আমার ছেলে মারা যাচ্ছে, সাহায্য করুন -আশ্রয়শিবিরে এক মায়ের আর্তনাদ
মেক্সিকোতে
শরণার্থী বা অভিবাসীদের সবচেয়ে বড় ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ফেরিয়া
মেসোমেরিকানা। একমাসের মধ্যে তৃতীয়বার মঙ্গলবার সেখানে বিদ্রোহ করেছেন
অভিবাসীরা। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গার্ড ও পুলিশরা তাদেরকে বিরত রাখে। এ
সময় হাইতির এক মা আর্তনাদ করতে থাকেন। দু’সন্তানের মা দু’হাত প্রসারিত করে
দিয়ে ধুলোবালির মধ্যে উপুর হয়ে চিৎকার করছিলেন। তিনি বলছিলেন, আমাকে
সাহায্য করুন। আমার ছেলে মারা যাচ্ছে। অনেকদিন ধরে সে অসুস্থ।
আমিও অনেক দুর্ভোগে।
ওই বন্দিশিবিরের একটি গেটের নিচ দিয়ে তিনি কোনোমতে চোখমুখ বের করে চিৎকার করছিলেন- আমাদেরকে খাবার দেয়া হয় না। পান করার জন্য পানি নেই। আমার ছেলেকে সহ আমাকে বাঁচান। আমার ছেলে অসুস্থ। দুটি ছেলে আছে আমার। একজনের বয়স ৫ বছর। অন্যজনের বয়স ১৪ মাস। দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।
ওই অভিবাসন কেন্দ্রে এই মা তার সন্তানদের নিয়ে অবস্থান করছেন ১০ দিন। বিদ্রোহ চলাকালে প্রধান ফটক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তাকে আটকে দেয় ন্যাশনাল গার্ড, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইমিগ্রেশন ও ফেডারেল পুলিশ। বৃটিশ একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ লিখেছে, ওই আশ্রয় শিবিরে অস্থায়ীভাবে রাখা হয়েছে শত শত আফ্রিকান ও হাইতির অভিবাসীকে। মঙ্গলবার সেখানে বিদ্রোহ হয়। অভিবাসীরা খাদ্য, চিকিৎসা সুবিধা ও অভিবাসী হিসেবে ওই স্থান ত্যাগ করার অনুমতি চাওয়ার পর সেখানে বিদ্রোহ শুরু হয়। খাদ্য না থাকা, মলমূত্রে উপচে পড়া টয়লেট, ইদুরে সয়লাব, তেলাপোকার উপদ্রব সহ নানা অনিয়মে এই আশ্রয়শিবির নিয়ে এমনিতেই সমালোচনা আছে। এখানকার ৯ ফুট বাই ১২ ফুট একটি কক্ষে ঘুমাতে হয় ৫০ জন মানুষকে। তবে মঙ্গলবারের বিদ্রোহের খবরকে দেশটির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইমিগ্রেশন প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, ওই আশ্রয়কেন্দ্রের ভিতরে আরেকটি বিরক্তিকর ঘটনা ঘটেছিল। সব অভিবাসীকে যথোপযুক্ত খাবার ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়।
আমিও অনেক দুর্ভোগে।
ওই বন্দিশিবিরের একটি গেটের নিচ দিয়ে তিনি কোনোমতে চোখমুখ বের করে চিৎকার করছিলেন- আমাদেরকে খাবার দেয়া হয় না। পান করার জন্য পানি নেই। আমার ছেলেকে সহ আমাকে বাঁচান। আমার ছেলে অসুস্থ। দুটি ছেলে আছে আমার। একজনের বয়স ৫ বছর। অন্যজনের বয়স ১৪ মাস। দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।
ওই অভিবাসন কেন্দ্রে এই মা তার সন্তানদের নিয়ে অবস্থান করছেন ১০ দিন। বিদ্রোহ চলাকালে প্রধান ফটক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তাকে আটকে দেয় ন্যাশনাল গার্ড, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইমিগ্রেশন ও ফেডারেল পুলিশ। বৃটিশ একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ লিখেছে, ওই আশ্রয় শিবিরে অস্থায়ীভাবে রাখা হয়েছে শত শত আফ্রিকান ও হাইতির অভিবাসীকে। মঙ্গলবার সেখানে বিদ্রোহ হয়। অভিবাসীরা খাদ্য, চিকিৎসা সুবিধা ও অভিবাসী হিসেবে ওই স্থান ত্যাগ করার অনুমতি চাওয়ার পর সেখানে বিদ্রোহ শুরু হয়। খাদ্য না থাকা, মলমূত্রে উপচে পড়া টয়লেট, ইদুরে সয়লাব, তেলাপোকার উপদ্রব সহ নানা অনিয়মে এই আশ্রয়শিবির নিয়ে এমনিতেই সমালোচনা আছে। এখানকার ৯ ফুট বাই ১২ ফুট একটি কক্ষে ঘুমাতে হয় ৫০ জন মানুষকে। তবে মঙ্গলবারের বিদ্রোহের খবরকে দেশটির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইমিগ্রেশন প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, ওই আশ্রয়কেন্দ্রের ভিতরে আরেকটি বিরক্তিকর ঘটনা ঘটেছিল। সব অভিবাসীকে যথোপযুক্ত খাবার ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়।
No comments