তানের পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোজাম্মিল হুসেইন এমন অভিযোগ করেছেন।
চলতি মাসের শুরুতে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে ভারত। এর পর থেকে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশ দুইটির মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে নেমেছে। এরই মধ্য বাঁধ খুলে দিয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টির অভিযোগ তুলল পাকিস্তান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে মোজাম্মিল হুসেইন বলেছেন, ভারত এখন পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ শুরু করেছে। তারা পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে একঘরে করার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের অর্থনীতিকেও চেপে ধরতে চাইছে ভারত। তারা আমাদের বিরুদ্ধে পানিকে ব্যবহার করছে। পানি প্রবাহ কমে গেলে কৃষি ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
মোজাম্মিল হুসেইন আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর আগেই পাকিস্তানে পানি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি এ সংক্রান্ত চুক্তিগুলোকে অমান্য করতে পারেন না বলে মন্তব্য করেন মোজাম্মিল হুসেইন।
পাকিস্তানের দাবি, ভারত হঠাৎ করে উজানে বাঁধ খুলে দেওয়ায় সুতলেজ নদীতে পানি প্রবাহ বেড়ে গেছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঞ্চলের কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এর মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত দীর্ঘদিনের চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ভারত। পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পাঞ্জাবের বন্যা মোকাবিলায় কাজ করছে।
পাঞ্জাবের প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক খুররম শাহজাদ বলেছেন, ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ার আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ অবহিত করেনি।
পাকিস্তানের অভিযোগের ব্যাপারে ভারতের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে রয়টার্স। তবে কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তবে ভারত সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্ষ মৌসুমে এটি নিয়মিত কাজের অংশ। আর পানি ছাড়ার ব্যাপারটি দুই দেশের চুক্তি মোতাবেকই হচ্ছে।
ভারত ও পাকিস্তানের পানি চুক্তির পর থেকেই পাকিস্তান নানা অভিযোগ করে আসছে। আর অনেকেই বলে থাকেন, পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঞ্চলের কৃষিকাজের ৮০ শতাংশই নির্ভর করে ভারতের পানির ওপর।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের পাকিস্তানের জঙ্গিদের হামলা হয়। এতে ৪০ জন আধা সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। তখনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পানির সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছিলেন।
সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না করায় পাকিস্তানের সমালোচনা করে ২০১৬ সালে মোদি ভারতের কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘রক্ত আর পানি একসঙ্গে বইতে পারে না।’
ভারতের বিজেপি সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করেছে। জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখ এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে ১৯৪৭ সালে কাশ্মীরকে সংযুক্তকরণের সময় যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তাও ভেঙে দেওয়া হলো। ভারত সরকারের এ সিদ্ধান্তে পাকিস্তান তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে বৈঠক আয়োজনের জন্য তারা নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে রেল, ট্রেন ও বাস যোগাযোগ পাকিস্তান বন্ধ করে দিয়েছে। এরপরই পাকিস্তানের অভিযোগ ভারত বাঁধ খুলে দিয়েছে। আর এতে পাকিস্তানের অনেক এলাকায় বন্যা হচ্ছে।
>>>সাউথ এশিয়ান মনিটর,
No comments