সাদা পাথরে নজর সবার by ওয়েছ খছরু
সিলেটে
সবার নজর এখন সাদা পাথরে। কারো নজর পর্যটনে। কারো নজর ব্যবসায়। তবে পর্যটন
ও ব্যবসা দুটোই চান স্থানীয়রা। কেবলমাত্র পর্যটন দিয়ে সাদা পাথর এলাকা
চলতে পারে না বলে অভিমত তাদের। পাশাপাশি একচেটিয়া ব্যবসাও চান না তারা। এতে
করে পর্যটন বাধাগ্রস্ত হবে। ফলে সাদা পাথর এলাকা নিয়ে এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত
নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
সাদা পাথর- একটি নাম। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের পাথররাজ্য ভোলাগঞ্জের উৎসমুখ এটি। সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে। সাদা সাদা পাথরে ভরপুর ওই এলাকা। এ কারণে সাদা পাথর নাম দেয়া হয়েছে এখানে। এবারের ঈদে সিলেটের পর্যটকদের কাছে সাদা পাথর পরিচিত নাম। বলতে গেলে পর্যটনের নতুন স্পট। যারাই যাচ্ছেন মন জুড়িয়ে আসছেন।
ভারত থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ পানির ধারা আর সাদা পাথরের সমাহারে জলকেলি কাছে টানছে সবাইকে। এবারের ঈদে হাজার হাজার পর্যটকের ঢল নেমেছে এখানে। কয়েক বছর আগেও সাদা পাথরের কোনো নামগন্ধ ছিল পর্যটনে। এবার সেটি নতুন স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কয়েক বছর আগে ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির ভেতরেই ছিল সাদা পাথর এলাকা। স্থানীয়দের মতে, এখনো ওই এলাকা কোয়ারির ভেতরে। সীমান্তের দেড়শ’ গজ এলাকা বাদ দিলেই বাকি সব কোয়ারি। এখান থেকে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনে কোনো বাধা নেই। কিন্তু যান্ত্রিক দানব বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের আশঙ্কায় সব পদ্ধতিতেই পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখেছে। রাতের আঁধারে কিছু কিছু বারকি শ্রমিক সক্রিয় হয়ে ওঠে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে তারা চুরি করে নিচ্ছে সাদা পাথর। নৌকাপ্রতি ৪ হাজার গ্রহণ করে সেখান থেকে পাথর চুরির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। এতে আপত্তি স্থানীয়দের। তারা বলেন, দেশের সম্পদ এভাবে চুরিতে বিক্রি কিংবা অন্যত্র স্থানান্তর করা অপরাধ।
একেবারে সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা হওয়ার কারণে রাতের বেলা কেউ ওখানে যায় না। আর এই সুযোগে পাথর লুটের ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিন ১০-১২ লাখ টাকার পাথর চুরির অভিযোগ করেছেন তারা। কোম্পানীগঞ্জের পাড়ুয়া গ্রামের বিল্লাল আহমদ জানিয়েছেন, সাদা পাথরের জন্য ৪ কিংবা ৫শ’ গজ এলাকা সংরক্ষিত করে রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে। এর বাইরে যেসব পাথর রয়েছে সেগুলো রয়্যালিটি আদায়ের মাধ্যমে উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়া প্রয়োজন। তা না হলে উজান থেকে পাথর আসবে না। আর পাথর না এলে স্থানীয় অর্থনীতিতে ধস নামবে। তিনি বলেন, শ্রমিকরা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনে কোনো আইনি বাধা নেই। অথচ সেটিও করতে দেয়া হচ্ছে না। ভোলাগঞ্জ গ্রামের আক্তারুজ্জামান নোমান বলেন, ভোলাগঞ্জে পর্যটন প্রয়োজন। পর্যটনের অতীতের দুর্নাম ঘুচাতে পারবে। পাশাপাশি পরিবেশ ধ্বংস না করে পাথর উত্তোলন করার সুযোগ দিলে স্থানীয় শ্রমিকরা উপকৃত হবে। সাদা পাথরে পর্যটন আকৃষ্ট হওয়ায় সিলেটে প্রশাসনও সক্রিয় হয়েছে। শুক্রবার সাদা পাথর এলাকা পরিদর্শন করেছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলামসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা। সাদা পাথর কেন্দ্র করে সেখানে নৌকা ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। তবে পর্যটকরা যাতে ভোগান্তির শিকার না হন সে কারণে নৌকার জন্য ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। প্রতি নৌকা ৮০০ টাকায় ভাড়া নিয়ে যেতে পারবেন পর্যটকরা।
স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বীজেন ব্যানার্জি এই ভাড়া নির্ধারণ করে দেন। শনিবার পর্যটন কেন্দ্র এলাকা পরিদর্শন করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামানও। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী শামীম আহমদ জানিয়েছেন, আমরা চাই দুটো। পরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলন এবং প্রকৃতির পরিচর্চা। একটি রেখে অপরটি সম্ভব নয়। সুতরাং এ বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে এলাকার সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনিও ভোলাগঞ্জের ব্যাপারে আন্তরিক। সুতরাং সাদা পাথরের কিছু এলাকাকে সংরক্ষিত করে বাকি জায়গা থেকে পরিকল্পিত পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়ার বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা মিয়া জানিয়েছেন, কোম্পানীগঞ্জকে পর্যটন করার প্রক্রিয়া সেই স্পিকারের যুগ থেকে শুরু হয়েছিল। সুতরাং যা করার প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রেখেই করতে হবে।
সাদা পাথর- একটি নাম। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের পাথররাজ্য ভোলাগঞ্জের উৎসমুখ এটি। সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে। সাদা সাদা পাথরে ভরপুর ওই এলাকা। এ কারণে সাদা পাথর নাম দেয়া হয়েছে এখানে। এবারের ঈদে সিলেটের পর্যটকদের কাছে সাদা পাথর পরিচিত নাম। বলতে গেলে পর্যটনের নতুন স্পট। যারাই যাচ্ছেন মন জুড়িয়ে আসছেন।
ভারত থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ পানির ধারা আর সাদা পাথরের সমাহারে জলকেলি কাছে টানছে সবাইকে। এবারের ঈদে হাজার হাজার পর্যটকের ঢল নেমেছে এখানে। কয়েক বছর আগেও সাদা পাথরের কোনো নামগন্ধ ছিল পর্যটনে। এবার সেটি নতুন স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কয়েক বছর আগে ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির ভেতরেই ছিল সাদা পাথর এলাকা। স্থানীয়দের মতে, এখনো ওই এলাকা কোয়ারির ভেতরে। সীমান্তের দেড়শ’ গজ এলাকা বাদ দিলেই বাকি সব কোয়ারি। এখান থেকে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনে কোনো বাধা নেই। কিন্তু যান্ত্রিক দানব বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের আশঙ্কায় সব পদ্ধতিতেই পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখেছে। রাতের আঁধারে কিছু কিছু বারকি শ্রমিক সক্রিয় হয়ে ওঠে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে তারা চুরি করে নিচ্ছে সাদা পাথর। নৌকাপ্রতি ৪ হাজার গ্রহণ করে সেখান থেকে পাথর চুরির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। এতে আপত্তি স্থানীয়দের। তারা বলেন, দেশের সম্পদ এভাবে চুরিতে বিক্রি কিংবা অন্যত্র স্থানান্তর করা অপরাধ।
একেবারে সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা হওয়ার কারণে রাতের বেলা কেউ ওখানে যায় না। আর এই সুযোগে পাথর লুটের ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিন ১০-১২ লাখ টাকার পাথর চুরির অভিযোগ করেছেন তারা। কোম্পানীগঞ্জের পাড়ুয়া গ্রামের বিল্লাল আহমদ জানিয়েছেন, সাদা পাথরের জন্য ৪ কিংবা ৫শ’ গজ এলাকা সংরক্ষিত করে রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে। এর বাইরে যেসব পাথর রয়েছে সেগুলো রয়্যালিটি আদায়ের মাধ্যমে উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়া প্রয়োজন। তা না হলে উজান থেকে পাথর আসবে না। আর পাথর না এলে স্থানীয় অর্থনীতিতে ধস নামবে। তিনি বলেন, শ্রমিকরা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনে কোনো আইনি বাধা নেই। অথচ সেটিও করতে দেয়া হচ্ছে না। ভোলাগঞ্জ গ্রামের আক্তারুজ্জামান নোমান বলেন, ভোলাগঞ্জে পর্যটন প্রয়োজন। পর্যটনের অতীতের দুর্নাম ঘুচাতে পারবে। পাশাপাশি পরিবেশ ধ্বংস না করে পাথর উত্তোলন করার সুযোগ দিলে স্থানীয় শ্রমিকরা উপকৃত হবে। সাদা পাথরে পর্যটন আকৃষ্ট হওয়ায় সিলেটে প্রশাসনও সক্রিয় হয়েছে। শুক্রবার সাদা পাথর এলাকা পরিদর্শন করেছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলামসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা। সাদা পাথর কেন্দ্র করে সেখানে নৌকা ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। তবে পর্যটকরা যাতে ভোগান্তির শিকার না হন সে কারণে নৌকার জন্য ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। প্রতি নৌকা ৮০০ টাকায় ভাড়া নিয়ে যেতে পারবেন পর্যটকরা।
স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বীজেন ব্যানার্জি এই ভাড়া নির্ধারণ করে দেন। শনিবার পর্যটন কেন্দ্র এলাকা পরিদর্শন করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামানও। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী শামীম আহমদ জানিয়েছেন, আমরা চাই দুটো। পরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলন এবং প্রকৃতির পরিচর্চা। একটি রেখে অপরটি সম্ভব নয়। সুতরাং এ বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে এলাকার সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনিও ভোলাগঞ্জের ব্যাপারে আন্তরিক। সুতরাং সাদা পাথরের কিছু এলাকাকে সংরক্ষিত করে বাকি জায়গা থেকে পরিকল্পিত পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়ার বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা মিয়া জানিয়েছেন, কোম্পানীগঞ্জকে পর্যটন করার প্রক্রিয়া সেই স্পিকারের যুগ থেকে শুরু হয়েছিল। সুতরাং যা করার প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রেখেই করতে হবে।
No comments