আফগানিস্তানের তালেবানদের উত্থান
যুক্তরাষ্ট্র-তালেবানদের
মধ্যে সর্বসাম্প্রতিক আলোচনা থেকে মনে হচ্ছে যেন, এটা শান্তির
ফ্রেমওয়ার্কের দিকে যাচ্ছে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের একটা সময়সীমা ঘোষণার
বিপরীতে তালেবানরা এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, আফগানিস্তানের মাটি
যুক্তরাষ্ট্র বা তাদের কোন মিত্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের জন্য ব্যবহৃত হবে
না। এর পর পুরো দেশজুড়ে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে এবং এবং একটা
আফগান-অভ্যন্তরীণ আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হবে, যার সূত্রে উভয় পক্ষের
বন্দীদের মুক্তি দেয়া হবে।
পুরো প্রক্রিয়া জুড়েই শান্তি আলোচনা আফগান সরকারকে বাদ দেয়ার জন্য সমালোচিত হয়েছে। তালেবানরা আফগান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অব্যাহতভাবে অস্বীকার করে এসেছে – তাদেরকে মার্কিন পুতুল বলেছে – এবং শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দর কষাকষির দাবি জানিয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তির পরপরই তালেবান এবং আফগান নেতৃত্বের মধ্যে আফগান-অভ্যন্তরীণ দর কষাকষির প্রক্রিয়া শুরু হবে।
নির্জলা সত্য হলো আফগান সমাজের একটা অংশের প্রতিনিধিত্বের বৈধ দাবি রয়েছে তালেবানদের। সেটা হলো দক্ষিণের প্রদেশ হেলমান্দ, ওরুজগান, জাবুল এবং কান্দাহার – যেটা পশতুভাষীদের প্রাণভূমি। এখানকার মানুষ তালেবানদের প্রত্যাখ্যান করেনি এবং তাদের ৮০ শতাংশ যোদ্ধাই এসেছে এই অঞ্চলগুলো থেকে। একই সাথে এই অঞ্চল আল কায়েদা এবং দায়েশের জনবল সংগ্রহেরও উর্বর ভূমি হয়ে উঠেছে।
এটা সবারই জানা যে, পুরো দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে যে ক্ষোভ ও বিতৃষ্ণা জন্মেছিল, সেটাই ২০০৫ সালে তালেবানদের উত্থানের পেছনে ভূমিকা রেখেছিল। আফগান সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের ভুল-ত্রুটিগুলোকে পুঁজি করে তালেবানরা সামরিক দিক থেকে প্রবলভাবে ফিরে এসেছে, যেটা তাদেরকে আলোচনার টেবিলে দর কষাকষির শক্তি দিয়েছে। এই শক্তির মূলে যে যুক্তিটি রয়েছে, সেটা হলো তালেবানরই দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে কথা বলে, আফগান সরকার নয়।
ধারাবাহিকভাবে আফগান প্রশাসনের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় দক্ষিণের মানুষের ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। ২০০১ সালে তালেবানদের উৎখাতের পর, কান্দাহারে জন্মগ্রহণকারী সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই সম্ভবত জাতীয় ঐক্যের কথা ভাবলেও দেশের অন্যান্য অংশের মনজয়ের জন্য দক্ষিণাঞ্চলকে তিনি অবজ্ঞা করে এসেছেন। পরবর্তী সরকারগুলোও তার পথেই চলেছে।
কাবুলে প্রতিনিধিত্ব না থাকায় দক্ষিণে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, বিনিয়োগ হয়নি, পুনর্গঠনের চেষ্টা হয়েছে সামান্য। ফলে পুরো অঞ্চলই দারিদ্রের মধ্যে পড়ে আছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের অধিবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে এবং তালেবান ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে গেছে। সন্দেহাতীতভাবে চলমান মার্কিন-তালেবান আলোচনায় তাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় এর বড় প্রভাব পড়বে। সরকার হয়তো দক্ষিণাঞ্চলকে অগ্রাহ্য করতে পারে, কিন্তু তালেবানরা সেটা পারবে না।
আফগানিস্তানের দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী শান্তির জন্য দক্ষিণের কথা অবশ্যই শুনতে হবে, এবং শান্তি আলোচনায় তাদের স্বার্থের বিষয়গুলোর প্রতিফলন থাকতে হবে। এটা এতটা গুরুত্বপূর্ণ যেটার অবজ্ঞা করা যায় না। এর মধ্যে রয়েছে কান্দাহার, জাবুল, হেলমান্দ এবং ওরুজগানের মতো প্রদেশগুলো, যেগুলো সম্পদে সমৃদ্ধ এবং পাকিস্তান ও ইরানের সাথে বাণিজ্যপথের অংশ। এগুলো একই সাথে তালেবানদের শক্তি এবং তালেবান-বিরোধী প্রতিরোধ শক্তির উৎস। শান্তি আলোচনা সরকারের জন্য একটি সুযোগ – এবং সম্ভবত চুড়ান্ত সুযোগ – যেটা একইসাথে তালেবানদের দমন এবং সরকারের অবহেলার শিকার হয়েছে।
মার্কিন-তালেবান দর কষাকষি যখন আফগান-অভ্যন্তরীণ আলোচনার দিকে যাচ্ছে, এ অবস্থায় দক্ষিণের প্রতিনিধিদের আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করাটা খুবই জরুরি। এই মুহূর্তে দক্ষিণের কোন প্রতিনিধি আলোচনায় নেই, কিন্তু যে কোন শান্তি ও সমঝোতার জন্য এই অঞ্চলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনায় তাদের অংশগ্রহণ না থাকলে এ অঞ্চলে সহিংসতা অব্যাহত থাকবে। দক্ষিণের ক্ষোভ একটা চরম পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে, এবং কাবুল বা ওয়াশিংটন সেটাকে গুরুত্ব দেবে না, তবে তালেবান – বা সশস্ত্র গ্রুপগুলো নিশ্চয়ই সেটা দেবে।
পুরো প্রক্রিয়া জুড়েই শান্তি আলোচনা আফগান সরকারকে বাদ দেয়ার জন্য সমালোচিত হয়েছে। তালেবানরা আফগান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অব্যাহতভাবে অস্বীকার করে এসেছে – তাদেরকে মার্কিন পুতুল বলেছে – এবং শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দর কষাকষির দাবি জানিয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তির পরপরই তালেবান এবং আফগান নেতৃত্বের মধ্যে আফগান-অভ্যন্তরীণ দর কষাকষির প্রক্রিয়া শুরু হবে।
নির্জলা সত্য হলো আফগান সমাজের একটা অংশের প্রতিনিধিত্বের বৈধ দাবি রয়েছে তালেবানদের। সেটা হলো দক্ষিণের প্রদেশ হেলমান্দ, ওরুজগান, জাবুল এবং কান্দাহার – যেটা পশতুভাষীদের প্রাণভূমি। এখানকার মানুষ তালেবানদের প্রত্যাখ্যান করেনি এবং তাদের ৮০ শতাংশ যোদ্ধাই এসেছে এই অঞ্চলগুলো থেকে। একই সাথে এই অঞ্চল আল কায়েদা এবং দায়েশের জনবল সংগ্রহেরও উর্বর ভূমি হয়ে উঠেছে।
এটা সবারই জানা যে, পুরো দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে যে ক্ষোভ ও বিতৃষ্ণা জন্মেছিল, সেটাই ২০০৫ সালে তালেবানদের উত্থানের পেছনে ভূমিকা রেখেছিল। আফগান সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের ভুল-ত্রুটিগুলোকে পুঁজি করে তালেবানরা সামরিক দিক থেকে প্রবলভাবে ফিরে এসেছে, যেটা তাদেরকে আলোচনার টেবিলে দর কষাকষির শক্তি দিয়েছে। এই শক্তির মূলে যে যুক্তিটি রয়েছে, সেটা হলো তালেবানরই দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে কথা বলে, আফগান সরকার নয়।
ধারাবাহিকভাবে আফগান প্রশাসনের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় দক্ষিণের মানুষের ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। ২০০১ সালে তালেবানদের উৎখাতের পর, কান্দাহারে জন্মগ্রহণকারী সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই সম্ভবত জাতীয় ঐক্যের কথা ভাবলেও দেশের অন্যান্য অংশের মনজয়ের জন্য দক্ষিণাঞ্চলকে তিনি অবজ্ঞা করে এসেছেন। পরবর্তী সরকারগুলোও তার পথেই চলেছে।
কাবুলে প্রতিনিধিত্ব না থাকায় দক্ষিণে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, বিনিয়োগ হয়নি, পুনর্গঠনের চেষ্টা হয়েছে সামান্য। ফলে পুরো অঞ্চলই দারিদ্রের মধ্যে পড়ে আছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের অধিবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে এবং তালেবান ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে গেছে। সন্দেহাতীতভাবে চলমান মার্কিন-তালেবান আলোচনায় তাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় এর বড় প্রভাব পড়বে। সরকার হয়তো দক্ষিণাঞ্চলকে অগ্রাহ্য করতে পারে, কিন্তু তালেবানরা সেটা পারবে না।
আফগানিস্তানের দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী শান্তির জন্য দক্ষিণের কথা অবশ্যই শুনতে হবে, এবং শান্তি আলোচনায় তাদের স্বার্থের বিষয়গুলোর প্রতিফলন থাকতে হবে। এটা এতটা গুরুত্বপূর্ণ যেটার অবজ্ঞা করা যায় না। এর মধ্যে রয়েছে কান্দাহার, জাবুল, হেলমান্দ এবং ওরুজগানের মতো প্রদেশগুলো, যেগুলো সম্পদে সমৃদ্ধ এবং পাকিস্তান ও ইরানের সাথে বাণিজ্যপথের অংশ। এগুলো একই সাথে তালেবানদের শক্তি এবং তালেবান-বিরোধী প্রতিরোধ শক্তির উৎস। শান্তি আলোচনা সরকারের জন্য একটি সুযোগ – এবং সম্ভবত চুড়ান্ত সুযোগ – যেটা একইসাথে তালেবানদের দমন এবং সরকারের অবহেলার শিকার হয়েছে।
মার্কিন-তালেবান দর কষাকষি যখন আফগান-অভ্যন্তরীণ আলোচনার দিকে যাচ্ছে, এ অবস্থায় দক্ষিণের প্রতিনিধিদের আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করাটা খুবই জরুরি। এই মুহূর্তে দক্ষিণের কোন প্রতিনিধি আলোচনায় নেই, কিন্তু যে কোন শান্তি ও সমঝোতার জন্য এই অঞ্চলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনায় তাদের অংশগ্রহণ না থাকলে এ অঞ্চলে সহিংসতা অব্যাহত থাকবে। দক্ষিণের ক্ষোভ একটা চরম পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে, এবং কাবুল বা ওয়াশিংটন সেটাকে গুরুত্ব দেবে না, তবে তালেবান – বা সশস্ত্র গ্রুপগুলো নিশ্চয়ই সেটা দেবে।
No comments