৩ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে খাম্বা, ব্রীজ গেল কই? by কাজী আনিছুর রহমান
নওগাঁর
রাণীনগরের কাশিমপুর ইউনিয়নের সর্বরামপুর গ্রামে তিন বছরেও শেষ হয়নি ফুট
ব্রীজের নিমার্ণ কাজ। খালের দুই পাড়ে শুধুমাত্র সাড়ে ১৮ লাখ টাকা ব্যায়ে
খাম্বা তৈরির পর নিমার্ণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তাই চোখের সামনে তিন বছর ধরে
শুধু দাড়িয়ে আছে খালের মধ্যে খাম্বা। ফলে ওই এলাকার প্রায় ২০ গ্রামের
জনসাধারণদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে কাশিমপুর-গোনা ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে গেছে রতনডারি খাল। ১৯১৪ সালে কৃষি জমিতে সেচ ব্যবস্থা ও নৌ চলাচলের স্বাভাবিক গতি ধরে রাখার জন্য এবং পানি প্রবাহ সচল রাখার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী রাণীনগরের উদ্যোগে কুজাইল স্লুইচ গেট থেকে হাতিরপুল হয়ে রক্তদহ বিল পর্যন্ত খাল খনন করা হয়। বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে বছরের বেশি সময় ধরে বন্যার পানি থৈ থৈ করে।
এসময় পারিবারিক প্রয়োজনে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায় নৌকা। যানবাহন চলাচলের উপযোগী সরাসরি কোন পথ না থাকায় ওই এলাকার দুইটি ইউনিয়নের সর্বরামপুর, কাশিমপুর, ডাঙ্গাপাড়া, এনায়েতপুর, মঙ্গলপাড়া, ভবানীপুর, পীরেরা, বয়না, বেতগাড়ী, দূর্গাপুর, কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, ঘোষগ্রাম, নান্দাইবাড়ি, বেতগাড়ীসহ প্রায় ২০টি গ্রামের বসবাসরত সাধারণ মানুষ, স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের রতনডারি খাল পাড় হতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়া স্থানীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধানসহ অন্যান্য কৃষি পন্যসামগ্রী সহজভাবে পরিবহন ও বাজারজাত করতে না পারায় নায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে মোটা অংকের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
তাই এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ছিল, একটি ব্রীজ নির্মাণ করা। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে এবং জন দুর্ভোগ লাঘব করতে রাণীনগর উপজেলা পরিষদের রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রায় ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে রতনডারি খালের উপর কাশিমপুর ইউনিয়নের সর্বরামপুর-ভবানীপুর চৈতা পাড়া নামকস্থানে ফুট ব্রীজ নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের মার্চ মাসে একটি দরপত্র আহবান করা হয়।
এতে নওগাঁ সদরের পার-নওগাঁ মহল্লার মো: গোলাম কিবরিয়া নামের ঠিকাদার নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান। এর পর শুষ্ক মৌসুমে ওই খালের দুই পাড়ে খাম্বা নির্মাণ কাজ শুরু হলে শুধুমাত্র খালের মধ্যে খাম্বা নির্মাণ করার পর রহস্যজনক কারণে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হলেও এই ফুট ব্রীজটি নিমার্ণে দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে ওই এলাকার প্রায় ২০ গ্রামের জনসাধারণদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক আসলাম আলী, ছোলাইমান, আব্দুর রহিমসহ শ্রমীক-মজুর, ব্যবসায়ীরা জানান, তিন বছর ধরে চোখের সামনে আমরা শুধু খাম্বাই দেখছি। কিন্তু নির্মাণ কাজের কোন নমুনা দেখছিনা। জনদুর্ভোগ লাঘব করতে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানান তারা।
উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মকলেছুর রহমান বাবু জানান, নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য আমি বারবার সংশ্লিষ্টদের কাছে ধরণা দিয়েছি। কিন্তু অদ্যবদি ফুট ব্রীজের বাকি কাজগুলো শুরু না হওয়ায় আংশিক অবকাঠামোও অপচয়ের দিকে চলে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো: শাইদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ওই সময় যে পরিমাণ ব্যয় ধরে কাজ শুরু করা হয়েছিল তা পাইলিং-টাওয়ার নির্মাণ করতেই টাকা শেষ হয়ে গেছে। ওই ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ করতে এখনো প্রায় ২৫ লাখ টাকা লাগবে। আগামী অর্থ বছরে টাকা বরাদ্দ পেলে কাজটি শেষ করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে কাশিমপুর-গোনা ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে গেছে রতনডারি খাল। ১৯১৪ সালে কৃষি জমিতে সেচ ব্যবস্থা ও নৌ চলাচলের স্বাভাবিক গতি ধরে রাখার জন্য এবং পানি প্রবাহ সচল রাখার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী রাণীনগরের উদ্যোগে কুজাইল স্লুইচ গেট থেকে হাতিরপুল হয়ে রক্তদহ বিল পর্যন্ত খাল খনন করা হয়। বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে বছরের বেশি সময় ধরে বন্যার পানি থৈ থৈ করে।
এসময় পারিবারিক প্রয়োজনে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায় নৌকা। যানবাহন চলাচলের উপযোগী সরাসরি কোন পথ না থাকায় ওই এলাকার দুইটি ইউনিয়নের সর্বরামপুর, কাশিমপুর, ডাঙ্গাপাড়া, এনায়েতপুর, মঙ্গলপাড়া, ভবানীপুর, পীরেরা, বয়না, বেতগাড়ী, দূর্গাপুর, কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, ঘোষগ্রাম, নান্দাইবাড়ি, বেতগাড়ীসহ প্রায় ২০টি গ্রামের বসবাসরত সাধারণ মানুষ, স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের রতনডারি খাল পাড় হতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়া স্থানীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধানসহ অন্যান্য কৃষি পন্যসামগ্রী সহজভাবে পরিবহন ও বাজারজাত করতে না পারায় নায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে মোটা অংকের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
তাই এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ছিল, একটি ব্রীজ নির্মাণ করা। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে এবং জন দুর্ভোগ লাঘব করতে রাণীনগর উপজেলা পরিষদের রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রায় ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে রতনডারি খালের উপর কাশিমপুর ইউনিয়নের সর্বরামপুর-ভবানীপুর চৈতা পাড়া নামকস্থানে ফুট ব্রীজ নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের মার্চ মাসে একটি দরপত্র আহবান করা হয়।
এতে নওগাঁ সদরের পার-নওগাঁ মহল্লার মো: গোলাম কিবরিয়া নামের ঠিকাদার নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান। এর পর শুষ্ক মৌসুমে ওই খালের দুই পাড়ে খাম্বা নির্মাণ কাজ শুরু হলে শুধুমাত্র খালের মধ্যে খাম্বা নির্মাণ করার পর রহস্যজনক কারণে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হলেও এই ফুট ব্রীজটি নিমার্ণে দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে ওই এলাকার প্রায় ২০ গ্রামের জনসাধারণদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক আসলাম আলী, ছোলাইমান, আব্দুর রহিমসহ শ্রমীক-মজুর, ব্যবসায়ীরা জানান, তিন বছর ধরে চোখের সামনে আমরা শুধু খাম্বাই দেখছি। কিন্তু নির্মাণ কাজের কোন নমুনা দেখছিনা। জনদুর্ভোগ লাঘব করতে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানান তারা।
উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মকলেছুর রহমান বাবু জানান, নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য আমি বারবার সংশ্লিষ্টদের কাছে ধরণা দিয়েছি। কিন্তু অদ্যবদি ফুট ব্রীজের বাকি কাজগুলো শুরু না হওয়ায় আংশিক অবকাঠামোও অপচয়ের দিকে চলে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো: শাইদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ওই সময় যে পরিমাণ ব্যয় ধরে কাজ শুরু করা হয়েছিল তা পাইলিং-টাওয়ার নির্মাণ করতেই টাকা শেষ হয়ে গেছে। ওই ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ করতে এখনো প্রায় ২৫ লাখ টাকা লাগবে। আগামী অর্থ বছরে টাকা বরাদ্দ পেলে কাজটি শেষ করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
No comments